শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

বরাদ্দ থাকলেও বগুড়ার নন্দীগ্রামে আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় আটকে আছে ভবন নির্মাণ প্রকল্প

বগুড়া ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২২ এপ্রিল, ২০২১, ৬:১২ পিএম

বগুড়ার নন্দীগ্রামে উপজেলা সহকারী প্রকৌশলীর কার্যালয়ের নতুন দোতলা ভবন নির্মাণে অর্থ বরাদ্দ থাকলেও আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে নির্মাণ কাজ শুরু হচ্ছেনা । ফলে পুরাতন পরিত্যক্ত-জরাজীর্ণ ভবনে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অফিস করছেন কর্মকর্তারা। পুরাতন ভবনের দেয়ালে বড় বড় ফাটল ও ছাদসহ চারপাশের পলেস্তারা খসে পড়ছে। যেকোনো সময় ভবন ধ্বসে প্রাণহানির শঙ্কা রয়েছে। পুরাতন ভবনের পাশে পর্যাপ্ত জায়গা থাকলেও সীমানা নির্ধারণ সম্পন্ন না থাকায় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের বরাদ্দ করা ভবন নির্মাণের টাকা ফেরত যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ১১ জুলাই উপজেলা পরিষদের মাসিক সমন্বয় সভায় উপজেলা সহকারী প্রকৌশলীর ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। এ সংক্রান্ত কাগজ ওই বছরের ২৯ অক্টোবর জেলা পরিষদে পাঠানো হলে সেখান থেকে ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়নি। এরমধ্যেই চলতি বছরের ২০ মার্চ নতুন দোতলা ভবন নির্মাণের জন্য ২৮ লাখ ৯২ হাজার ৬১৩ টাকা বরাদ্দ দেয় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর। আগামী জুন মাসের মধ্যে ভবন নির্মাণ করতে বলা হয়েছে। সে মোতাবেক বগুড়া জনস্বাস্থ্য নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয়ের টেন্ডারে ভবন নির্মাণের কাজ পায় মেসার্স সাইমা এন্টারপ্রাইজ।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, পুরাতন ভবনের পাশে পর্যাপ্ত জায়গা রয়েছে। সেখানে নতুন ভবন নির্মাণ করা যেতে পারে। পুরাতন ভবনের চারপাশে দেয়ালে বড়বড় ফাটল ধরেছে। ছাদ এবং দেয়ালের পলেস্তার খসে খসে পড়ছে। তবুও থেমে নেই অফিসের কার্যক্রম।

উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী মো. নাজমুল হোসাইন বলেন, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অফিস করতে হচ্ছে। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের বরাদ্দ থাকলেও ভবন নির্মাণকাজ করা যাচ্ছে না। পুরাতন ভবনের পাশে আমাদের পর্যাপ্ত জায়গা রয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বলেছি, তিনি নিষেধ করেছেন।

এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. শিফা নুসরাত বলেন, সহকারী প্রকৌশলীর পুরাতন ভবনের পাশের জায়গা তাদের দাবি করলেও কোনো কাগজ দেখাতে পারেনি। বর্তমানে জরাজীর্ণ ভবনে তারা অফিস করছে, এটার জন্য নিজেরাই দায়ী। উপজেলা পরিষদ থেকে পুরাতন ভবন পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হলেও জেলা পরিষদ ঘোষণা করেনি। এজন্য নতুন ভবন নির্মাণের অনুমতি দিতে পারিনা আমি।

উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রফিকুল ইসলাম রফিক বলেন, নতুন ভবন নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন। পুরাতন ভবন ধ্বসে যেকোনো সময় প্রাণহানির ঘটনা ঘটতে পারে।

জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তর বগুড়ার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, নন্দীগ্রাম উপজেলা সহকারী প্রকৌশলীর নতুন ভবন নির্মাণে সীমানা নির্ধারণ না থাকায় জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে নতুন ভবনের নির্মাণকাজ হচ্ছে না।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন