বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

নেছারাবাদে সাময়িক বহিষ্কৃত ইউপি চেয়ারম্যান আইনি লড়াইয়ে যাবেন

নেছারাবাদ (পিরোজপুর) সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৯ এপ্রিল, ২০২১, ৫:৫৭ পিএম

নেছারাবাদ কার্ডধারি জেলেদের মধ্য চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় ইউপি চেয়ারম্যান আশিষ বড়ালকে সাময়িক বরখাস্থ করা হয়েছে এক চিঠির মাধ্যমে। এ মর্মে তাকে কেন স্থায়ীভাবে বরখাস্থ করা হবেনা চিঠি প্রাপ্তির দশ কার্যদিবসের মধ্য তাকে কারন দর্শাতে বলা হয়েছে। নিবন্ধনধারি জেলেদের মধ্য সুষ্ঠভাবে চাল বিতরণ হয়েছে বলে দাবি করে চেয়ারম্যান আশিষ বড়াল কারণ দর্শানোর জবাব দিবেন। পাশাপাশি তিনি সঠিক নিয়মে চাল বিতরণ করেছেন বলে দাবী করে তার বিরুদ্ধে স্থানীয়ভাবে ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে আইনি লড়াইয়ে যাবেন তিনি। বৃহস্পতিবার দুপুরে তিনি স্থানীয় সাংবাদিকদের এ কথা বলেছেন।

ইউপি চেয়ারম্যান আশিষ বড়াল বলেন, জলাবাড়ীতে জেলেদের জন্য ৯১৬ বস্তা চাল আসে। সে চাল বিতরণে রেজুলেশন করে তার পরিষের চার ইউপি সদস্যদের দায়িত্ব দেন। চাল বিতরণ করতে গিয়ে উপজেলা মৎস্য অফিসের প্রতিনিধি ফিরোজ আহম্মেদ চাল বিতরণ না করেই গোডাউন থেকে ৩৬ বস্তা চাল গায়েব হয়েছে বলে ইউএনও কে জানান। পরে ১৪ এপ্রিল পুনরায় উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ও কর্মচারী ফিরোজ আহম্মেদ এবং ট্যাগ অফিসারের উপস্থিতিতে চেয়ারম্যান দাড়িয়ে থেকে জেলেদের মধ্য সঠিকভাবে চাল বিতরণ হয়। চেয়ারম্যান আরো বলেন, সে দিন চাল বিতরণে ৩৬ বস্তার পরিবর্তে গোডাউন থেকে মাত্র দুই বস্তা চাল কম পান বলে মৎস্য কর্মকর্তা তার(চেয়ারম্যানের) কাছ থেকে সহি নেন। আর ওই দুই বস্তা চাল তার ইউনিয়নের দুইটি ওয়ার্ডে ভুলক্রমে বেশি চলে যাওয়ায় সেই চালও গোডাউনে ফেরত আসে বলে তিনি দাবী করেন। তাই চাল বিতরনে অনিয়মের বিষয়টি কোনক্রমেই মানতে রাজি নন তিনি।

সাময়িক বহিস্কৃত ইউপি চেয়ারম্যান আশিষ বড়াল অভিযোগ করে বলেন, তার বিরুদ্ধে একদল লোক সর্বদা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তাদের মদদে চাল বিতরণকালে স্থানীয় গুটি কয়েক লোক চাল গায়েবের খবর গায়িবিভাবে কথাটি বলে ষড়যন্ত্র করেছেন। কিন্তু কোন ষড়যন্ত্রই স্থায়ী হবেনা। তাই শত্রুর ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে তিনি লড়ে যাবেন বলে জানান।

নেছারাবাদ উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল হক বলেন, প্রথমে শুনেছিলাম গোডাউন থেকে ৩৬বস্তা চাল গায়েব হয়েছে। পরে ইউপি চেয়ারম্যান আশিষ বড়ালকে ফোন দিয়ে জানতে পেরেছি। মৎস্য কর্মকর্তা,ট্যাগ অফিসার ও চেয়ারম্যান দাড়িয়ে থেকে জেলেদের মধ্য চাল বিতরণ করেছেন। চাল বিতরণকালে মাত্র দুই বস্তা চালের ঘাটতি হয়েছিল। পরে স দুই বস্তারও হিসাব পাওয়া গেছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন