টাঙ্গাইলের সখিপুর উপজেলায় বিচার দাবি ও মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন একটি ভুক্তভোগী পরিবার। গত শুক্রবার সকাল ১১টায় সখিপুর রিপোর্টার্স ইউনিটির কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে আহত আ. আজিজের অন্তসত্বা স্ত্রী সোনিয়া আক্তার প্রকাশিত সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ করে প্রকৃত ঘটনার বর্ণনা করেন এবং প্রশাসনের কাছে তদন্ত পূর্বক ন্যায় বিচার কামনা করেন। তিনি বলেন, প্রতিবেদনে যা উল্লখ করা হয়েছে তা সবই মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। আমি ওই প্রতিবেদকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। ভুক্তভোগী আ. মালেকের স্ত্রী সাহিদা বেগম ও মেয়ে নাসরিন বলেন, আ. হাকিমের পরিবার দ্বারা আমরা বহুবার শারীরিকভাবে লাঞ্চিত হয়েছি। তার ছোট চাচা মওলানা আ. আলীমের স্ত্রীকেও আ. হাকিমগংরা চারবার শারীরিক নির্যাতন করেছে। তিনিও মানসম্মানের ভয়ে সব কষ্ট এতদিন নিরবে হজম করেছেন।
জানা যায়, উপজেলার হাতিবান্ধা ইউনিয়নের হাতীবান্ধা দক্ষিণপাড়ায় জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে আ. হাকিম (৫০) আ. হাকিমের স্ত্রী, দুই মেয়ে ও মেয়ের জামাইয়ের হামলায় ছোট ভাই আব্দুল আজিজ (৪৬) আজিজের অন্তসত্বা স্ত্রী সোনিয়া (৩২) মেয়ে নাফিসা (১৩) ফাউজিয়া (৭) ও ২ বছরের শিশু মেয়ে ফাতিহা গুরুতর আহত হয়। আহতদের চিৎকারে অভিযুক্ত আ. হাকিমের ছোট ভাই মুফতি আব্দুল মালেক (৪৮) তার স্ত্রী সাহিদা বেগম (৪০) মেয়ে নাসরিন (১৭) মাওলানা আব্দুল আলীম (৪৫) এগিয়ে আসলে তাদের ওপরেও হামলা করা হয়। এই হামলায় তারাও গুরুতর আহত হয়। আহতদের মধ্যে পাঁচজনকে সখিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে আব্দুল আজিজের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. আমির হোসেন বলেন, জমি সংক্রান্ত বিরোধের বিষয়ে তাদের মাঝে কমপক্ষে বিশবার মীমাংসা করা হয়েছে। কিন্তু আ. হাকিমগংরা বিষয়টি খাম খেয়ালীভাবে অমান্য করেছে। তিনি এর বিচার দাবি জানান। এ ব্যাপারে সখিপুর থানার এসআই ওমর ফারুক বলেন, দুই পক্ষের দুইটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন