শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

মালিকরা লঞ্চ চালাতে চান

ট্রেন চলাচলের প্রস্তুতি

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৫ এপ্রিল, ২০২১, ১২:০০ এএম

আগামী ২৯ এপ্রিল বৃহস্পতিবার থেকে গণপরিবহন চললে একই সঙ্গে ট্রেনও চলবে বলে জানিয়েছেন রেলপথমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন। তিনি বলেন, এ লক্ষ্যে ট্রেন চলাচলের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। গতকাল শনিবার দুপুরে তিনি গণমাধ্যমকে এসব কথা বলেন। রেলমন্ত্রী বলেন, ট্রেন চলাচলের জন্য আমরা প্রস্তুত রয়েছি। সরকার যদি ২৯ এপ্রিল থেকে গণপরিবহন চালুর সিদ্ধান্ত নেয় তাহলে ট্রেন চলাচলও শুরু হবে। তবে সেটা স্বাস্থ্যবিধি মেনে।

এর আগে গত ৩ এপ্রিল রেলপথমন্ত্রী ঘোষণা দেন, করোনাভাইরাসের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় জরুরি খাদ্যবাহী ট্রেন ছাড়া সব প্রকার যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকবে। যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকলেও পণ্যবাহী পার্সেল ট্রেন কঠোর নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও চলাচল করেছে।

এদিকে, চলমান লকডাউনের (বিধিনিষেধ) মেয়াদ শেষে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আগামী ২৯ এপ্রিল থেকে লঞ্চও চালাতে এবার চান মালিকরা। বাস মালিকদের মতোর এবার সরকারের কাছে তারা এ দাবি জানিয়েছেন। এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিদ্ধান্তের অপেক্ষা করছেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় ও বিআইডবিøউটিএ। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে কঠোর লকডাউন শেষ হচ্ছে আগামী ২৮ এপ্রিল মধ্যরাতে। তবে মালিকদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আজ রোববার থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত দোকান ও শপিংমল খোলা রাখার অনুমতি দিয়েছে সরকার। ২৯ এপ্রিল থেকে বাস চালানোর দাবি জানিয়েছে মালিকরা।

গত শুক্রবার জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন সাংবাদিকদের জানান, আগামী ২৯ এপ্রিল থেকে বিধিনিষেধ শিথিল হচ্ছে। লকডাউনের মেয়াদ আর বাড়ছে না। তবে স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে কঠোর হবে সরকার। গতকাল শনিবার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, চলমান লকডাউনের পরে জনস্বার্থ বিবেচনায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে শর্তসাপেক্ষে সরকার গণপরিবহন চালুর সক্রিয় চিন্তা-ভাবনা করছে।

গতকাল দুপুরে বাংলাদেশ আভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল (যাত্রী পরিবহন) সংস্থার সিনিয়র সহ-সভাপতি বদিউজ্জামান বাদল সাংবাদিকদের বলেন, আমরা লঞ্চ চালু করার দাবি জানিয়েছি। ২৯ এপ্রিল থেকে আমরাও স্বাস্থ্যবিধি মেনে লঞ্চ চালাতে চাই। নদীতে তো করোনা নেই। আগেও যখন আমরা লঞ্চ চালিয়েছি, স্বাস্থ্যবিধি মেনেই চালিয়েছি। যাত্রীরাও আমাদের সহযোগিতা করেছেন। তিনি বলেন, আমরা কিছুদিন ধরেই লঞ্চ চালু করার আবেদন জানিয়ে আসছি। কিন্তু আমাদের কথা শোনেনি। আমরা বলেছি, ছোট ছোট লঞ্চগুলো যেগুলো কাছাকাছি দূরত্বে চলাচল করে, এই লঞ্চের মালিকরা অনেকটা দিনে আনে দিনে খায়, এদের অবস্থা খুবই খারাপ। এই ধরনের লঞ্চের সংখ্যা সাড়ে ৬০০-এর মতো। যখন ঢাকার মধ্যে বাস ছাড়ল আমরা বলেছি, ছোট ছোট লঞ্চগুলো যেগুলো ১০০ কিলোমিটারের মধ্যে চলাচল করে সেগুলো চলতে দেয়া হোক। কিন্তু অনুমতি দেয়া হয়নি।

এ বিষয়ে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দীন চৌধুরী ইনকিলাবকে বলেন, লঞ্চ চলবে কী চলবে না, সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। তারা অনুমোদন দিলে লঞ্চ চলবে। তবে মালিকদের দাবি, স্বাস্থ্যবিধি মানাসহ বিভিন্ন বিষয়ে আমরা সচেতন আছি। আমরা এই বিষয়গুলো নিয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সঙ্গেও কথা বলব। সিদ্ধান্ত মূলত মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকেই আসবে, সেটাই আমরা ফলো করব।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডবিøউটিএ) চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক বলেন, আমাদের এ বিষয়ে কিছু করার নেই, সরকারের নির্দেশনা আমরা ফলো করব। সরকার যদি ২৯ এপ্রিল থেকে গণপরিবহন খুলে দেয় তবে লঞ্চও চলবে। করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতির মধ্যে ধারণক্ষমতার অর্ধেক যাত্রী পরিবহনের সরকারি নির্দেশনার প্রেক্ষাপটে গত ১ এপ্রিল থেকে লঞ্চে ডেকের ভাড়া ৬০ শতাংশ বাড়ানো হয়। পরে ৫ এপ্রিল থেকে কঠোর লকডাউন দেয়া হলে ওই দিন থেকে যাত্রীবাহী নৌযান (লঞ্চ) চালাচল বন্ধ রয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
শওকত আকবর ২৫ এপ্রিল, ২০২১, ৯:৩৭ এএম says : 0
যৌক্তিক দাবী!দোকানপাট শপিংমল গনপরিবহন রেল চলাচল করলে লন্চ চলবে না কেনো?সামনে ঈদ ঘরমুখো মানুষের ঢল সামলাবেন কি ভাবে?খুলে দিবেন তো সব খুলবেন!নইলে বিমাতা সুলভ আচারনের মতো দেখায়।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন