শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

মহানগর

প্রতিবেশীর মারধরে শিশুর মৃত্যু

গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগে স্বামী গ্রেফতার

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২২ এপ্রিল, ২০২১, ১২:০১ এএম

রাজধানীর খিলক্ষেতের বালুর মাঠ এলাকায় প্রতিবেশীর কিল-ঘুষিতে রনি মিয়া (১১) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। গত মঙ্গলবার রাত ১টার সময় একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটির মৃত্যু হয়। অভিযুক্ত ফয়েজ মিয়া পলাতক রয়েছে। লাশ উদ্ধার করে গতকাল দুপুর দেড়টায় ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ। অন্যদিকে হাজারীবাগের রায়েরবাজার এলাকায় সাজেদা বেগম সাজু (১৮) নামে এক গৃহবধূকে বালিশচাপা দিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় স্বামী ব্যবসায়ী টিটু তালুকদারকে মিরপুর থেকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে স্বজনরা।

নিহতের মামা মো. স্বপন মিয়া বলেন, আমার বোনের একমাত্র ছেলে। তার বাবা পেশায় একজন নির্মাণশ্রমিক। কী দোষ ছিল আমার ভাগিনার? ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন শিশুটির মামা। তিনি বলেন, গত ১৬ এপ্রিল বিকেল ৫টায় পাশের বাসার ফয়েজ মিয়া তার ছোট মেয়েকে মারতে ছিল। তখন কেউ ছিল না, আমার ভাগ্নে এগিয়ে গিয়ে বলেন মামা ওকে মারতেছেন কেন ছেড়ে দেন। এ কথা বলার পরে আমার ভাগ্নের ডান পাঁজরে আঘাত করলে সে কাউকে কিছু বলেনি। পরে আমার বোন গোসল করাতে গেলে তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখতে পায়। আমার ভাগ্নে বলে, তোমরা ঝগড়া করবে বলে কিছু বলিনি। মঙ্গলবার ইফতার শেষে সে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাত ১টার দিকে সে মারা যায়। পরে বাসায় নিয়ে এলে পুলিশ এসে সুরতহাল করে দুপুরে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠায়।
তিনি আরো জানান, রনি খিলক্ষেত থানার বালুরমাঠ মধ্যপাড়া ৪০/৩ ভাড়া বাসায় থাকত। তার গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলার অষ্টগ্রাম থানার বরমোপাড়ায়। তার পিতার নাম মো. রায়হান মিয়া।
খিলক্ষেত থানার এসআই মিজানুর রহমান জানান, ময়নাতদন্তের জন্য লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ফয়েজ মিয়া পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেফতারের চেষ্ঠা চলছে।
নিহত সাজেদা বেগমের দাদা আব্দুল বলেন, মিরপুর পাইকপাড়ায় এক আত্মীয়ের বাসায় আত্মগোপন করে টিটু। পরে ওই আত্মীয় ও স্থানীদের সহায়তায় তাকে আটক করা হয়। দুপুরে আমি ও আমার আরেক ভাই নজরুল মিরপুর থেকে তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করি। টিটু জানায়, সে বালিশ চাপা এবং গলা টিপে হত্যা করে সাজুকে।
নিহতের বড় ভাই ফরহাদ বলেন, এক বছর আগে টিটুর সঙ্গে সাজেদার বিয়ে হয়। তখন থেকেই তাদের মধ্যে নানা বিষয় নিয়ে ঝগড়া হত। ৫ লাখ টাকা দাবি করলে সুদে টিটুকে ৫০ হাজার টাকা এনে দিয়েছি। তারপরও আমার বোনের সঙ্গে ঝগড়া-বিবাদ করত টিটু। তারা আমাদের পাশের বাসায়ই থাকত এবং আমাদের বাসায়ই খেত।
তিনি আরও বলেন, আমার মামাতো বোন মাঝ রাতে সেহরি জন্য তাদের ডাকতে গেলে দেখে আমার বোনের নাক-মুখ দিয়ে রক্ত বের হয়েছে। পরে সে চিৎকার দিয়ে সবাইকে ডাক দেয়। আমরা এসে দেখি সাজু বিছানায় পড়ে আছে।
হাজারীবাগ থানার এসআই কাওছার আহমেদ ভূঁইয়া বলেন, লাশের সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ধারণা করছি, তাকে বালিশচাপা দিয়ে হত্যা করে স্বামী টিটু পালিয়ে ছিল। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। নিহতের স্বামীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন