রাজশাহীর বাঘায় শহিদুল ইসলাম (৩১) বিয়ের প্রলোভনে কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণ করা হয়েছে। এই ধর্ষণের অভিযোগে গত বৃহস্পতিবার রাতে কলেজ ছাত্রী বাদি হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। শহিদুল ইসলাম উপজেলার আড়ানী ইউনিয়নের ঝিনা দক্ষিণপাড়া গ্রামের আব্দুস সালামের ছেলে।
জানা গেছে, রাজশাহীর বাঘা উপজেলার এক কলেজ পড়ুয়া ছাত্রীর সাথে শহিদুল ইসলাম নামের এক যুবকের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এক পর্যায়ে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাকে ধর্ষণ করে। তারপর শাহিদুলকে বিয়ের কথা বললে টালবাহনা করতে থাকে। কলেজছাত্রী নিরুপায় হয়ে বুধবার সন্ধ্যায় বিয়ের দাবিতে শহিদুলের বাড়িতে গিয়ে উঠে। এ সময় শহিদুল বাড়িতে ছিল না। শহিদুলের অনুপস্থিতিতে তার পিতা-মাতা মারপিট করে তাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়।
এদিকে কলেজছাত্রীর সাথে ৫ বছর ধরে প্রেমের সম্পর্কের কারণে ও বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্নস্থানে একাধিবার ধর্ষণ করা হয়েছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে। এ বিষয়ে বাঘা থানার ওসি নজরুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। কলেজছাত্রীকে পরীক্ষার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) প্রেরণ করা হয়েছে। আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন