শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

কাল ভোট গণনা, সবার নজর পশ্চিমবঙ্গে

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১ মে, ২০২১, ২:৪৫ পিএম

পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার ২৯২টি আসনের ভোট গণনা কাল রোববার সকালেই শুরু হবে। গত ২৭ মার্চ থেকে ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত এই রাজ্যে ৮ দফায় বিধানসভার ২৯২টি আসনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেই নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার জন্য রাজ্যের ২৩টি জেলায় ১০৮টি গণনাকেন্দ্রে ভোট গণনা করা হবে।

এদিকে রাজ্যের নির্বাচনী ফল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে সবাই তাকিয়ে আছে পশ্চিমবঙ্গের দিকে। এ রাজ্যের নির্বাচনকে এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বনাম মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লড়াই হিসেবে দেখা হচ্ছে। দু'জনের হাইভোল্টেজ প্রচার-প্রচারণায় রাজনীতির যে উত্তাপ ছড়িয়েছে, তা কোনো বিধানসভা নির্বাচনে দেখা যায় না বললেই চলে।
রাজ্যে ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেস ও কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন বিজেপির সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা ভোটের মাঠে 'বাংলাদেশ প্রসঙ্গ'কে বারবার উচ্চারণ করায় এ দেশের মানুষেরও দৃষ্টি রয়েছে ফলাফলের দিকে। এরই মধ্যে বুথফেরত জরিপে তৃণমূলের জয়ের আভাস মিলেছে। তবে তা মানতে নারাজ বিজেপি। উভয় দলই দাবি করেছে, যে আভাস পাওয়া গেছে, তা ঠিক হবে না। দুই দলই আশাবাদী, তারা দুই শতাধিক আসন পাবে। তবে তা তো হওয়ার নয়। কারণ, পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় মোট আসন ২৯৪টি। জয়ের জন্য প্রয়োজন ১৪৮টি আসন। প্রার্থীর মৃত্যু হওয়ায় দুটি আসনে ভোট স্থগিত রয়েছে। আগামীকাল ২৯২ আসনের ফল ঘোষণা করা হবে।
গত বৃহস্পতিবার পশ্চিমবঙ্গে ভোট গ্রহণ শেষ হওয়ার পরই চার রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত একটি অঞ্চলের বুথফেরত জরিপের ফল প্রকাশ করে কয়েকটি গণমাধ্যম ও সংস্থা। বেশিরভাগই আভাস দিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গে তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতায় আসছে তৃণমূল কংগ্রেস। দুটি সংস্থা বলেছে, বিজেপি ক্ষমতা দখল করতে চলেছে। তবে বুথফেরত সমীক্ষার দাবি উড়িয়ে দিয়েছে দুই শিবিরই। উভয়েই দাবি করেছে, তারাই নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গঠন করবে।
অন্যদিকে, তৃণমূলের মতো রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু দাবি করেছেন, বুথফেরত জরিপের ওপর ভরসা করা উচিত নয়। এত কম নমুনার ভিত্তিতে এসব সমীক্ষা হয়, যা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কোনো আভাস দিতে পারে না। সে ক্ষেত্রে ফল পর্যন্ত অপেক্ষা করাই ভালো। বাংলার মানুষ কী রায় দিয়েছেন, তা রোববারই জানা যাবে। বিজেপিই নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে বাংলায় সরকার গড়বে।
বুথফেরত জরিপের ফল উড়িয়ে দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তার সাফ কথা, ২ মে বিধানসভার আসল ফল সামনে আসবে। কী সেই আসল ফল, তা তিনি স্পষ্ট করে বলেননি। দিলীপ ঘোষ বলেন, 'কয়েকটি জরিপে ওদের (তৃণমূল) এগিয়ে রাখা হয়েছে। এমন কিছু সংস্থা আছে, যারা চার মাস আগে যা বলেছিল, এখনও সেটাই বলেছে। আমরা জানি এক্সিট পোল সঠিক নয়, এক্স্যাক্ট পোলটাই ঠিক। ২ মে আসলটা বোঝা যাবে।'
প্রথম থেকে ২০০ আসনের বেশি পাওয়ার দাবি করে এসেছে বিজেপি নেতৃত্ব। জরিপের ফল প্রকাশের পরও আত্মবিশ্বাস দেখালেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, 'আমরা যেটা চেয়েছিলাম, ওটাই হবে। ২০০-এর কাছাকাছি আসন পাব আমরা।' তবে আগে যা ছিল দুইশর বেশি, জরিপের ফল প্রকাশের পর তা এখন দুইশর কাছাকাছি হয়ে গেছে।
এদিকে গতকাল দলীয় নেতাকর্মীদের সতর্ক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। গণনাকেন্দ্র পাহারা দেওয়া, গুজবে কান না দিয়ে শেষ পর্যন্ত কেন্দ্রে থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা ২০০-এর বেশি আসন পাব। জয় আমাদেরই হবে।
কলকাতায় ভার্চুয়াল বৈঠকে নেতাকর্মীদের উদ্দেশে মমতা বলেন, 'আমরাই জিতব। কিন্তু বিজেপি সকাল বেলা রটাতে পারে, তারা জিতেছে। কখনোই কাউন্টিং সেন্টার ছাড়বেন না। শেষ পর্যন্ত থাকবেন। ভোর ৫টার মধ্যে ভোট গণনাকেন্দ্রে পৌঁছে যাবেন। অন্য কারও কাছ থেকে খাবার খাবেন না।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (7)
Akter hossain ১ মে, ২০২১, ৩:৪৩ পিএম says : 0
Momota is going to win once again.
Total Reply(0)
ডাঃ মহাঃ সাইদুর রহমান ১ মে, ২০২১, ৫:৪৯ পিএম says : 0
মমতাকে হারানো সহজ নয় !
Total Reply(0)
নূরুজ্জামান নূর ১ মে, ২০২১, ৭:২৬ পিএম says : 0
অন্তত তাদের ওখানে নির্বাচন হয়েছে। নাগরিকেরা ভোট দিতে পেরেছে।
Total Reply(0)
A.R. Salman ১ মে, ২০২১, ৭:২৬ পিএম says : 0
মমতা ক্ষমতায় আসলে মুসলমানদের জন্য ভালো হবে
Total Reply(0)
Md Abdulla Al Hasib ১ মে, ২০২১, ৭:২৭ পিএম says : 0
কি আর বলব ভারত আমাদের বন্ধু ।বিজেপি ক্ষমতায় আসলে এন আর সি হবে।।তৃনমুল ক্ষমতায় আসলে পানি পাব না।।।সর্বপরি ভারত আমাদের বন্ধু
Total Reply(0)
Rocky Hasan ১ মে, ২০২১, ৭:২৮ পিএম says : 0
মনে হয় বিজেপি ক্ষমতায় আসলে বাংলাদেশের জন্য ভালো, মোদি প্রশাসন তিস্তা নিয়ে সাই দিলেও মমতা সবসময় এর বিরোধিতা করসে যার জন্য তিস্তা চুক্তি আর এগোয় নি।
Total Reply(0)
মোঃ+দুলাল+মিয়া ১ মে, ২০২১, ৭:৩২ পিএম says : 0
পশ্চিমবঙ্গের 292 টি আসন লেখাটি যারাই লিখলেন হিসাব করলেন ,বাকী কতেগুলি প্রদেশ আছে ভারতে , এক একটিতে যদিও এই ভাবে আসন যোগ করেন,সে জায়গাটায় কতে হাজার আসন হবে, এবং সমস্ত আসন গুলি গোলা কার করে মাঝ খানে ????আমাদের সোনার বাংলার আসন গুলি রাখলে কি রকম দেখা যাবে, মনে হয় খোঁজ করে পাওয়া যাবে না,যেহেতু খোঁজ করে পাইতে কষ্ট হবে,তাই আমরা আমাদের দেশ বাংলাদেশকে (বাংলাদেশ মহা )বাংলাদেশ চিন্তা করলাম কোন ,আসলে আমাদের জনগণকে ঘুমে রেখে ,আমাদের সম্পদ লুট পাঠ করে খাওয়ার জন্য গোপনে তাঁরা যুক্তি করে সতেরোকোটি মানুষের গলাতে চুরি দিয়েছে,কি দরকার ছিলো এতটুকু ছোট্ট একটি দেশকে পাঁচশতাধিক লোকের হাতে দিয়ে দেওয়া হলো ,আর তাদের পাঁচশো লোকের কাছে সতেরোকোটি মানুষ জিম্মী ,কি দরকার ছিলো সংসদীয় পদ্ধতি করার ,যুক্তি সংগত কথায় আসেন যেমন ভারত যাকে বলে মহা ভারত যেখানে অন্তত ছয়তিরিশটি প্রদেশ আছে সেখানে সংসদীয় পদ্ধতি পয়োজন আছে,একটি প্রদেশ সমতুল্য দেশ সেখানে একজনই যথেষ্ট ,কিন্তু দুষকৃতকারীরা যখন দেখলে লুঠ পাঠ করে খাওয়া যাবে না ,তখন তারা 1991তে গন্ডাগোল আরম্ভ করে এবং জনগণ কে লোভ লালসা দেখাইতে থাকে,জনগণ তাহা বুঝতে পারে নাই,তাহারা গোপন যুক্তি করতে লাগলেন কি করা যায়,একেকদিন একেক জায়গায় বসতেন,বংগেভবন সুগন্ধায় অতিথি ভবনে এই ভাবে তিন চার দিন পার করেছেন ,কিন্তু কোনো মিডিয়া সাংবাদিক অথবা কোনো রকম খোঁজ খবর এই তিন চার দিনে বাংলাদেশের বৃদ্ধি জীবি ,বিশেষজ্ঞরা অথবা যারা রাষ্ট্রের বড় বড় মাথা এবং কি প্রধান বিচারপতি সহ কেউ জানে না।শুধু কেবলমাত্র আমরা শুনতাম টি ভি রেডিওতে পাচার করতেন,বৈঠক চলতেছে কি সিদ্ধান্ত হইতেছে জানি না,দেখি এরা কি সিদ্ধান্ত করে,এই গুলি বলতেন কিছু কিছু আইনজীবী ব্যারিস্টার , যেমন ব্যারিস্টার রফিকুলইসলাম মিয়া মাঝে মধ্যে বলতে দেখতাম আরো অনেকেই ,শেষ পযন্ত তিন চার দিন পরে খালেদা হাসিনা বাহিরে আসলেন,কি সিদ্ধান্ত নিয়েছে বললেন ,কি বলা হলো সংবিধান বদলি করে রাষ্ট্র পতি পদ্ধতি বাতিল করে সংসদীয় পদ্ধতি করতে সিদ্ধান্ত নিয়াছি,কিন্তু আমাদের দেশের মধ্যে বড় বড় মাথা গুলির বিবেক বুদ্ধি করে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন নাই,হুট করে খালেদার আর হাসিনার কথায় রাজি হয়ে গেলেন,আর্চারযে বেপার এতে বড় নামী দামী জ্ঞানী গুনী ডঃ যিনি সংবিধান লিখিয়াছেন উনিও ঐ দিন চিন্তা করে নাই যে এই সংসদীয় পদ্ধতি এতে ছোট্ট দেশে দরকার নেই, এবং এইটা করলে জনগণ তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হবে এবং পাঁচশতাধিক লোকের হাতে দেশের সম্পদ জনগণের অধিকার সব চলে যাবে,সব কিছু দলীয় করন হয়ে যাবে,হাসিনা খালেদা যুক্তি করেছে হয় তুমি থাকবে না হয় আমি অন্য কেউ ক্ষমতায় আসতে পারবে না,সংসদীয় পদ্ধতি করতে হবে জরুরী,সংসদীয় পদ্ধতিতে সব কিছু দলীয় হবে ,জনগণ (আওয়ামী লীগ) ( বি এন পি )নিয়ে মারা মারি করবে ছেলে বাবা কে মারবে আর বাবা ছেলেকে মারবে ভাই ভাইকে ছুরি দিয়ে জবাই করবে,সব কিছু দলীয় হয়ে যাবে তুমি আর আমিই এই দেশের উত্তর অধিকারী হবে। ক্ষমতা এই দুই দল থেকে কেউ নিতে পারবে না, এই সব কিছু এই দেশে হবে আমি ঐ সময় চিন্তা ভাবনা করেছিলাম,কিন্তু আমার কথা কে শুনবে এবং হয়তে বলবে (পাগল)কিন্তু আমি পাগলের কথা যদি ঐ সময় বড় বড় মাথা গুলির মাথায় বুদ্ধি আসতে তবে আজ তাদের মূল্যে থাকতে। যেমন ,ডঃ কামাল হোসেন,যেমন বিচার পতি আব্দুস সাত্তার,কাদের সিদ্দিকি,ব্যারিসটার রফিকুল ইসলাম মিয়া,মওদুদ আহমেদ,আসম আবদুর রব, জিললুর রহমান,রাসেদ খান মেনন,বদরুদ্দোজা চোধুরী, মির্জা ফখরুল ইসলাম, আরো কয়েক জন এরা ঐ সময় এই রাষ্ট্র চালানো কোন বেপার ছিল না,সবাই উপযুক্ত ছিলেন তাদের মধ্যে যে কোন একজন রাষ্ট্র পতি হতে পারতে ,এরা সবাই উপযুক্ত ছিলেন,বুজলাম এরশাদ চৌরাচার ওকে জনগণের চাপের মুখে সে ক্ষমতা হস্তান্তর করেছে,তার পর নির্বাচন দিলে অবশ্যই একজন রাষ্ট্র পতি পেতাম যদি সেও খারাপ হতো জনগণের চাপের মুখে সেও পদত্যাগ করতে হতো,রাষ্ট্র পতি একজন আর জনগণ সতরো কোটি অবশ্যই জনগণের কথায় থাকবে,আর এখন সংসদীয় পদ্ধতিতে পাঁচ শতাধিক সবাই দলীয় ভাবে রাষ্ট্র পতি সাজে বসেছেন ,যার যার উপজেলায় সে এক রকম রাষ্ট্র পতি হয়ে বসেআছেন,তাহার কথা শুনতে হবে সে যোগ্য হউক অথবা অযোগ্য হউক অথবা নর্তকী ,নায়িকা,নায়ক,শিল্পী ,যাতরার মেয়ে সহ মোটামুটি সবাই রাষ্ট্র পতির আসনে সংসদের চোয়ারে,কোথায় আজ বিশিষ্টজনেরা কোথায় শিক্ষাবীদরা কোথায় রাষ্ট্রের সম্পদ সম্মানিত বেকতিগন কোথায় আজ মুক্তি যুদ্ধের যুদ্ধরা কোথায় আজ সংবিধান কোথায় জনগণের অধিকার, শুধু দলীয় দলীয় ভাবে সব কিছু। এই ভাবে আর কত দিন চলবে ,আমি সবাই কে অনুরোধ করতেছি দেশের জনগণ কে এবং দেশের সম্পদকে যদি জনগনের জন্য রাখতে চান,তবে জরুরি সংবিধান পুনরায় বদলি করেন সংসদীয় পদ্ধতি বাতিল করেন ,রাষ্ট্র পতি পদ্ধতি চালু করেন,একজন রাষ্ট্র পতির কাছে রাষ্ট্রের দায়িত্ব দেন,পাঁচশত লোকের দরকার নাই। দলীয় ভাবে জোরপূর্বক ভাবে যাই ইচ্ছা তাই চলবে জনগণের অধিকার হরণ করবে তা হতে পারে না,এখন হইতে আরম্ভ করা হউক সংবিধান বদলি করা হউক সংসদীয় পদ্ধতি বাতিল করা হউক। এবং পুনরায় সংবিধান করে রাষ্ট্র পতি পদ্ধতি চালু করা হউক, হাসিনা , খালেদা ,ছাড়া বাংলাদেশে কি কোনো যোগ্য বেকতি নেই।অবশ্যিই আছে। হাসিনা খালেদা কি দুইজনেই এই দেশের মালিক সব সময় তারাই দলীয় ভাবে জোরপূর্বক ক্ষমতা চালাবে,আজকে আমি কালকে তুমি তাহা হতে পারে না।আমরাও এই দেশের সন্তান আমরাও এইমাটির মধ্যেই জন্ম গ্রহন করেছি,আমাদের অধিকার আছে ,আমাদের ছেলে মেয়েরা ভবিষ্যতে পড়ালেখা করে উপযুক্ত হবে এবং হয়ে যেমন জনগণের খেদমত করার সুযোগ পায়,কিন্তু এই আশা কোনদিন কাউর পুরন হবে না,যতে দিন সংসদীয় পদ্ধতি থাকবে। আসসালামুআলাইকুম অরাহমাতুললাহ অবারাকাতু।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন