মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

অবিলম্বে আলেম-উলামার উপর জুলুম নির্যাতন বন্ধ করুন

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৩ এপ্রিল, ২০২১, ১২:০৯ এএম

মাহে রমজান যখন ফিতনা-ফাসাদ এবং প্রতিহিংসা পরিহার করার শিক্ষা দেয় তখন সরকার আলেম-উলামাদের বন্দি করে রিমান্ডে নিয়ে অমানবিক নির্যাতন করছে। আলেমদের সাথে অমানবিক আচরণ জনগণ মেনে নেবে না। অবিলম্বে আলেম-উলামাদের ওপর গ্রেফতার জুলুম নির্যাতান ও হয়রানি বন্ধ করুন। গ্রেফতারকৃত আলেম-উলামাদের নিঃশর্ত মুক্তি দিন। হেফাজতে ইসলামা বাংলাদেশ এর আমির শায়খুল হাদীস আল্লামা হাফেজ জুনাইদ বাবুনগরী ও বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের নেতৃবৃন্দ গতকাল পৃথক পৃথক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন।

হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ : চট্টগ্রাম ব্যুরো জানায়, হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা জুনাইদ বাবুনগরী গতকাল এক বিবৃতিতে পবিত্র রমজান মাসে আলেম উলামা ও তৌহিদী জনতার উপর জুলুম নির্যাতন বন্ধের দাবি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, পবিত্র মাহে রমজান মুসলমানদের জন্য আমল করার সেরা সময়। রাসুল (সা.) বলেছেন, মাহে রমজান হলো সাহায্য সহানুভূতির মাস। অথচ এই মাসেই দেশে জুলুম, গ্রেফতার, নির্যাতন চালানো হচ্ছে শত শত হেফাজত নেতাকর্মী, আলেম উলামা, ছাত্র ও তৌহিদী জনতার উপর।

তিনি বলেন, রমজানের এই পবিত্র মাসে ফিতনা-ফাসাদ এবং প্রতিহিংসা পরিহার করার শিক্ষা যখন ইসলাম আমাদেরকে দেয়, তখন সরকার আলেম-উলামাদের বন্দি করে রিমান্ডে নিয়ে অমানবিক নির্যাতন করছে। আমার এই সকল সহকর্মীগণ হাজতের নোংরা পরিবেশে স্বাচ্ছন্দে গোসল, অজু, নামাজ আদায়, পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত, সাহরি ও ইফতার করতে পারছেন না। এসব জুলুম, বর্বরতা, মানবতার অপমান দেখে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন নাখোশ হবেন।

গণপ্রতিরোধ ও প্রতিবাদ ছাড়া সহজে আলেম উলামাদের গ্রেফতারের জন্য লকডাউন আরো এক সপ্তাহ বাড়িয়ে সরকার সমগ্র দেশবাসীকে কষ্ট দিচ্ছে এমন অভিযোগ করে আল্লামা জুনাইদ বাবুনগরী বলেন, দেশের নিম্নআয়ের গরীব মানুষকে আর হয়রানি ও কষ্ট না দিয়ে আমার কাছে তালিকাটা পাঠান, আমি অভিযুক্তদের সকলকে নিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে জেলে চলে যাবো। একজন পুলিশও পাঠাতে হবে না। এর বিনিময়ে আপনারা লকডাউন তুলে নিন। আল্লামা বাবুনগরী বলেন, লকডাউনের অজুহাতে জোর, জবরদস্তি করে যে সকল মাদরাসা ও হেফজখানা বন্ধ করে কোরআন-হাদীসের চর্চা বন্ধ করে দিয়েছেন, সেগুলো খুলে দিন। যাতে কোরআন-হাদীসের ব্যাপক চর্চার বরকতে দেশের উপর আল্লাহর রহমত নাযিল হয়।

দেশবাসীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, হেফাজতে ইসলামীর আন্দোলন সব সময়ই শান্তিপূর্ণ ছিল এবং ভবিষতেও তাই থাকবে। বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ করা দেশবাসীর সাংবিধানিক অধিকার। কোন সরকারই জনগণের এই মৌলিক অধিকার কেড়ে নিতে পারে না। কথিত ‘তাÐব ও ভাঙ্গচুর’-এর অভিযোগে সারাদেশে গত আট বছরে যত মামলা হয়েছে, তার সবই অবৈধ, ষড়যন্ত্রমূলক ও মিথ্যা। বিনা শর্তে ষড়যন্ত্রমূলক এই সকল মিথ্যা মামলা বাতিল করুন, কারাবন্দী সকল আলেম উলামাদেরকে মুক্তি দিন।

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস : বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমীর শায়খুল হাদীস আল্লামা ইসমাঈল নূরপুরী, সিনিয়র নায়েবে আমীর মাওলানা ইউসুফ আশরাফ, নায়েবে আমীর মাওলানা আফজালুর রহমান, মাওলানা রেজাউল করিম জালালী ও যুগ্মমহাসচিব মাওলানা আব্দুল আজিজ এক বিবৃতিতে বলেন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের যুগ্মমহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমীনকে মোহাম্মদপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নেতৃবৃন্দ বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব আল্লামা মামুনুল হক, যুগ্মমহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন, মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন, মাওলানা কোরবান আলীসহ আটককৃত সকল আলেম-উলামাদের নিঃশর্ত মুক্তি দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানান। অন্যথায় আলেম-উলামারা ঐক্যবদ্ধভাবে কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে।

নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, অতীতেও অনেক স্বৈরশাসক দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থাকার জন্য বিরোধী মতের লোকদের গ্রেফতার হয়রানি ও নির্যাতন করেও শেষ পর্যন্ত ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারেনি। সুতরাং আল্লাহকে ভয় করুন। তারা বলেন, রমজান মাসে আলেম-উলামারা কোরআন খতমসহ ইবাদাত-বন্দেগীতে মশগুল থাকেন। রমজানে ইবাদাতের সুযোগ না দিয়ে আলেম-উলামাদের এভাবে গ্রেফতার ও হয়রানি আল্লাহর গযব ডেকে আনবে। আলেমদের হয়রানি ও গ্রেফতার বন্ধ করুন। অন্যথায় দেশের জনগণ রাজপথে নামতে বাধ্য হবে।

 

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
মোঃ+দুলাল+মিয়া ২৩ এপ্রিল, ২০২১, ১:৪০ এএম says : 0
আসসালামুআলাইকুম অরাহমাতুললাহ অবারাকাতু,দেখেন আলেমদের বেপারে বলেন অথবা আরো কিছু বলেন সারাদিন চিতকার করে কোন লাভ হবে না,যতে দিন পযন্ত ইসলামী দল গুলি ঐক্যবদ্ধ না হবে,আর সংসদীয় পদ্ধতি বাতিল করে রাষ্ট্র পতি পদ্ধতি চালু না হবে,সংসদীয় পদ্ধতি দলীয় এবং রাজতন্ত্রের মতো,জরুরি ঈদের পরে সবাই বসতে হবে সংগ্রাম গড়ে তোলার জন্য পসতুত হতে হবে,সংসদীয় পদ্ধতি বাতিল করতে হবে,এই ছাড়া অন্য রাস্তা নেই।সেইটা একমাত্র সেনাবাহিনী করতে পারবে।সংসদীয় পদ্ধতিতে সেনাবাহিনীরও কোন্ মূল্য নেই,রাষ্ট্রপতি পদ্ধতি হলে সেনাবাহিনীর হাতে ক্ষমতা আংশিক থাকে,রাষ্ট্রপতি যদি কোনো রকম উল্টা পাল্টা চলে সেখানে সেনাবাহিনী হস্তক্ষেপ করতে পারবে,কিন্তু সংসদীয় পদ্ধতি হলো দলীয় সেখানে সেনাবাহিনীর ভুমিকা নেই,তাই জনগণের অধিকার আদায় করতে হলে বর্তমানে সেনাবাহিনী ক্ষমতায় নিতে হবে,এবং সেনাবাহিনী নির্বাচনের মাধ্যমে একজন রাষ্ট্র পতির নিকটে ক্ষমতা দিবে,এইটাই এখন সিদাপথ।
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন