মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

সিলেট বিআরটিএ দুর্নীতির আখড়া, দুষ্টচক্র মাথাচাড়া দিয়ে হয়রানি করছে জনগণের

ভার্চুয়াল সভায় ওবায়দুল কাদের

সিলেট ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২ মে, ২০২১, ৮:৫৫ পিএম

সিলেট বিআরটিএ (বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ) অফিস দুর্নীতির আখড়া বলে তির্যক মন্তব্য করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। সিলেট বিআরটিএ অফিস দুবার ভিজিট করেছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এরা অনিয়মের বৃত্ত থেকে বের হতে পারছে না। একটি দুষ্টচক্র মাথাচাড়া দিয়ে জনগণের হয়রানির কারণ হচ্ছে। এরাই বাইরের দালালদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়।’
রোববার (২ মে) সকালে সিলেট জোন, বিআরটিসি ও বিআরটএ’র কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক ভার্চুয়াল মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি। মন্ত্রী তাঁর সরকারি বাসভবন থেকে এ সভায় যুক্ত হন। মন্ত্রী এ সময় সিলেট বিআরটিএ অফিসকে দুর্নীতিমুক্ত করার জন্য নির্দেশনা দেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের।
বিআরটিসি প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিআরটিএ’র যেসব গাড়ি আছে, সেগুলো যথাযথ মেরামত হয় কিনা তা দেখা হয় না। নতুন গাডি কিছুদিন যেতে না যেতেই দেখা যায় অপরিষ্কার-অপরিচ্ছন্ন। ভেতরে ছাল বাকল থাকে না। জানালায় গ্লাস
থাকে না। চলে না এসি ফ্যান। এ রকম অবস্থা থেকে মুক্ত করা দরকার বিআরটিসিকে। বারবার বিআরটিসি লোকসান দেবে তা হবে না। সরকারকে আর কত ভর্তুকি গুণতে হবে ? এতগুলো গাড়ি দেওয়ার পরও কেন বিআরটিসিকে লোকসান গুণতে হবে। কোথায় সমস্যা ? নিশ্চয়ই শস্যের মধ্যে ভূত আছে। এ লোকসানে বৃত্ত থেকে বিআরটিসিকে বের করে আনতে হবে।’ এর আগে বিআরটিএ সিলেট অফিসের অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, দালাল নিয়োগ ও উৎকোচ বাণিজ্য নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে বিভিন্ন গণমাধ্যম।
এরপর ২০১৯ সালের ১৩ ডিসেম্বর (শুক্রবার) ও ১৪ ডিসেম্বর (শনিবার) বিআরটিএ সদর দপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও তদন্ত কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম বিআরটিএ সিলেট অফিস সরেজমিনে বিভিন্ন বিষয় অনুসন্ধান করেন। এরপর তিনি গিয়ে বিআরটিএ চেয়ারম্যান বরাবর প্রতিবেদন জমা দেন। তদন্ত কর্মকর্তা প্রতিবেদনেও অনিয়ম, দুর্নীতি ও দালালদের দৌরাত্ম্যর বিষয়টি উঠে আসে। এরপর নানা প্রক্রিয়া শেষে বিআরটিএ সিলেট অফিসের সহকারী পরিচালক (ইঞ্জিনিয়ারিং) মো. সানাউল হক ও লাইসেন্স শাখার পরিদর্শক আবদুল্লাহ আল মামুনের নামে দায়ের করা হয় বিভাগীয় মামলা। এছাড়া, ভার্চুয়াল এ মতবিনিময় সভায় ঢাকা সিলেট চার লেন সড়কের কার্যক্রম প্রসঙ্গে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, কাজির গরু কেতাবে আছে গোয়ালে নেই এমন অবস্থা। এ জন্য সিলেটবাসী খুবই অসন্তুষ্ট ও বিরক্ত। ভূমি অধিগ্রহণের জন্য কাজ দীর্ঘদিন ঝুলে থাকলে জনগণ হতাশ হবে। শুরুতে কাজে গতি দিতে পারলে জনগণের হতাশা চলে যাবে। এ ব্যাপারে মন্ত্রণালয় ও প্রধান প্রকৌশলী যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।’ যথাসময়ে প্রকল্পের কাজ শুরু করার নির্দেশনা দিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘কাজ শুরু হতেই অনেক দেরি হয়ে যায়। দরপত্র, মূল্যায়ন, ওয়ার্ক অর্ডার প্রক্রিয়া একটু সহজতর করার জন্য আমি প্রধান প্রকৌশলীকে বলবো।

অপরদিকে মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এ সময় আরো জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বারবার ঢাকা-সিলেট-তামাবিল চারলেন সড়কের কাজের খোঁজ খবর নেন। এ জন্য আমি সংশ্লিষ্ট সবাইকে বলবো, গুরুত্ব দেওয়ার জন্য। এছাড়া দ্রুত ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বাক এবং দুর্ঘটনাপ্রবণ স্পটগুলো করতে হবে সরলীকরণ।’

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
Harunur Rashid ৩ মে, ২০২১, ৩:২৬ এএম says : 0
You don't ask them to clean their act, you fire them first and hire new ones who can do the job right.
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন