বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

গণপরিবহন চালুর দাবিতে সৈয়দপুরে বিক্ষুদ্ধ শ্রমিকদের ঘন্টাব্যাপী মহাসড়ক অবরোধ

সৈয়দপুর (নীলফামারী) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৯ এপ্রিল, ২০২১, ৩:০৫ পিএম

অবিলম্বে গণপরিবহন চালুর দাবিতে নীলফামারীর সৈয়দপুরে ঘন্টাব্যাপী মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষুদ্ধ পরিবহন শ্রমিকরা। গতকাল বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) সৈয়দপুর কেন্দ্রীয় বাস-টার্মিনাল সংলগ্ন ট্রাফিক পুলিশ সিগনাল এলাকায় ওই অবরোধ করা হয়েছে।

বেলা পৌণে ১১ টার দিকে বিক্ষুদ্ধ পরিবহন শ্রমিকরা সৈয়দপুর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে বাস-মিনিবাস, মাইক্রোবাস বের করে নিয়ে এসে সৈয়দপুর কেন্দ্রীয় বাস-টার্মিনাল সংলগ্ন ট্রাফিক পুলিশ সিগনাল এলাকায় দিনাজপুর - রংপুর মহাসড়কে এলোপাতাড়ি রেখে অবরোধ সৃষ্টি করেন। দুপুর পৌণে ১২ টা পর্যন্ত প্রায় ঘন্টাব্যাপী অবরোধকালে সৈয়দপুর - রংপুর, সৈয়দপুর-দিনাজপুর, সৈয়দপুর - নীলফামারী, পার্বতীপুর- সৈয়দপুর সড়ক ও মহাসড়কের উভয় পাশে বিভিন্ন রকম যানবাহন আটকা পড়ে। এতে উল্লিখিত সড়ক ও মহাসড়কে ট্রাক, মাইক্রোবাস, কার, পিকআপ, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, রিকশা, রিকশাভ্যানে থাকা নানা পেশার বিভিন্ন বয়সী লোকজন চরম দূর্ভোগে পড়েন। সাধারণ পরিবহন শ্রমিকদের সড়ক ও মহাসড়ক অবরোধের খবর পেয়ে নীলফামারী জেলা বাস-মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক পরিবহন শ্রমিক নেতা মো. মমতাজ আলী দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুঁটে আসেন। তিনি এ সময় সেখানে বিক্ষুদ্ধ পরিবহন শ্রমিকদের উদ্দেশ্যে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন। পরে তাঁর আশ^াসের পরিপ্রেক্ষিতে বিক্ষুদ্ধ পরিবহন শ্রমিকরা অবরোধ তুলে দেন। পরে সকড় ও মহাসড়কের সকল প্রকার যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
সৈয়দপুর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিক্ষুদ্ধ এক পরিবহন শ্রমিক জানান, সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউনের কারণে গত ১৪ এপ্রিল থেকে সারাদেশে গণপরিবহন চলাচল সম্পূর্ণভাবে বন্ধ রয়েছে। এতে গণপরিবহনে নিয়োজিত সাধারণ শ্রমিকরা একবারে কর্মহীন হয়ে পড়েছে। প্রতিদিনের আয়-রোজগার না থাকায় তারা পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। গত বছর করোনাকালে গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও সরকারি- বেসরকারিভাবে পরিবহন শ্রমিকদের নানাভাবে সাহায্য-সহযোগিতা দেওয়া হয়। কিন্তু এবারে কঠোর লকডাউনের দীর্ঘ প্রায় ১৫ দিন গত হলেও এখন পর্যন্ত সরকারি- বেসরকারিভাবে কোন রকম সহায়তা প্রদান করা হয়নি। এতে করে পরিবহন শ্রমিকরা সংসারের দৈনন্দিন ব্যয় মেটাতে চরম বিপাকে পড়েছেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন