শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

মামুনুল হকের বিরুদ্ধে সেই দ্বিতীয় স্ত্রীর ‘ধর্ষণ’ মামলায় সামাজিক মাধ্যমে তোলপাড়

সোশাল মিডিয়া ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩০ এপ্রিল, ২০২১, ৬:০০ পিএম

হেফাজতে ইসলামের নেতা মাওলানা মামুনুল হকের বিরুদ্ধে সেই দ্বিতীয় স্ত্রী জান্নাত আরা ঝর্ণার দায়ের করা ধর্ষণ মামলায় তোলপাড় চলছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের রয়েল রিসোর্টে অবরুদ্ধ হওয়ার সময় মামুনুল হক তাকে দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করেন। অন্যদিকে ওই দিন রিসোর্টটিতে ধারণ করা একটি ভিডিওতে দেখা যায়, ঝর্ণাও নিজেকে মামুনুল হকের দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে পরিচয় দিচ্ছেন।

সেই তিনি আজ সোনারগাঁ থানায় উপস্থিত হয়ে মামুনুল হকের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছেন। কয়েক সপ্তাহের ব্যবধানে ঝর্ণার এমন বিপরীতমুখী অবস্থানের রহস্য নিয়ে নানা মন্তব্য করেছেন নেট দুনিয়ার বাসিন্দারা। ফেসবুকে এ নিয়ে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। দৃশ্যত এখন সামাজিক মাধ্যমের হট ইস্যু এটি।

আজ শুক্রবার (৩০ এপ্রিল) নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে মামলাটি করেন জান্নাত আরা ঝর্ণা। মামলা দায়েরের পর চলে যাওয়ার সময় থানা প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন ঝর্ণা। এ সময় তিনি বলেন, ‘আমি নতুন জীবন ফিরে পেয়েছি। আমি ভালো আছি। আমার সর্বশেষ কথা আমি সুষ্ঠু বিচার চাই। আমার সাথে অনেক বড় প্রতারণা করেছে (মামুনুল হক)। আমি এর বিচার চাই।’

এনিয়ে ফেসবুকে মামুন রশিদ লিখেছেন, ‘‘সেদিন রিসোর্টে তিনি হাসিমুখেই নিজেকে আল্লামা মামুনুল হকের স্ত্রী বলে পরিচয় দিয়েছিলেন।
আল্লামা মামুনুল হক লাইভে এসে তার স্ত্রীকে অপমানের বিচার চেয়েছিলেন। আজ কি হয়েছে, তার ভেতরের কথা জ্ঞ্যানী মহল অবশ্যই বোঝেন।
যখন কারো ইজ্জত নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হয়, আল্লাহপাক এটা সহ্য করেন না।’’

ফারদুন নাসের রিদম প্রশ্ন রেখে মন্তব্য করেন, ‘‘মামলা যদি করতেই হয় তাহলে ঘটনার দিন বা তার পরদিন করলো না কেন??ডিসি হারুন যখন ফোনে এ কথা বলে যে,স্যার সাংবাদিকরা আসছে আমাকে জিজ্ঞেস করছে কোন ইস্যুকে কেন্দ্র করে তাকে গ্রেফতার করেছি,এখন আমি কি বলবো স্যার? আসলে তারা এখন তার বিরুদ্ধে কোন রিজন এবল অফেন্স দেখাতে পারছে না। যার কারণে এত নাটক করছে। নাটক করেন অসুবিধা নাই,আমরা দেখছি আর হাসছি।’’

ইরানি রাসেল লিখেছেন, ‘‘বসুন্ধরা গ্রুপের এমডিকে হেডলাইন থেকে সরানোর একটা মাধ্যম, দ্বিতীয় স্ত্রী ঝর্নার উপস্থিত সাক্ষাৎকার নিয়েছিলেন, সেখানে তিনি স্বীকার করেছেন মামুনুল হক তাকে বিবাহ করেছেন, এখন তাকে জোর করে ধরে নিয়ে ভয়-ভীতি দেখিয়ে মিথ্যা স্বীকারোক্তি নেওয়ার একমাত্র কারণ হলোদেশবাসীর কাছে মুনিয়া হত্যা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য,,এই নাটক জাতি খুব ভালো ভাবেই বুঝে।’’

মাহমুদ হাফিজ লিখেছেন, ‘‘তার বাবাকে ঢাকায় নিয়ে এসে জিডি করানো, তাকে উদ্ধার করা এবং পরবর্তীতে ধর্ষক সাজিয়ে মামলাও দিয়ে দেওয়া। ব্যাপারটা রাষ্ট্রযন্ত্রের জন্যে অনেকটা সহজ, তবে আমাদের কাছে পুরো বিষয়টা ঘোলাটে মনে হল। তবে তার সত্যতা কতটুকু একমাত্র আল্লাহই ভালো বলতে পারবেন।তবে এই সংবাদটা যেনো বসুন্ধরার এমডির অপকর্মকে আড়াল করার উদ্দেশ্য না হয়ে থাকে, সেই আবেদনই রইলো। প্রকৃত দোষীদের শাস্তি হোক, তারা যেনো আইনের ফাঁকফোকড় দিয়ে বেরিয়ে না যেতে পারে। আইনের বৈষম্যতা কখনোই কাম্য হতে পারে না।’’

মোঃ শরিফ লিখেছেন, ‘‘জান্নাত আরা ঝর্ণা তিনি নিজেই দাবি করেছিলেন যে, মাওলানা মামুনুল হকের তিনি দ্বিতীয় স্ত্রী। এখন এটা বলতে হয় যে মাওলানা মামুনুল হকের বিরুদ্ধে মামলা করতে সরকারের পক্ষ থেকে তাকে বাধ্য করা হয়েছে। জান্নাত আরা ঝর্ণার ভিডিওটি দেখে আসুন।’’

সৈয়দ আহমেদ লিখেছেন, ‘‘এতদিন কোন মামলা হয়নি। কাল পুলিশ হেফাজতে নেওয়ার পরেই আজ মামলা! বাহ! জাতি কি এতোটাই বিবেকহীন? এই সত্যটুকু বুঝতে পারবে না? একটা রাষ্ট্র কতটা নোংরা হলে একজন শীর্ষস্থানীয় আলেম এর উপর এমন জঘন্য অপবাদ চাপিয়ে দিতে পারে! ভাবতেই অবাক লাগে!’’

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন