শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

করোনা ভাইরাস ইস্যুতে ভারতকে রেমডেসিভির দিতে চাইছে বাংলাদেশ, দিল্লিতে জানালেন শ্রিংলা

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৯ এপ্রিল, ২০২১, ৬:১০ পিএম

রেমডেসিভির নিয়ে চীন এবং যুক্তরাষ্ট্রে গবেষণা হয়েছে।ভারতের পররাষ্ট্রসচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা বলছেন বাংলাদেশ ভারতকে করোনাভাইরাস চিকিৎসায় ব্যবহৃত রেমডেসিভির ঔষধ দিয়ে সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছে। একই সাথে আজ ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকেও ভারতকে ঔষধ ও চিকিৎসা সরঞ্জাম দেয়ার প্রস্তাবের কথা জানানো হয়েছে। তবে বাংলাদেশের তালিকায় ঔষধের কথা বলা হলেও তাতে সুনির্দিষ্টভাবে রেমডেসিভিরের কথা বলা হয়নি। -বিবিসি বাংলা

রেমডেসিভির কোভিড-১৯ চিকিৎসায় ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত একটি ঔষধ। বাংলাদেশের আটটি কোম্পানির এ ঔষধ তৈরির অনুমোদন রয়েছে।

সম্প্রতি ভারতে করোনা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি হওয়ার প্রেক্ষাপটে দেশটিতে এ ঔষধের প্রচণ্ড চাহিদা তৈরি হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে রেমডেসিভিরের পেটেন্ট যাদের, সেই গিলিয়ার্ডের সঙ্গেও সরাসরি ভারত যোগাযোগ রাখছে বলে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।

হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা বলেছেন, "বাংলাদেশ বলছে যে আমরা রেমিডিসিভির উৎপাদন করছি। আমাদের কাছ থেকে নিন। কেন তারা বলছে, কারণ তারা অনুভব করছে যে এটাই সহযোগিতার সময়। ভারত আমাদের সহযোগিতা করছে এবং আমাদেরও তাদের সহযোগিতা করতে হবে"।

তার এই ব্রিফিংয়ে টিকার প্রসঙ্গও এসেছে তবে তিনি বাংলাদেশকে সিরাম ইন্সটিটিউটের টিকা দেয়া নিয়ে যে সংকট তৈরি হয়েছে তা নিয়ে সরাসরি কোন মন্তব্য করেননি।

তিনি বলেন, "বিশ্বে এখন সবাই একে অন্যের ওপর নির্ভরশীল। আমরা দিচ্ছি এবং নিচ্ছিও। আপনি যাই উৎপাদন করেন সেখানে একটি সাপ্লাই চেইন থাকে- ফার্মাসিউটিক্যালসের ক্ষেত্রে কেউ কোন উপাদান সরবরাহ করে আবার আপনি পুরোপুরি তৈরি পণ্য সরবরাহ করলেন। আমার মনে হয় ভ্যাকসিনকেও সেভাবেই দেখতে হবে। আমরা আমাদের ভ্যাকসিন কর্মসূচি শুরু করেছি। আন্তর্জাতিক সহযোগিতার বিষয়ও আছে"।

মি. শ্রিংলা বলেন, "এই মুহূর্তে আমাদের প্রয়োজন যে অনেক বেশি, সেটা আমাদের পার্টনার বা অংশীদার দেশগুলোও সবাই উপলব্ধি করছে"।

প্রসঙ্গত, ভারতের সিরাম ইন্সটিটিউট তিন কোটি ডোজ টিকা দেয়ার জন্য বাংলাদেশের বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের সাথে চুক্তি করে দেড় কোটি ডোজের অগ্রিম টাকা নিলেও সময়মত সব টিকা দিতে পারেনি। জানুয়ারি থেকে প্রতি মাসে ৫০ লাখ ডোজ করে টিকা বাংলাদেশকে দেয়ার কথা থাকলেও এ পর্যন্ত মাত্র ৭০ লাখ ডোজ টিকা তারা দিয়েছে। ফলশ্রুতিতে টিকা কর্মসূচি নিয়ে তীব্র সংকটে পড়েছে

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় তারা ভারতকে জরুরি ঔষধ ও চিকিৎসা সামগ্রী সহায়তা হিসেবে দেয়ার প্রস্তাব দিয়েছে। এক বিজ্ঞপ্তিতে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে যে এ সহায়তা সামগ্রীর মধ্যে দশ হাজার অ্যান্টি ভাইরাল ইনজেকশন, অ্যান্টি ভাইরাল ঔষধ, ৩০ হাজার পিপিই এবং কয়েক হাজার জিংক, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন সি ও অন্য দরকারি ঔষধ। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় এই সংকটের সময়ে ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী ভারতের পাশে আছে বাংলাদেশ এবং প্রয়োজনে আরও সহায়তা দিতে বাংলাদেশ আগ্রহী

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন