শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

চীনের সঙ্গে দ্বন্দ্ব নয় টক্কর চান বাইডেন

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১ মে, ২০২১, ১২:০৩ এএম

ডোনাল্ড ট্রাম্পের নীতি থেকে সরে এসে চীনের সঙ্গে দ্বন্দ্বের পরিবর্তে প্রতিযোগিতাকে প্রাধান্য দিলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বুধবার আমেরিকান কংগ্রেসে তার প্রথম বক্তৃতায় বাইডেন জানান, তার সঙ্গে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের কথা হয়েছে এবং তিনি শি-কে জানিয়েছেন প্রতিযোগিতা স্বাগত, দ্বন্দ্ব-বিরোধ চাইছি না। বাইডেন বলেন, আমেরিকা যাতে বিশ্ব বাজারে তার আধিপত্য ধরে রাখতে পারে, সে ব্যাপারেই সচেষ্ট হবে তার প্রশাসন। আগামী ১০০ দিনের মধ্যে নতুন করে আমেরিকার উত্থান শুরু হবে বলেও দাবি করেন তিনি।
ট্রাম্প তার নির্বাচনী প্রচারে বারবারই দাবি করতেন, বাইডেন ক্ষমতায় এলে চীনের প্রতি নরম নীতি নেবেন। তাতে আমেরিকার জাতীয় স্বার্থক্ষুণ্ণ হবে। কমলা হ্যারিস এবং ন্যান্সি পেলোসিকে সঙ্গে নিয়ে বাইডেন কিন্তু তার ৬৫ মিনিটের বক্তৃতায় আমেরিকার জাতীয় স্বার্থের উপরেই জোর দিলেন। আমেরিকার অর্থনীতি এবং পরিকাঠামো নিয়ে তার পরিকল্পনা, বিদেশনীতিতে তার লক্ষ্য এবং অতিমারি আবহে জনস্বাস্থ্য নিয়ে তার ভাবনা— এই তিনটি বিষয়েই কথা বলেন বাইডেন। বিরোধ এড়িয়ে প্রতিযোগিতার বাজারে চীন যাতে টেক্কা দিতে না পারে, সেটা নিশ্চিত করার কথা বললেন। বাইডেনের কথায়, ‘চীন এবং অন্যান্য দেশ খুব দ্রুত উঠে আসছে। আমাদের পণ্য এবং প্রযুক্তি যাতে তার আধিপত্য ধরে রাখতে পারে, সেটা আমাদের দেখতে হবে’। গত মাসেও বাইডেন জানিয়েছিলেন, চীন যাতে আমেরিকাকে সবচেয়ে ক্ষমতাধর দেশের আসন থেকে টলাতে না পারে, সেটা নিশ্চিত করাই হবে তার কাজ।

শি-র সঙ্গে তার প্রায় দীর্ঘ দু’ঘণ্টা কথা হয়েছে বলে জানিয়ে এ দিন বাইডেন বলেন, ‘তিনি চীনকে সবচেয়ে প্রভাবশালী রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে খুবই একাগ্র। তিনিও অন্যান্য স্বৈরতন্ত্রীর মতোই মনে করেন, একুশ শতকে স্বৈরতন্ত্রের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় গণতন্ত্র টিকতে পারে না। কারণ গণতন্ত্রে ঐকমত্যে পৌঁছতে অনেকটা সময় লেগে যায়’। অর্থাৎ চীনের সঙ্গে আমেরিকার চ্যালেঞ্জ শুধু অর্থনীতির নয়, রাজনৈতিক মতাদর্শেরও— এই কথাটাও ফের জোর দিয়ে মনে করিয়েছেন বাইডেন। ভারত-প্রশান্তমহাসাগরীয় অঞ্চলে সামরিক উপস্থিতি যে বজায় রাখবে আমেরিকা, সে কথা শি-কেও জানিয়েছেন তিনি। বৃহস্পতিবার চীনও এই প্রশ্নেই বাইডেনকে খোঁচা দিয়েছে। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন বলেছেন, চীনও আমেরিকার সঙ্গে কোনও মারণ-ডুয়েল লড়ছে না। প্রতিযোগিতা তার নিয়ম মেনে মাঠে হওয়াই শ্রেয়। সেই সঙ্গে ওয়াং বলেন, ‘কারও গণতন্ত্রের আদর্শ অন্যের উপরে চাপিয়ে দিতে গেলে কিন্তু স্থিতাবস্থার ক্ষতিই হবে, উত্তেজনা বাড়বে’। চীনের দাবি, আমেরিকাই অবাধ ও সুস্থ প্রতিযোগিতার নিয়ম মানে না। অর্থনীতিকে রাজনীতির বিষয় করে তোলে।

বাইডেন অবশ্য তার বক্তৃতায় আমেরিকার অর্থনীতির জন্য ‘অচ্ছে দিন’ও ঘোষণা করেছেন। অতিমারি থেকে অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াবে বলে স্বপ্ন দেখিয়েছেন। বলেছেন, ‘আমেরিকা ওড়ার জন্য তৈরি। ঠিক ১০০ দিন পরে আমি জাতিকে জানাব, আমেরিকা আবার এগোচ্ছে তরতর করে। সে বিপদকে বদলে নিয়েছে সম্ভাবনায়, সঙ্কটকে সুযোগে, আঘাতকে শক্তিতে’। নতুন লগ্নি এবং কর-কাঠামোর পরিমার্জনার হাত ধরেই আমেরিকার গণতন্ত্র মানুষের আস্থা ফের অর্জন করে নেবে বলে দাবি করেন বাইডেন। সূত্র : রয়টার্স।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (8)
G M Zakir Hossain ১ মে, ২০২১, ১:৫৭ এএম says : 1
দুই দেশের নেতৃত্বদানকারীরাই অভিশপ্ত সুতরাং দুজনের উপরে আল্লাহর লানত।
Total Reply(0)
Khaled Saifullah ১ মে, ২০২১, ১:৫৮ এএম says : 0
এককভাবে কোন দেশই পৃথিবীকে আর শাসন করতে পারবে না। সব দেশই ধীরে ধীরে ব‍্যাবসার প্রসার করছে। পরবর্তী পৃথিবীতে তেলের জন‍্য শক্তিধর দেশগুলো মধ‍্যপ্রাচ্চে যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা চালিয়ে যাবে। সেটাও তারা ততদিন পারবে যতদিন গর্ধব আরব শাসকরা ক্ষমতায় থাকবে। সারা পৃথিবীতে পরবর্তী যুদ্ধ হবে বানিজ‍্য যুদ্ধ। এই যুদ্ধে যারা জয়ী হবে তারাই পৃথিবী শাসন করবে।
Total Reply(0)
হলুদ হিমু ১ মে, ২০২১, ১:৫৮ এএম says : 0
বাইডেন হবে চীনবান্ধব,,,, ইতোমধ্যে আমার মনে হয় আমেরিকার ইলেকশন এ চীন প্রভাব বিস্তার করা শুরু করেছে,,,,,হিলারি কে যেমন হারিয়েছিলো রাশিয়া,,,,, ব্যক্তিগত অভিমত।
Total Reply(0)
Mujib Hasan ১ মে, ২০২১, ১:৫৯ এএম says : 0
সাম্রাজ্যবাদী আমেরিকার পতন হোক, তারা আন্তর্জাতিক আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ইসরাইল কে, একতরফা সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে, যা অন্যায়।
Total Reply(0)
Asyad Mondal ১ মে, ২০২১, ২:০০ এএম says : 0
সামরিক শক্তি বনাম অর্থনৈতিক শক্তি,বর্তমানে বাস্তবতাই অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রায় কোনো দেশকে আমেরিকার সহায়তা করার সক্ষমতা আর তেমন নাই তবে সামরিক ভাবে বলীয়ান করতে এখনো অপ্রতিদ্বন্দী,অপরদিকে চীন চাইলেই যে কোনো দেশকে অর্থনৈতিক স্বাবলম্বী করে তুলতে সক্ষম তবে সামরিক ভাবে শক্তিশালী করে তুলা এখনো সেই পর্যায়ে নাই..... এখন. কথা হলো অর্নৈতিক স্বাবলম্বী হওয়া নাকি সামরিক শক্তিতে বলীয়ান হওয়া...উত্তরটা মনে হয় সবার জানা...
Total Reply(0)
এম আলীম ১ মে, ২০২১, ৯:৪৫ এএম says : 0
আমাদের উচিত সবার সাথেই ভালো সম্পর্ক রাখা
Total Reply(0)
বাবুল ১ মে, ২০২১, ৯:৪৬ এএম says : 0
আমেরিকাই অবাধ ও সুস্থ প্রতিযোগিতার নিয়ম মানে না। অর্থনীতিকে রাজনীতির বিষয় করে তোলে।
Total Reply(0)
জুয়েল ১ মে, ২০২১, ৯:৪৬ এএম says : 0
আমেরিকার দিন শেষ হয়ে আসতেছে
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন