শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভ্যন্তরীণ

নেত্রকোনায় ১ বছরে ৬৩ খুন ১১৮ ধর্ষণ ও ২৮৬ নারী নির্যাতন মামলা

প্রকাশের সময় : ১৯ জানুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

নেত্রকোনা জেলা সংবাদদাতা : নেত্রকোনা জেলায় ২০১৫ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর ১৫ তারিখ পর্যন্ত গত ১ বছরে ৬৩টি খুন, ১১৮টি ধর্ষণ ও ২৮৬টি নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। খুন, ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় জনসাধারণের মনে চরম আতঙ্ক, উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, জানুয়ারি মাসে ৫টি খুন, ৮টি ধর্ষণ ও ১৬টি নারী নির্যাতন, ফেব্রুয়ারি মাসে ১টি খুন, ৪টি ধর্ষণ ও ১২টি নারী নির্যাতন, মার্চ মাসে ৭টি খুন, ১০টি ধষণ ও ৩০টি নারী নির্যাতন, এপ্রিল মাসে ৪টি খুন, ৬টি ধর্ষণ ও ২৮টি নারী নির্যাতন, মে মাসে ৬টি খুন, ১৯টি ধর্ষণ ও ২৮টি নারী নির্যাতন, জুন মাসে ৭টি খুন, ১২টি ধর্ষণ ও ৩০টি নারী নির্যাতন, জুলাই মাসে ৭টি খুন, ১৭টি ধর্ষণ ও ৩১টি নারী নির্যাতন, আগস্ট মাসে ৬টি খুন, ১৮টি ধর্ষণ ও ৪০টি নারী নির্যাতন, সেপ্টেম্বর মাসে ৫টি খুন, ১২টি ধষণ ও ২৬টি নারী নির্যাতন, অক্টোবর মাসে ৬টি খুন, ৫টি ধষণ ও ২১টি নারী নির্যাতন, নভেম্বর মাসে ৪টি খুন, ৩টি ধষণ ও ১৬টি নারী নির্যাতন, ডিসেম্বর মাসে ৫টি খুন, ৪টি ধষণ ও ৮টি নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জমি সংক্রান্ত বিরোধ, আধিপত্য বিস্তার, দাম্পত্য ও পারিবারিক কলহ, যৌতুক, প্রেম সংক্রান্ত, মাদক, জুয়া, সুদ ও আর্থিক লেনদেন নিয়েই এসব খুন ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। এর ফলে নেত্রকোনায় জনমনে উদ্বেগ- উৎকন্ঠা দেখা দিয়েছে। এব্যাপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন সমাজসেবক বিশ্লেষক বলেন, কোনো এলাকায় একটি খুন, ধর্ষণ, নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটার পরপরই ঘটনার সাথে জড়িতদের ছাড়াও বিপুলসংখ্যক ব্যক্তিকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা করা হয়। এর ফলে পুলিশের গ্রেফতার বাণিজ্যের সুযোগ সৃষ্টি হওয়ায় প্রকৃত অপরাধীরা অনেক সময় থাকে ধরাছোঁয়ার বাইরে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির কোনো ঘটনার উদ্ভব হওয়ার পর তাৎক্ষণিক কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ এবং রাজনৈতিক বিবেচনায় না নিয়ে অপরাধীর বিরুদ্ধে সঠিক আইনের কঠোর প্রয়োগ করলে খুনখারাবি ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের ঘটনা বহুলাংশে কমিয়ে আনা সম্ভব। এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার জয়দেব চৌধুরী বলেন, নেত্রকোনায় রাজনৈতিক কোনো খুনের ঘটনা ঘটেনি। খুনখারাবি ধষণ ও নারী নির্যাতনের সংখ্যা যাতে কমিয়ে আনা যায় সেই লক্ষ্যে পুলিশ বিভাগ প্রতিটি উপজেলায় বিভিন্ন শ্রেণী পেশার লোকদের নিয়ে কমিউনিটি পুলিশিং কার্যক্রমের আওতায় জনগণকে উদ্বুদ্ধ করণের মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়নের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন