মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

ঢিমেতালে চলছে মেরামত : জনদুর্ভোগ

নওয়াপাড়া-যশোর মহাসড়ক

নজরুল ইসলাম মল্লিক, অভয়নগর (যশোর) থেকে | প্রকাশের সময় : ২৫ এপ্রিল, ২০২১, ১২:০১ এএম

যশোর-খুলনা মহাসড়কের নওয়াপাড়া থেকে যশোর অভিমুখে যেতে প্রায় ১০ কিলোমিটার সড়ক খুবই ক্ষতিগ্রস্ত। নতুন রাস্তা অল্প দিনের মধ্যেই সৃষ্টি হয়েছে নানা রকম উঁচু-নিচু ঢিবি। ঈদকে সামনে রেখে ঢিলেঢালাভাবে চলছে মেরামত কাজ।

সরেজমিনে দেখা যায় যশোর-খুলনা মহাসড়কের ভাঙাগেট নামক স্থানে সড়কের কিছু অংশ কেটে আবার কিছু অংশ খুড়ে পুনরায় তা নির্মাণ করার চেষ্টা করছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান তমা গ্রæপের কর্মচারীরা। কাছে গিয়ে জানতে চাইলে সুপারভাইজার জানান, তিনি তেমন কিছু জানেন না, তবে গত ৭ এপ্রিল থেকে সড়কের যে অংশ ফুলে ফেঁপে উঠেছে এবং ভেঙে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে সেই অংশের কিছু জায়গা খুড়ে পুনরায় মেরামত করার কাজ শুরু হয়েছে। তবে কাজেরমান কেমন হচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি কিছুই বলতে চাননি। তাছাড়া সড়কের যে অংশ ফুলে গিয়ে রাস্তার মধ্যে উঁচু নিচু ঢিবি তৈরি হয়েছে সেই অংশ সমান করার চেষ্টা হচ্ছে। ফলে তার ওপর থেকে বিটুমিন, কেমিক্যালসহ প্রয়োজনীয় উপাদান কাটা পড়ে শুধুমাত্র খোয়া থেকে যাচ্ছে। আসছে বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির ফোঁটা পড়লে এবং তার ওপর দিয়ে গাড়ির চাকা উঠলেই ছড়িয়ে যাবে। ফলে সড়কের অবস্থা যে তিমিরে ছিলো সেই তিমিরেই রয়ে যাবে। এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, আপাতত আমাদের কাজটা শেষ করে রিপোর্ট দিতে হবে এমন নির্দেশনাই রয়েছে। কাজেরমান নিয়ে নানা প্রশ্নের কোন জবাব দিতেও রাজি হয়নি ওই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের সুপারভাইজার।

এ প্রসঙ্গে অভয়নগর ট্যাংক-লড়ি শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা হান্নান শেখ বলেন, সড়কে খানাখন্দের কারণে গাড়ি চালতে অনেক সমস্যা হয়। অল্প সময়ে গাড়ি নষ্ট হয়ে যায়। অনেক সময় ব্যয় হয়। দুর্বল গাড়িগুলো মাঝে মধ্যে খানাখন্দে আটকে বন্ধ হয়ে যায়।

উল্লেখ্য, নওয়াপাড়া-যশোর সড়কের মূলকাজ শেষ হয় ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে। তাদের অভিযোগ, ওভারলোডিং-এর কারণে রাস্তা এরকম উঁচু-নিচু ঢিবির সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয়ে ভাঙাগেট এলাকার নিজাম সরদার বলেন, যশোর-খুলনা মহাসড়কের অভয়নগরের রাজঘাট শেষ সীমানা থেকে রূপদিয়া পর্যন্ত সড়ক নির্মাণের কাজ করে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ‘তমা কনস্ট্রাকশন’। কাজ শেষ না হতেই সড়কের বিভিন্ন জায়গায় বিটুমিন ও খোয়া একজায়গায় জড়ো হয়ে সড়কের বিভিন্ন জায়গায় উঁচু নিচু ঢিবির সৃষ্টি হয়। এমনকি বিভিন্ন জায়গায় খানাখন্দের সৃষ্টি হয়। যে কারণে আমাদের চলাচলে ব্যাপক সমস্যায় পড়তে হয়। এই রাস্তার কারণে প্রায়ই ঘটে দুর্ঘটনা। এমনকি বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় সংবাদের শিরোনামও হতে দেখা গেছে। আবার বিভিন্ন সময় এনিয়ে আন্দোলন সংগ্রামও হয়। কিন্তু এখনও পর্যন্ত যশোর-খুলনা মহাসড়কের নির্মাণ কাজ সুসম্পন্ন হয়নি।

স্থানীয় ব্যবসায়ী আব্দুল মকিত জানান, যশোর-খুলনা মহাসড়ক জনগুরুত্বপ‚র্ণ সড়ক। কারণ এ সড়ক দিয়ে শিল্পশহর নওয়াপাড়া থেকে সারাদেশে সার-কয়লা, পাথরসহ বিভিন্ন সামগ্রী সরবরাহ হয়ে থাকে। যে কারণে এ সড়কে ভারি যানবহনের চলাচল অনেক বেশি। সেই হিসেব মাথায় রেখে এই সড়কটিকে পুণঃনির্মাণ ছাড়া এ সড়কের স্থায়ীত্ব আসবে না। তাদের দাবি সড়কের বিভিন্নস্থানে নামকাওয়াস্তে মেরামত না করে নতুন করে সড়কটি নির্মাণ করা হোক।

এ বিষয়ে সড়ক ও জনপদ বিভাগের যশোরের নির্বাহী প্রকৌশলী মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, জনদুর্ভোগ কমাতে ঈদের আগে সড়কের রিপারিং কাজ শেষ করার জন্য সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, যেখানে যেখানে রাস্তা খারাপ আছে শুধু সেই জায়গাগুলো রিপারিং করা হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন