করোনা মহামারি পরিস্থিতির কারণে সউদী সরকারের নির্ধারিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রায় ৫ মাস পর বাংলাদেশ দূতাবাস জেদ্দার উদ্যোগে ঐতিহাসিক তায়েফ শহরে প্রবাসী বাংলাদেশিদের দোরগোড়ায় কনস্যুলেট সেবা পৌঁছেছে। আজ শুক্রবার ও আগামীকাল শনিবার ছুটির দিনে হাজার হাজার প্রবাসী কর্মীরা কোনো প্রকার হয়রানি ও ভোগান্তি ছাড়াই তায়েফস্থ জেদ্দা কনস্যুলেটের অস্থায়ী অফিস থেকে ডিজিটাল পাসপোর্ট, ই-পাসপোর্ট এবং মেয়াদোর্ত্তীণ পাসপোর্ট নবায়ন করার সুযোগ পাচ্ছে। এতে প্রবাসীদের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে।
সউদী আরবের তায়েফ শহর থেকে প্রবাসী বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জামাল উদ্দিন আজ এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
প্রবাসী ব্যবসায়ী জামাল বলেন, করোনা মহামারির কারণে দীর্ঘদিন প্রবাসীরা কনস্যুলেট সেবা নিতে পারেনি। জেদ্দাস্থ দূতাবাসের উদ্যোগে তায়েফ শহরে ছুটির দিনে কনস্যুলেট সেবা চালু হওয়ায় প্রবাসী কর্মীদের মাঝে আনন্দের বন্যা বইছে। তিনি এ ধরণের কনস্যুলেট সেবা এক মাস পর পর অব্যাহত রাখলে প্রবাসীদের ভোগান্তি লাঘব হবে। সউদীর তায়েফ থেকে প্রবাসী রেজাউল ইনকিলাবকে জানান, করোনা মহামারির কারণে প্রবাসী বাংলাদেশি কর্মীরা জেদ্দা গিয়ে পাসপোর্ট সেবা আনতে চরম ভোগান্তির শিকার হয়েছে। দূতাবাস প্রবাসীদের সুবিধার্থে দু’দিনের সেবা কার্যক্রম চালু করায় কর্মীরা খুবই খুশী। জেদ্দাস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রথম সচিব কামরুজ্জামান, দুতালয় প্রধান মো. আজিজুর রহমান ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা (শ্রম কল্যাণ উইং) মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলামের ১৪-১৫ জন কর্মকর্তা সরাসরি তায়েফ শহরে প্রবাসীদের মাঝে এম আর পি পাসপোর্ট রি ইস্যু, প্রবাসী মেম্বারশীপ কার্ড ইস্যু, ডেলিভারী, স্পেশাল এক্সিট প্রোগ্রামের আওতায় যারা স্বেচ্ছায় দেশে ফেরত যেতে ইচ্ছুক তাদের বিষয় প্রসেস করা, আউটপাস ইস্যুসহ প্রবাসী বাংলাদেশীদের নানামুখী আইনী সহায়তা প্রদান, সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে ওয়েজ আর্নার্স ডেভেলপমেন্ট বন্ড ইস্যুসহ বিভিন্ন ধরনের সেবা দিচ্ছে।
দূতাবাসের কর্মকর্তাদের এমন উদ্যোগের কারণে প্রবাসীরা অত্যন্ত খুশি। কারণ এই সেবাটি তারা যদি জেদ্দায় গিয়ে নিতে হতো তাহলে কোম্পানী হতে বিনা বেতনে একদিন ছুটি নিতে হতো। সেটা তারা স্বস্থানে বসেই ছুটির দিনেই সেবাটি পাচ্ছেন। তায়েফ হলো সউদী আরবের মক্কা প্রদেশের সারাওয়াত পর্বতমালার খাড়াইয়ের উপর অবস্থিত একটি শহর। এটি একটি বেসরকারি গ্রীষ্মকালিন রাজধানী এবং এতে বসবাসকারি লোকসংখ্যার পরিমাণ ১২ লক্ষ। এই শহরটি একটি কৃষি এলাকা। প্রায় ২ লক্ষ বাংলাদেশী এই তায়েফ শহরে বসবাস করেন। তারা মহিলা গৃহকর্মী, কনস্ট্রাকশন ওয়ার্কার, কার্পেন্টার, প্লাম্বার, মেইনটেনেন্স ওয়ার্কার, ড্রাইভারসহ নানা পেশায় জড়িত আছেন। বৈধ উপায়ে রেমিট্যান্স প্রেরণ করে দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে যাচ্ছেন এসব প্রবাসী ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন