বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ইসলামী জীবন

দৈনন্দিন জীবনে ইসলাম

| প্রকাশের সময় : ৩০ এপ্রিল, ২০২১, ১২:০৩ এএম

প্রশ্ন : আমার বাবা অতি বৃদ্ধ ও অসুস্থ। ভবিষ্যতে রোজা রাখার শক্তি আর হবে বলে মনে হয় না। কাফফারাহ দিতে চাই। কাফফারাহ কীভাবে দেব? একজনকে বা বহুজনকে দেওয়া যায় কি না? যিনি কাফফারাহ নিবেন তাকে কি দ্বিগুণ রাখতে হবে? যাকে বদলি রোজা বলে।
উত্তর : আপনার বাবার যে অবস্থা এমন মানুষ কাফফারাহ দিতে পারে। কাফফারাহ অর্থ নিজে রোজা না রাখতে পারায় প্রতি রোজার বদলে একটি ফিতরার সমান টাকা গরীবকে দান করা। এটি একজন রোজাদারকে ইফতার ও সাহরী বা দু’বেলা খানা খাওয়ানোর বিধান। কাফফারাহ একজনকেও দেওয়া যায়, বহুজনকেও দেওয়া যায়। তবে কাফফারাহ গ্রহণকারী শুধু নিজের রোজাগুলিই রাখবেন। দ্বিগুণও রাখবেন না, অন্যের বদলি রোজাও না। উদাহরণ স্বরূপ চলতি বছর ৭০ টাকা ফিতরার সর্বনিম্ন মূল্য। ৩০ রোজার জন্য কাফফারাহ হবে ৭০দ্ধ৩০=২১০০ টাকা। এ হচ্ছে সর্বনিম্ন, কেউ ইচ্ছে করলে আরও বেশিও দিতে পারে বা খরচ যতই হোক একজন রোজাদারকে একমাস দু’বেলা খানা খাইয়ে দিতে পারে।
প্রশ্ন : এক অজু দিয়ে জোহর থেকে মাগরিব পর্যন্ত নামাজগুলো পড়লে কি বিশেষ কোনো সওয়াব পাওয়া যাবে? এক্ষেত্রে অজু ভেঙ্গে গেলে কোনো ক্ষতি হবে কি?
উত্তর : এক অজু দিয়ে অধিক নামাজ পড়ার মধ্যে কোনো সওয়াব নেই। একাধিক ওয়াক্তের নামাজ এক অজু দিয়ে পড়ার বিষয়টিও কোনো ফযিলতের নয়। এমন অজু ভেঙ্গে গেলে কোনো ক্ষতিরও সম্ভাবনা নেই। স্বাভাবিকভাবে যদি অজু থেকে যায়, তাহলে তা দিয়ে যত ওয়াক্ত সম্ভব নামাজ পড়া চলে। মাঝে অজু করার প্রয়োজন হলে বারবার অজু করতে কোনো দোষ নেই। এখানে একটি কথা আলোচনা করা যেতে পারে সেটি হলো, সম্ভাব্য সকল সময় অজু অবস্থায় থাকা। তা অজু ভাঙ্গার পরপরই নতুন অজু করে নিলেই সম্ভব। নামাজের ওয়াক্তের সাথে এর কোনো সম্পর্ক নেই। এ অজু দিয়ে ফরজ নামাজ, কোরআন শরীফ স্পর্শ করে তেলাওয়াত ও প্রয়োজনে কাবার তওয়াফ সবই করা যাবে। উল্লেখ্য যে, শরীয়তে এ তিনটি কাজেই শুধু অজু প্রয়োজন হয়।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন