মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর) উপজেলা সংবাদদাতা
মঠবাড়িয়া উপজেলার ১১নং বড়মাছুয়া ইউনিয়নের উত্তর বড়মাছুয়া গ্রামের নূরুল আমীন আকনের মেঝ ছেলে মোঃ দুলাল (৪৫) টঙ্গী বিসিক শিল্পনগরীতে ট্যাম্পাকো ফয়লস লিমিটেডের পলি প্যাকেজিং কারখানার কর্মচারী ছিল। প্রতিদিনের ন্যায় গত শনিবার সকাল পৌনে ৬টার দিকে কারখানায় প্রবেশ করে দুলাল। ৬টায় তার ডিউটি। ৬টার সময় দুলাল যখন ডিউটি শুরু করবে ঠিক তখনই বিকট শব্দে ৫ তলাবিশিষ্ট কারখানা ভবন ভেঙ্গে পড়লে দেয়ালের নিচে চাপা পরে ঘটনাস্থলেই দুলালের মৃত্যু হয়। হতভাগা দুলাল স্ত্রী, ১ মেয়ে ও ২ ছেলে সন্তান নিয়ে গাজীপুর এলাকায় বসবাস করত। শনিবার ডিউটি শেষ করে রাতের গাড়িতে স্ত্রী ও সন্তানসহ বাড়িতে ঈদ করতে আসার কথা ছিল দুলালের। টঙ্গী ট্র্যাজেডি দুলালকে বাড়িতে এসে পরিবার-পরিজনের সাথে ঈদ করতে দিল না। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে গতকাল রোববার স্ত্রী ও সন্তানসহ দুলালের নিথর দেহ বাড়িতে এসেছে। দুপুরে জানাযা শেষে দুলারের লাশ পারিবারিক কবর স্থানে দাফন করা হয়েছে। নিহত দুলালের চাচাত ভাই সাংবাদিক মোঃ সোহেল আমিন জানান, সরকার ও কোম্পানির নিকট থেকে এখন পর্যন্ত কোন আর্থিক সাহায্য পাওয়া যায়নি। উল্লেখ্য, শনিবার ভোরে গাজীপুরের টঙ্গী বিসিক শিল্পনগরীতে ট্যাম্পাকো ফয়লস লিমিটেডের পলি প্যাকেজিং কারখানায় অগ্নিকা-ে অন্তত ২৫ জন নিহত হয়েছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন