শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

পুলিশ হেফাজতে সাংবাদিক নির্যাতনের অভিযোগ

কুষ্টিয়া থেকে স্টাফ রির্পোটার : | প্রকাশের সময় : ৩০ এপ্রিল, ২০২১, ১২:০১ এএম

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে পুলিশ হেফাজতে বেসরকারি টিভি চ্যানেল এটিএন বাংলার ক্যামেরাপারসন নাজমুস হাসিবকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন সাংবাদিকরা।

গতকাল বেলা ১২টায় কুমারখালী শহরের বাসস্ট্যান্ডে সড়ক অবরোধ করে ঘণ্টাব্যাপী এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেন হাসিবের সহকর্মীরা।

এসময় অনলাইন ইউনাইটেড প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নাহিদ হাসান তিতাস, সহ-সভাপতি মুন্সী শাহীন আহম্মেদ জুয়েল, কুমারখালী কাঙাল হরিনাথ প্রেসক্লাবের সভাপতি কে এম আর শাহীন, সাধারণ সম্পাদক লিপু খন্দকার, এটিএন বাংলার কুষ্টিয়া প্রতিনিধি কে এইচ তুহিন আহম্মেদ, দীপ্ত টিভির কুষ্টিয়া প্রতিনিধি দেবেশ চন্দ্র সরকার, যমুনা টিভির কুষ্টিয়া প্রতিনিধি মাহাতাব উদ্দিন লালন, দৈনিক সত্যখবর পত্রিকার বার্তা সম্পাদক শাহারিয়া ইমন রুবেল, ভয়েস অব কুষ্টিয়ার নির্বাহী সম্পাদক অঞ্জন কৃষ্ণ শীল শুভ, বাংলাদেশ টুডে ও আজকের পত্রিকার কুমারখালী প্রতিনিধি মিজানুর রহমান নয়ন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

সমাবেশে বক্তারা থানা হাজতে সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক বলে আখ্যায়িত করেন এবং এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।

সাংবাদিক নির্যাতনের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে কুমারখালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রাকিব হাসান জানান, যৌথ অভিযানে ঘটনাস্থল থেকে তাকে (নাজমুস হাসিব) আটক করা হয়। থানায় নিয়ে এসে তাকে নির্যাতনের অভিযোগ সঠিক নয়।

প্রসঙ্গত, বুধবার (২৮ এপ্রিল) সকালে উপজেলার বাগুলাট ইউনিয়নের শালঘর মধুয়া গ্রামে আওয়ামী লীগের দুই গ্রæপের সংঘর্ষে এক পুলিশসহ তিনজন আহত হন। এ ঘটনায় পুলিশ এটিএন বাংলার ক্যামেরা পারসন হাসিবসহ নয়জনকে আটক করে। বৃহস্পতিবার আটককৃত নয়জনকে সংঘর্ষ ও পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হলে আদালত হাসিবের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন। বর্তমানে তিনি কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
Dadhack ৩০ এপ্রিল, ২০২১, ১:৫১ পিএম says : 0
We didn't liberated our country not to be oppressed and tortured by the Government. Surah 44: Ayat: 16. যে দিন [কেয়ামত] আমি সর্বাপেক্ষা বড় ধরনের পাকড়াও করবো, নিশ্চয় আমি প্রতিশোধ গ্রহণকারী।[দুনিয়াতে শক্তির বড়াই করতো মানুষকে হত্যা করতো, মানুষকে গুম করত, মানুষের সম্পত্তি লুণ্ঠন করতো ]” আবু ধর বর্ণনা করেছেন: আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বলেছেন: হে আমার বান্দারা, আমি নিজের জন্য জুলুম নিষেধ করেছি এবং তোমাদের মধ্যে আমি তা নিষিদ্ধ করেছি, সুতরাং একে অপরের উপর অত্যাচার করো না। [মুসলিম 2577] আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, "একজন মুসলমান অন্য মুসলমানের ভাই, সুতরাং তার উপর অত্যাচার করা উচিত নয়, তাকে কোন অত্যাচারীর হাতে তুলে দেওয়া উচিত নয়। যে কেউ তার ভাইয়ের চাহিদা পূরণ করে, আল্লাহ তার প্রয়োজন পূরণ করবেন; যে কেউ তার মুসলিম ভাইকে অসুবিধাগুলি থেকে বের করে আনবে, আল্লাহ তাকে কেয়ামতের দিনটির অসুবিধাগুলি থেকে বের করে আনবেন এবং যে কেউ একজন মুসলমানের দোষ ত্রুটি গোপন করবে, আল্লাহ তাকে কিয়ামতের দিন তার দোষ ত্রুটি গোপন করে দেবেন। "যারা জালেম ও মানুষের উপরে জুলুম করে তাদের জন্য আল্লাহ জাহান্নাম প্রস্তুত রেখেছেন".
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন