বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সম্পাদকীয়

নমুনা পরীক্ষা বাড়াতে হবে

চিঠিপত্র

| প্রকাশের সময় : ২৩ এপ্রিল, ২০২১, ১২:১৫ এএম

দেশে মহামারি করোনা ভাইরাস সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের ভয়াবহতা ক্রমশ বাড়ছে। আক্রান্ত রোগীর পাশাপাশি লম্বা হচ্ছে মৃত্যুর মিছিলও। ইতোমধ্যে পরপর তিন দিন দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা শতক পেরিয়েছে। সংশ্লিষ্টদের মতে, এবারের ধরনটির সংক্রামক ক্ষমতা আগেরটির চেয়ে প্রায় ৭০ শতাংশ বেশি। সংক্রমণ ঠেকাতে এখন সর্বাত্মক লকডাউন চলছে। জরুরি সেবা, শিল্প ও কলকারখানা ছাড়া সকল সরকারি-বেসরকারি অফিস-আদালত, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও গণপরিবহন বন্ধ। বেশি দুর্ভোগে পড়েছে মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের মানুষ। কিন্তু সংক্রমণের ভয়ংকর পরিস্থিতি বলছে এমন সর্বাত্মক কঠোরতা বা লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধি ছাড়া শিথিল বা কমানোর সুযোগ খুব একটা নেই। অথচ, এভাবে সবকিছু বন্ধ করে মানুষকে ঘরবন্দি করে রাখলেও সংক্রমণ পরিস্থিতির কতোটা উন্নতি হবে তা প্রশ্নসাপেক্ষ। নমুনা পরীক্ষার পরিমাণ বাড়াতে না পারলে সংক্রমণের প্রকৃত অবস্থা বা চিত্র কোনোভাবেই পরিষ্কার হবে না। নমুনা পরীক্ষা কম হলে স্বাভাবিকভাবেই শনাক্তের হারও কমে যায়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও সংশ্লিষ্ট জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞগণ করোনা ভাইরাস সংক্রমণের শুরুর সময় থেকেই অধিক হারে নমুনা পরীক্ষার উপর জোর দিয়েছে। কিন্তু আমাদের দেশে নমুনা পরীক্ষার পরিমাণও যেমন বাড়ছে না, তেমনি পরীক্ষা হচ্ছে প্রায় শহরকেন্দ্রিক। তাছাড়া অবাক করার মতো হলেও সত্য যে, করোনা ভাইরাস গ্রাম ও প্রত্যন্ত অঞ্চলের সিংহভাগ মানুষের ভাবনা ও জীবনযাত্রায় এখনও বিন্দুমাত্র ভীতি বা সচেতনতার জন্ম দিতে পারেনি। ফলে সংক্রমণের উপসর্গ থাকলেও তারা নমুনা পরীক্ষার বাইরে থেকে স্বাভাবিক চলাফেরা করে যাচ্ছে। অন্যদিকে, করোনা প্রতিরোধে গণটিকাদান কর্মসূচির আওতায় এখন প্রথম ডোজের পাশাপাশি টিকার দ্বিতীয় ডোজও দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু নানা কারণে অনেক মানুষ প্রথম ডোজের টিকাও গ্রহণ করছে না। ফলে বাড়ছে সংক্রমণের ঝুঁকি। জীবন ও জীবিকার স্থবিরতা কাটাতে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণের বিকল্প নেই। কিন্তু সংক্রমণের প্রকৃত অবস্থা সম্পর্কে সম্যক ধারণা না থাকলে সংক্রমণ প্রতিরোধে যথাযথ পরিকল্পনা গ্রহণপূর্বক তার সুষ্ঠু বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। তাই নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ানোর পাশাপাশি প্রান্তিক জনপদের মানুষদের জন্য নমুনা পরীক্ষার পুরো প্রক্রিয়াটি সহজসাধ্য করতে যথাযথ উদ্যোগ নিতে হবে। অন্যদিকে, উপযুক্ত সকলের টিকাপ্রাপ্তি নিশ্চিতের পাশাপাশি সকলকে টিকা গ্রহণে এবং সর্বাবস্থায় স্বাস্থ্যবিধির কঠোর অনুসরণে অভ্যস্ত করতে সরকার ও সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের পাশাপাশি গণমাধ্যম ও সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার সচেতন মহলকে কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে।
আবু ফারুক
বনরুপা পাড়া, বান্দরবান।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন