শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

রামগতির চরকলাকোপা গ্রামে পুকুরে বিষ দিয়ে মাছ নিধন

রামগতি (লক্ষ্মীপুর) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৩০ এপ্রিল, ২০২১, ২:৪৭ পিএম

লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরপোড়াগাঁছা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের চরকলাকোপা গ্রামে এক কৃষকের পুকুরে বিষ দিয়ে মাছ নিধনের ঘটনা ঘটেছে।গত মঙ্গলবার উপজেলার চরপোড়াগাছা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের চরকলাকোপা গ্রামের কিল্লার সমাজের লুতু চকিদার বাড়ীর ইসমাইল হোসেন বক্তারের পুকুরে এ ঘটনা ঘটে। এতে প্রায় আড়াই লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেম।স্থানীয় ও ভুক্তভোগী সুত্রে জানা যায়,চরকলাকোপা গ্রামের ইসমাইল হোসেন বক্তার কিল্লার দিগী নামের একটি পুকুর রেডক্রিসেন্ট থেকে লিজ নিয়ে দীর্ঘ ৩০ বছর পর্যন্ত ব্যবহার করে আসছেন।ঐ পুকুর নিয়ে একই এলাকায় তার প্রতিবেশী জয়নাল আবদীনের ছেলে আবদুল করিম ও তার ছেলে মাসুদ আলম, রুবেল ও নোমানের সাথে তার শত্রুতা তৈরী হয়।তারা ইসমাইল বক্তারের লীজকৃত পুকুর দখলে নিতে নানা কলাকৌশল ও ষড়যন্ত্র করে আসছে।পুকুরের পানি শুকিয়ে যাওয়ায় তিনি ঐ লীজকৃত পুকুর থেকে চাষকৃত সকল মাছ ধরে তার নিজস্ব মালিকানাধীন বাড়ীর পুকুরে নিয়ে আসেন। হঠাৎ মঙ্গলবার সকালে তিনি তার পুকুরে একটি বিষের বোতল দেখতে পান। এবং পুকুরে থাকা দেশি প্রজাতির নানা মাছ দুর্বৃত্তরা পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে মেরে পেলেন বলে অভিযোগ করেন তিনি। এতে ঐ দিন সকাল থেকে মরা মাছ পানিতে ভাসতে দেখা যায়। মরা মাছের মধ্যে রুই কাতল,সিলভার ও তেলাপিয়া মিগিল কালিবাস।চিতল, বোয়াল, শোল, বাইন, কৈ ও শিং মাছের সংখ্যাই বেশি ছিল। এ ছাড়াও কার্প সহ জাতীয় মাছও সব মারা গেছে।এতে তার প্রায় প্রায় আড়াই লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়।

পুকেরে বিষ দিয়ে মাছ নিধনের জন্য তিনি তার প্রতিবেশী জয়নাল আবদীনের ছেলে আবদুল করিম ও তার ছেলে মাসুদ আলম, রুবেল ও নোমান কে দায়ী করেন।

ভুক্তভোগী ইসমাইল বক্তার জানান,আমি দীর্ঘদিন যাবৎ এখানে মাছ চাষ করছি। হঠাৎ মঙ্গলবার সকালে আমার পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে আমার এতো বড় ক্ষতি করেছে তারা। শত্রুতাবশত আমাকে ক্ষতিগ্রস্ত করার জন্য একটি মহল এসব করেছে। আমি আইনের আশ্রয় নেব।

অভিযুক্ত আব্দুল করিমের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

চরপোড়াগাছা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুরুল আমিন হাওলাদার জানান, একটি চক্র আছে আমাদের এলাকায় এসব ঘটনা ঘটায়। এদের শনাক্ত করে বিচারের আওতায় আনা দরকার।


রামগতি থানার ওসি মোহাম্মদ সোলায়মান জানান,এব্যাপারে এখন পর্যন্ত কেউ কোন অভিযোগ করেনি। অভিযোগের প্রেক্ষিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

 

 

 

 

 

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন