মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ০৫ চৈত্র ১৪৩০, ০৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

তীব্র খরতাপ-অনাবৃষ্টি পুড়ছে ফল-ফসল

দিশেহারা দরিদ্র কৃষক : যশোরে সর্বোচ্চ ৩৯.৮ ডিগ্রি

চট্টগ্রাম ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২৩ এপ্রিল, ২০২১, ১২:১৫ এএম

ফাল্গুন-চৈত্রের পর বৈশাখের প্রথম সপ্তাহ পেরিয়ে এসেও দেশজুড়ে খরা-অনাবৃষ্টি আর তীব্র তাপপ্রবাহ। হিটশকে পুড়ছে বোরো ধানসহ ফসল, গ্রীষ্মের রকমারি ফল-ফলাদি। গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশের কোথাও ছিটেফোঁটা বৃষ্টিপাত হয়নি। মেঘের ছায়াও নেই কোথাও।

আকাশতলে, জমিনের উপরে দিনভর ঠা ঠা রোদ। সূর্যের যেন আগুন ঝলসে পড়ছে। দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে অবস্থান করে। গতকাল রাজশাহীতে পারদ ৩৮.৬ ডিগ্রিতে নেমে আসে। বাতাসে মরুর আগুনের হলকা। করোনাকালে জীবনবাজি রেখে কৃষকরা রোদে পুড়ে ঘামে-শ্রমে ফলান বোরোসহ ফসল, খাদ্যশস্য আর ফলমূল। কিন্তু বছরের প্রায় অর্ধেকটা সময়ই জুড়ে প্রচন্ড খরা-অনাবৃষ্টির কারণে বাতাসে রোদের আগুনের ঝাপটায় কৃষকের চোখের সামনেই ঝলসে যাচ্ছে কষ্টের ফল-ফসল, সবজি ক্ষেত। দিশেহারা গরীব কৃষক। মৌসুমের এ সময়ে কালবৈশাখী ঝড়ো হাওয়া ও বজ্রের সঙ্গে মাঝেমধ্যেই বৃষ্টিপাত স্বাভাবিক। এই ‘স্বাভাবিক’ বৃষ্টির আবহও উধাও। এ অবস্থায় ফল-ফসল আবাদ ও উৎপাদনে সঙ্কট ছাড়াও ভ্যাপসা অসহনীয় গরমে বিশেষত মাহে রমজানে জীবনযাত্রা বিপর্যস্ত। সর্বত্র বিশুদ্ধ পানির অভাবে রোজাদাররা চরম দুঃখ-কষ্টে পড়েছেন। বিরূপ আবহাওয়ায় মৌসুমী রোগব্যাধি ছড়িয়ে পড়েছে।

গতকাল ঢাকার তাপমাত্রা ছিল সর্বোচ্চ ৩৬.৫ এবং সর্বনিম্ন ২৭.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়া পূর্বাভাসে জানা গেছে, সবক’টি বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ী দমকা থেকে ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি-বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে কোথাও কোথাও শিলাবৃষ্টি হতে পারে।

সীতাকুন্ড, রাঙ্গামাটি, নোয়াখালী, ফেনী, মৌলভীবাজার, রাজশাহী, পাবনা অঞ্চলসহ ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। তবে তা কিছু কিছু এলাকায় প্রশমিত হতে পারে। সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে। পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় বৃষ্টি-বজ্রবৃষ্টির প্রবণতা কমতে পারে এবং তাপমাত্রা ফের বৃদ্ধি পেতে পারে। এরপরের ৫ দিনে আবহাওয়ার সামান্য পরিবর্তন হতে পারে। আবহাওয়া বিভাগ জানায়, পশ্চিমা লঘুচাপের একটি বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও এর সংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এর বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন