বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

লকডাউনে সফলতা

সীমান্ত বন্ধ সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত

স্টালিন সরকার | প্রকাশের সময় : ৩ মে, ২০২১, ১২:০২ এএম

বাঁচতে হলে কঠোর নিষেধাজ্ঞা চালিয়ে যেতে হবে : অধ্যাপক ডা. এবিএম আবদুল্লাহ

মনিটরিং জোরদার, জনগণকে সম্পৃক্ত করা উচিত : অধ্যাপক মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ

ভারতের ভ্যারিয়েন্ট আমাদের আতঙ্কের কারণ : অধ্যাপক ডা. কামরুল ইসলাম

কোরবানির ঈদ পর্যন্ত বিধিনিষেধ নিতে হবে : ডা. মুশতাক হেসেন

ভারতে যখন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যু ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। বাংলাদেশে তখন করোনা সংক্রমণ নিম্নমুখি। গতকাল ভারতে নতুন সংক্রমণ হয়েছে ৩৮৬৪৫২ জন; মৃত্যু হয়েছে ৩৪৯৮ জনের। এই সময়ে বাংলাদেশে মারা গেছে ৫৭ জন এবং আক্রান্ত হয়েছেন ২১৭৭ জন। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধীরে ধীরে যে নিয়ন্ত্রণে আসছে তার মূলে রয়েছে লকডাউন (কঠোর বিধিনিষেধ)। লকডাউনের কারণে আনুপাতিকহারে গণমানুষের চলাফেরা কমে যাওয়া করোনাভাইরাস ছড়াচ্ছে কম। এ জন্যই আক্রান্ত ও মৃত্যু নিম্নমুখি।
দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরুর পর লকডাউন শতভাগ কার্যকর হয়েছে এটা বলা যাবে না। তবে চলমান ঢিলেঢালা লকডাউন এবং সীমান্ত বন্ধে সফলতা এসেছে। দেশে প্রতিদিন আক্রান্ত, মৃত্যু এবং গড় আক্রান্তের সংখ্যা কমে গেছে। নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার এক সময় ২৩ শতাংশে উঠেছিল; গতকাল সেই শনাক্তের গড় হার নেমে এসেছে ১০ দশমিক ৩৪ শতাংশ। যেখানে করোনা রোগীদের জন্য বেড ও আইসিইউ বেডের জন্য হাহাকার পড়েছিল; সেখানে গতকালের খবর হলো দেশে ৮৩৩৫টি করোনা বেড এবং ৪৫৯টি করোনা আইসিইউ বেড খালি রয়েছে।
জানতে চাইলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমইউ) সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল ইসলাম বলেন, ভারতের করোনা ভ্যারিয়েন্ট বাংলাদেশের জন্য আতঙ্কের কারণ হয়েছে। এখনো বাংলাদেশে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টটির উপস্থিতির কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তবে সেটা যাতে ঢুকতে না পারে সেজন্য সর্বাত্মক ব্যবস্থা নিতে হবে। লকডাউন চালিয়ে যেতে হবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কঠোর লকডাউন কার্যকর হলে আরো ভালো ফলাফল পাওয়া যেত। তবে চলমান লকডাউনের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে এটা অব্যাহত রাখতে হবে। সামনে ঈদুল ফিতর। এ সময় গণপরিবহণ চালানো এবং মার্কেট-শপিংমল ক্রেতা-বিক্রেতার গাদাগাদি হয়ে কেনাকাটা করলে নতুন করে সংক্রমণ বৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে। সীমান্ত বন্ধ থাকলেও মানুষ যেহেতু আসা-যাওয়া করছে তাতে ভারতের ভ্যারিয়েন্ট বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়ে গেছে। এ অবস্থায় সীমান্ত বন্ধ ছিল সময়োপযোগী পদক্ষেপ। এই বন্ধ রাখার মেয়াদ বাড়াতেই হবে।
দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত এবং মৃত্যু কমে গিয়েছিল। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালের ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়। এর ঠিক এক বছর পর ২০২১ সালের ৭ মার্চ করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আসে। এ সময় সংক্রমণ ৩ শতাংশের কাছাকাছি ছিল। কিন্তু গণপরিবহণ ও মার্কেটে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত হতে থাকে। মানুষ গাদাগাদি ঠেলাঠেলি করে চলাফেরা করেন। তা ছাড়া বিয়ে, বউভাত, আকিকাসহ নানান সামাজিক অনুষ্ঠান এবং মানুষের জমায়েত বেড়ে যায়। এমনকি সাধারণ মানুষ মাস্ক পরা কার্যত ছেড়ে দেয়। ফলে চলতি বছরের ৮ মার্চ থেকে সংক্রমণের হার বাড়তে শুরু করে। গত ৮ মার্চ ৮৪৫ জনের দেহে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত করা হয়। সংক্রমণ ক্রমান্বয়ে বাড়তে বাড়তে ১৪ মার্চের পর থেকে হঠাৎ করেই সংক্রমণের হার অনেক বেড়ে যায়। সেদিন আক্রান্ত হয় ১,৭৭৩ জন। অতপর প্রতিদিনই করোনায় শনাক্ত, মৃত্যু বাড়তে থাকে। এপ্রিল মাসের দ্বিতীয় সাপ্তাহে করোনায় এক দিনে ১১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। প্রায় দুই সাপ্তাহ ছিল একশ’র আশপাশে। এক দিনে নমুনা পরীক্ষায় শনাক্ত হয়েছে সাড়ে তিন হাজারের মতো। কিন্তু গতকাল করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন মাত্র ৫৭ জন। লকডাউন শুরুর পর গত তিন সপ্তাহের মধ্যে সর্বনিম্ন মৃত্যু। এক দিনে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২১৭৭ জন। এই সময়ে করোনামুক্ত হয়েছেন ৪৩২৫ জন। বিশেষজ্ঞদের মতে, এটা লকডাউনের কারণেই সম্ভব হয়েছে। কারণ লকডাউন চলাকালে সাধরণ মানুষ ঘর থেকে বের হলেও রাজধানী ঢাকা থেকে জেলা পর্যায়ে যাতায়াত কমে গেছে। বিয়ে-সামাজিক অনুষ্ঠান, রাজনৈতিক সভা সমাবেশ, অন্যান্য অনুষ্ঠানাদি হচ্ছে না। ফলে সংক্রমণ ছড়ানো কমে গেছে।
জানতে চাইলে মেডিসিন বিশেষজ্ঞ এবং ইউজিসি অধ্যাপক ডা. এবিএম আবদুল্লাহ ইনকিলাবকে বলেন, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ ভয়াবহ হবে আগেই বলেছি। যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ইতোমধ্যে পুরোপুরি বা শহরভিত্তিক কঠোর লকডাউন এবং কারফিউ শুরু করেছে। আমাদের লকডাউন চালিয়ে যেতে হবে। কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে, ঘন ঘন হাত ধুতে হবে এবং সামাজিক দ‚রত্ব বজায় রাখতে হবে। সকল মহলকেই এই মহামারি থেকে বেঁচে থাকতে হবে।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হওয়ার পর নমুনা পরীক্ষায় নতুন শনাক্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে যায়। এ অবস্থায় করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটি প্রথমে ‘কঠোর লকডাউন’ এবং পরে ‘বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত বন্ধে’র পরামর্শ দেয়। সরকার ৪ এপ্রিল প্রজ্ঞাপন জারি করে লকডাউন দেয় ৫ এপ্রিল। এ সময় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ১১ দফা নির্দেশনা জারি করে। মূলত সরকার গত ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল শিল্পপ্রতিষ্ঠান খোলা রেখে কঠোর বিধি-নিষেধ জারি করে; যা ‘সর্বাত্মক লকডাউন’ হিসেবে পরিচিতি পায়। কিন্তু সরকারের মন্ত্রী এমপিদের মধ্যে গার্মেন্টস ব্যবসায়ীর সংখ্যা বেশি থাকায় তারা বিশেষজ্ঞদের বিরোধিতার মুখেও লকডাউনে শিল্প প্রতিষ্ঠান ও গ্রার্মেন্টস খোলা রাখার সিদ্ধান্ত আদায় করে নেয়। ঢিলেঢালা লকডাউন নিয়ে বিশেষজ্ঞরা বিতর্ক তুললে ১৪ এপ্রিল থেকে কঠোর লকডাউনের ঘোষণা দেয়া হয়। এক সাপ্তাহ পর ২১ এপ্রিল তৃতীয় দফা এবং ২৮ এপ্রিল চতুর্থ দফা লকডাউনের ঘোষণা করে। মাঝখানে দোকানমালিকদের আন্দোলনের মুখে সরকার শর্ত সাপেক্ষে মার্কেট ও শপিংমল খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এ অবস্থায় গতকাল পরিবহন শ্রমিক ও মালিকরা গণপরিবহণ চালুর দাবি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। তারা আন্দোলনের হুমকিও দিয়েছেন। তারা তিনদফা দাবিনামা জানিয়ে বলেছেন, গণপরিবহণ চালু করা না হলে আগামী ২ মে সারা দেশে বিক্ষোভ মিছিল এবং ৪ মে মঙ্গলবার সারা দেশে জেলা প্রশাসকের কার্যলয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে। কিন্তু গণপরিবহণ বন্ধ রেখেই লকডাউন আরো বাড়ানো উচিত বলে মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের বক্তব্য গণপরিবহণ চালু হলেই করোনার ভারতের ভ্যারিয়েন্ট বাংলাদেশে ছড়িয়ে যাওয়ার পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে।
দেশের করোনাভাইরাস বিশেষজ্ঞরা আগে থেকে কমপক্ষ্যে একটানা ১৪ দিন থেকে এক মাস লকডাউন দিয়ে করোন সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের পরামর্শ দিচ্ছেন। এখন সংক্রমণ নি¤œমুখি হওয়ার পর তারা চলমান লকডাউন বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন। তাদের বক্তব্য লকডাউনে কিছুটা হলেও করোনা সংক্রমণ ছড়ানো নিয়ন্ত্রণ করা গেছে। এখন লকডাউন তুলে নেয়া হলে ঈদুল ফিরতের ঈদ করতে রাজধানী ঢাকা থেকে লাখ লাখ মানুষ গণপরিবহণ, লঞ্চ ও ট্রেনে গাদাগাদি করে গ্রামে যাবেন। ঈদ উদযাপন করে আবার কর্মস্থল ফিরবেন। এর মধ্যে সীমান্ত বন্ধ থাকলেও ভারত থেকে কিছু কিছু মানুষ দেশে ফিরে আসছেন। এ অবস্থায় লকডাউন তুলে নিলে বাংলাদেশ হবে করোনা ছড়ানোর উর্বরভ‚মি। এ অবস্থায় করোনাভাইরাসের মারাত্মক ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট বাংলাদেশে প্রবেশ করলে ভয়াবহ রূপ ধারণ করতে পারে। ক্যালেন্ডারের হিসেব অনুযায়ী, চলতি লকডাউন শেষ হওয়ার পর আগামী শুক্রবার ৭ ও শনিবার ৮ মে হচ্ছে সাপ্তাহিক ছুটি। মাঝখানে এক দিন পর ১০ মে পবিত্র শবেকদরের ছুটি। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৩ অথবা ১৪ মে ঈদুল ফিতর। অর্থাৎ ঈদের ছুটি শুরু হবে ১২ মে থেকে। চলমান লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে আগামী ৫ মে পর্যন্ত। ৬ থেকে ১১ মে পর্যন্ত এই ৬ দিনের মধ্যে তিন দিনই থাকছে সাপ্তাহিক ও বিশেষ ছুটি। কর্মদিবস থাকে মাত্র তিনটি। এ অবস্থায় চলমান ‘লকডাউন’ ঈদের ছুটি পর্যন্ত গড়ানোই উচিত।
জানতে চাইলে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ৫ মে পর্যন্ত বাড়ানো লকডাউন কিভাবে সফলভাবে শেষ করা যায়, সরকার সেই কাজ করছে। ৫ মের পরে কী হবে তা চলমান লকডাউনের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই জানানো হবে। এ বিষয় নিয়ে অগ্রিম কথা বলার সুযোগ নেই। তবে আমরা বিষয়টি নিয়ে ভাবছি।
করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হওয়ার পর দেশে সংক্রমণ পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ ধারণ করে। রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে করোনা আইসিইউ, করোনা বেড আর অক্সিজেন সিলিন্ডারের জন্য হাহাকার পড়ে যায়। রাজধানীর ৫ থেকে ৮টি হাসপাতালে ঘুরে আইসিইউ না পেয়ে অ্যাম্বুলেন্সে করোনা রোগীর মর্মান্তিক মৃত্যুর খবর মিডিয়ায় এসেছে। আইসিইউ, করোনা বেড ও অক্সিজেনের অভাবে বেশ কয়েকজন রোগী মারা গেছেন। এমনকি আইসিইউ বেডের জন্য দিনের পর দিন অপেক্ষা করেও পাওয়া যাচ্ছিল না। এ অবস্থায় সরকার ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের অধীনে গুলশানে এক হাজার বেডের করোনা হাসপাতাল চালু করেন। করোনা রোগীদের যখন ভয়াবহ অবস্থান, আইসিইউ পেতে হাহাকার; তখন লকডাউনের কারণে সংক্রমণ কমে যাওয়ায় হাসপাতালের অনেক বেড খালি পড়ে রয়েছে। এমনকি আইসিইউ খালি রয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশের ৮ বিভাগের হাসপাতালগুলোতে এই মুহ‚র্তে মোট ৮৩৩৫টি করোনা জেনারেল বেড এবং ৪৫৯টি করোনা আইসিইউ বেড খালি হয়েছে।
জানতে চাইলে আইইডিসিআর-এর উপদেষ্টা ডা. মুশতাক হেসেন বলেন, বাংলাদেশে এটা লকডাউন হচ্ছে না। কিছু বিধিনিষেধ দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। যদি লকডাউন বলি তাহলে এটা কোরাবানির পরেও চালিয়ে যেতে হবে। নাহলে পরিস্থিতি আরো খারাপের দিকে যেতে পারে। টেস্ট বাড়তে হবে। টেস্ট বাড়ালে বাস্তব অবস্থা আরো ভালোভাবে বোঝা যাবে। সংক্রমণ এখনো ১০ ভাগের মতো আছে। এটা শতকরা পাঁচভাগের নিচে না নামলে কমছে বলা যাবে না। এখন দোকান, শপিংমল, মসজিদে স্বাস্থ্যবিধি মানাই বড় চ্যালেঞ্জ। গণপরিবহন চালু হলে এই চ্যালেঞ্জ আরো বাড়বে।
জানা গেছে, লকডাউন ও সীমান্ত বন্ধের পরামর্শের পর সরকার গঠিত করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটি এর মধ্যেই ১০টি সুপারিশ সরকারের কাছে পেশ করেছে। করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি ঠেকিয়ে রাখতেই মূলত তাদের এই পরামর্শ। তারা বলছেন, এখনও পর্যন্ত লকডাউন কিংবা কঠোর বিধি-নিষেধ আরোপ করার পদ্ধতি সবচেয়ে কার্যকর। তবে লকডাউনের মতো একটি বিষয় দীর্ঘদিন চালিয়ে নেয়া সম্ভব নয়। কমিটির প্রধান অধ্যাপক মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ বলেছেন, লকডাউনে মানুষের জীবন-জীবিকা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ভবিষ্যতে ‘লকডাউন’ তুলে নিলেও সংক্রমণ যাতে না বাড়ে সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে একটি কৌশল ঠিক করেছে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটি। এ সংক্রান্ত তাদের সুপারিশগুলো ইতোমধ্যে সরকারের কাছে পাঠানো হয়েছে। সুপারিশগুলো বাস্তবায়নের জন্য জনগণকে সম্পৃক্ত করা এবং মনিটরিং জোরদার করা উচিত।

 

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (22)
Shahadat ১ মে, ২০২১, ১২:১৫ এএম says : 0
যারা আল্লাহর গজবকে ছোঁয়াচে রোগ মনে করে, যারা নাস্তিক, একমাত্র তারাই মতামত দিতে পারেন, লকডাউন দিয়ে গরীব মানুষগুলোকে কষ্ট দেয়া, এটা কোন মুসলিম দেশের নেতাদের কথা বা অভিমত হতে পারে না।
Total Reply(0)
Hussaini Kamal ১ মে, ২০২১, ১:২২ এএম says : 0
সীমান্ত পাহারা জোরদার করা হোক।।
Total Reply(0)
Sanaul Hoque Sunny ১ মে, ২০২১, ১:২২ এএম says : 0
Border must be closed at least for 1 months ..
Total Reply(0)
Habibur Rahman ১ মে, ২০২১, ১:২২ এএম says : 0
সরকারের সময়োপযোগী সিদ্ধান্তের জন্য ধন্যবাদ। ভারতের জন্য দোয়া ও কল্যাণ কামনা রইল।
Total Reply(1)
Gazi Habibullah Maniq ২ মে, ২০২১, ৫:১২ এএম says : 0
অগ্রিম অর্থ পরিশোধ করেও ভারত থেকে আমরা টিকা পাচ্ছি না।এটা তিস্তার জল কিংবা পেঁয়াজ নয় জীবন রক্ষাকারী ঔষধ।
Md Parves Hossain ১ মে, ২০২১, ১:২৪ এএম says : 1
কোভিট-১৯ শুধু ভারতের জন্য মহামারী নয় তার থেকে বড় বিজেপির মতো একটা সন্ত্রাসী দলের সমাপ্তি ঘটবে ভাইরাসের জন্য এটা আসা করি। বিজেপি নিপাত যাক ভারতের মুসলিম রক্ষা পাক।
Total Reply(0)
Mozibor Rahman Muzno ১ মে, ২০২১, ১:২৬ এএম says : 0
বাংলাদেশের জন্য অশনি সংকেত, যদি যথাপুযুক্ত ব্যাবস্থা না নেয়া হয় তবে ঢাকাও দিল্লির মত হবে
Total Reply(0)
Robi Rahman ১ মে, ২০২১, ১:২৯ এএম says : 0
ঈদের পরে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিয়ম মেনে খুলে দেওয়া হোক যেমনঃ সপ্তাহে তিন দিন ক্লাস, যদি প্রতি ক্লাসে ১০০জন ছাত্র ছাত্রী থাকে তাহলে ৫০জন করে ক্লাস করবে তিন দিন করে,প্রতি ব্রাঞ্চে ১জন করে বসবে, ক্লাস টাইম ২০মিনিট, কেউ বিদ্যালয়ে প্রবেশের পরে ক্লাস রুমের বাহিরে আসতে পারবে না, ছাত্র ছাত্রীদের সাথে অবিভাবক যেতে পারবেন না ইত্যাদি নিয়ম মেনে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা বা ছাত্র ছাত্রীদের জীবন বাচিঁয়ে রাখা উচিৎ মনে করি।
Total Reply(0)
M M Parvez ১ মে, ২০২১, ১:২৯ এএম says : 0
অর্থ হলো, স্বাভাবিক রীতিনীতি মানতে হবে। বহু বছর ধরে চর্চিত ও পরিক্ষিত পদ্ধতিগুলো নিজের সুবিধা মতো বদলে নিলে ভারসাম্য নষ্ট হয়। এর ফলে, বহুমুখী বিদ্রোহ নিয়ন্ত্রণ অসম্ভব হয়ে পড়বে। মানুষ লাগামহীন হলে অর্থনীতিক মন্দা সামাল দেয়া যাবে কী করে?
Total Reply(0)
Shah Noor Ahmed ১ মে, ২০২১, ১:২৯ এএম says : 0
অালহামদুলিল্লাহ,করোনায় এখন পর্যন্ত কোন মুসলিম দেশ তছনছ করে নাই।
Total Reply(0)
Md Jahangir Alam ১ মে, ২০২১, ১:৩০ এএম says : 0
গত বছর জানতাম গরমে নাকি করোনা মারা যায় সবাই বেশি বেশি চা খাইছে। এই বছর তো করোনা আরো জইল্লা উঠছে এখন কি করনীয় ।
Total Reply(0)
রফিক আহমেদ ১ মে, ২০২১, ১:৩৩ এএম says : 0
প্রতিবছর ইন্ডিয়ার কাছ থেকে কোনো-না-কোনোভাবে হোঁচট খাওয়া আমাদের অভ্যাসে পরিণত হয়ে গেছে তাই এসব বিষয়ে এখনও না বাবাই ভালো
Total Reply(0)
Mamun Farhan ১ মে, ২০২১, ১:৩৩ এএম says : 0
বাংলাদেশের জন্য সুখকর হবে চীনা থেকে টিকা আনলে।
Total Reply(0)
রোদেলা ১ মে, ২০২১, ৯:১১ এএম says : 0
পুরোপুরি লকডাউন করা গেলে আরও অনেক বেশি সুফল পাওয়া যাবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
Total Reply(0)
মনির হোসেন মনির ১ মে, ২০২১, ৯:১১ এএম says : 0
লকডাউনটা ঈদ পর্যন্ত চালিয়ে যেতে হবে।
Total Reply(0)
সঞ্জয় ১ মে, ২০২১, ৯:১২ এএম says : 0
ভারতের পরিস্থিতি ভালো না হওয়া পর্যন্ত সীমান্ত খোলা যাবে না।
Total Reply(0)
মাহমুদ ১ মে, ২০২১, ৯:১৩ এএম says : 0
গণপরিবহণ চালু হলেই করোনার ভারতের ভ্যারিয়েন্ট বাংলাদেশে ছড়িয়ে যাওয়ার পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে।
Total Reply(0)
আশিক ১ মে, ২০২১, ৯:১৪ এএম says : 0
স্বাস্থ্যবিধি মানানোর ক্ষেত্রে প্রয়োজনে সেনাবাহিনী নামানো হোক
Total Reply(0)
Tipu ১ মে, ২০২১, ১০:০১ এএম says : 0
Evil inhuman are so much addicted by ego/evil/ satanism. Evil inhuman are maddogs. Evil inhuman are millions of times more poisonous toxic than so called Covid-19 Drama. Evil inhuman can do anything / any kind of evil activities being liar, hypocrite,cheater and so on for greediness selfishness arrogance etc. Evil inhuman have no real - true justice, love and humanity but only have fake acting of. So stop all kind of useless dramas and stop all kind of supports for evil inhuman. Try to remove evil maddog inhuman from their positions. If you can't, then wait for massive painful cursed situations. Infact, now people are facing the massive problems for the evil maddog inhuman. So don't believe in evil maddog inhuman, but believe in Almighty.
Total Reply(0)
ম নাছিরউদ্দীন শাহ ১ মে, ২০২১, ৪:৪৯ পিএম says : 0
জলন্ত অগ্নিকাণ্ডের শিখার মত পাশ্ববর্তীভারতে একদম কাছেই কোলকাতা পযর্ন্ত মানুষের চিতা জ্বলছে। ভারত মৃত্যুপুরী লাশ লাশ কিয়ামতের নমুনা। বিজেপি মোদী অমিত শাহের গর্ভের অহংকার ধ্বংস হয়ে গেছে। মোদীতো শারীরিক ডেকোরেশন পরিবর্তন করেমুছ দাড়ি কাপড়ের সাজেসাধু সন্নাসী পুরোহীত হয়ে গেছে। বাংলাদেশ কি নিরপদ অবশ্যই না। আমেরিকায় ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে। ব্রাজিলে চালাচ্ছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী গজব আজাব শাস্তি ভাইরাসের আক্রমণগুলো হচ্ছে। ভারতের পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাড়ায় জানিনা।বাংলাদেশে জীবিকার জন্যে বাচার জন‍্য অসহনীয় কষ্টের মাঝেই ব‍্যবসায়ীরা দোকান প্রতিষ্টান খুলেছেন। বাচার একমাত্র পথ নামাজের মাধ্যমে সেজদায় পড়ে আল্লাহর দরবারে যার যার অবস্থান হতে ক্ষমা প্রার্থনা করা । মহাবিপদের সময় ঈমান নিয়ে মৃত্যু হবে কিনা? ভয়ংকর কঠিন পরিস্থিতি সামনে বাংলাদেশের। আল্লাহ্ আমরা মুসলমানদের পক্ষে দোয়া প্রার্থনা বিশ্বের মানুষ গুলো কে হেদায়েতের মাধ্যমে ঈমান নচিব করুন। ক্ষনস্থায়ী জীবন মৃত্যু অনিবার্য প্রতিটি কর্মের হিসাব দিতে হবে কবর ও আখেরাতের ভয়ংকর শাস্তির কথা ভুলে যাওয়া মানুষ গুলো হেদায়েত করুন হেফাজত করুন। আমিন।
Total Reply(0)
নয়ন ১ মে, ২০২১, ৪:৫৮ পিএম says : 1
ঈদ পর্যন্ত লকডাউন দেয়া দরকার
Total Reply(1)
Mahfuzur Rahman ২ মে, ২০২১, ১২:২৪ পিএম says : 0
কোন রোগই ছোঁয়াচে নয়_বুখারী শরীফ এ দেখুন 'লক ডাউন এর মতো উদ্ভট বিলাসিতা এদেশের জন্য প্রযোজ্য নয় ৷
অপু ১ মে, ২০২১, ৪:৫৮ পিএম says : 1
আর কড়াকড়ি করা গেলে অনেক বেশি সুফলতা পাওয়া যেতো
Total Reply(0)
Mahfuzur Rahman ২ মে, ২০২১, ১২:২৭ পিএম says : 0
যারা লকলক করছে তাদেরকে ঘরেরমধ্যে লক আপ করে রাখা হোক ৷ সব বৈধ কাজ কর্ম এর প্রতিষ্ঠান ওগন পরিবহন খুলে দেওয়া হোক ৷ মুসলমান ছোঁয়াচে রোগ বিশ্বাস করে না ৷ মহামারীতে মৃত্যু মুসলমানের জন্য শাহাদাত। মহামারী মুসলিমদের জন্য আল্লাহর রহমত আর কাফেরদের জন্য গযব ৷
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন