রাজশাহী ব্যুরো : রাজশাহী সিটি করপোরেশন ঈদুল আজহার দিন কোরবানির পর মাত্র ১০ ঘণ্টার মধ্যেই বর্জ্য অপসারণ করে ফের উদাহরণ সৃষ্টি করল। ঈদের দিন বিকেল থেকেই শুরু হয় বর্জ্য অপসারণ। পরিচ্ছন্ন বিভাগের কর্মীদের ঈদের ছুটি বাতিল করা হয়েছিল এ কারণেই। বিরতিহীনভাবে চেষ্টা চালিয়ে দিনগত রাত ২টার মধ্যেই কোরবানির বর্জ্য অপসারণ করা হয়। রাসিক’র প্রধান পরিচ্ছন্নতা কর্মকর্তা শেখ মোহাম্মদ মামুন এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, এবার নির্ধারিত স্থানে পশু কোরবানিতে সাধারণ মানুষের ভালো সাড়া পাওয়া গেছে। মানুষ আগের চেয়ে অনেক বেশি সচেতন হয়েছেন। যারা নির্ধারিত স্থানে পশু কোরবানি দেননি তারাও গর্ত খুঁড়ে কোরবানির রক্ত পুঁতে দিয়েছেন। বর্জ্য ফেলেছেন নির্দিষ্ট স্থানে।
এছাড়া সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নকর্মীরা স্বাভাবিক নিয়মেই বাড়ি বাড়ি গিয়ে বর্জ্য সংগ্রহ করেছেন। রাসিক’র আহŸানে সাধারণ মানুষ তাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছেন। রাজশাহী সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা (মনিটরিং) সাজ্জাদ আলী জানান, প্রথমে শহরের অলিগলিতে পড়ে থাকা পশুর বর্জ্য অপসারণ করে মূল সড়কে নিয়ে স্তূপ করে রাখা হয়। এরপর শুরু হয় ট্রাকে তুলে মহানগরীর টিকর এলাকার ডাম্পিং স্টেশনে নিয়ে যাওয়া। রাসিক’র এ অপসারণ কার্যক্রমে ঈদের দিন রাতেই মহানগরীর সব এলাকার বর্জ্য চলে যায় ডাম্পিং স্টেশনে। এভাবে দুই ধাপে শতভাগ কোরবানির বর্জ্য অপসারণের কাজ শেষ হয়।
বিকেল ৪টা থেকে রাত ২টা পর্যন্ত বর্জ্য অপসারণ নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা ছিলো। কোথাও বর্জ্য ও অবশিষ্ট অংশ পড়ে থাকার খবর পেলেই পরিচ্ছন্নকর্মী ও গাড়ি পাঠানো হয়। যেখানে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে সেখানে আবার পানি দিয়ে ধুয়ে বিøচিং পাউডার ছিটিয়ে দেওয়া হয়। এভাবে পূর্বে দেওয়া ঘোষণা অনুযায়ী ঈদের দিন রাতেই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন মহানগরীতে পরিণত করা হয় রাজশাহীকে।
সাজ্জাদ আলী বলেন, সিটি করপোরেশনের ১৪শ’ পরিচ্ছন্নতাকর্মী বর্জ্য অপসারণের কাজ করেন। বিশেষ ব্যবস্থায় ছয়টি ইঞ্জিনের সঙ্গে ১২টি ট্রলি যুক্ত করা হয় এবং আটটি হাইড্রলিকের মাধ্যমে ৩০টি ওয়ার্ড থেকে সাড়ে ৮শ’ টন বর্জ্য অপসারণ করা হয়। দায়িত্বপ্রাপ্ত মেয়র মোঃ নিযাম উল আযীম মহানগরবাসী, কাউন্সিলরবৃন্দ ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন। তিনি এক বার্তায় সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে আশা প্রকাশ করেছেন, মহানগরীর উন্নয়ন ও সেবা কার্যক্রম সফলভাবে বাস্তবায়নে মহানগরবাসীর সহযোগিতা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে। পবিত্র ঈদুল আজহার দিন কোরবানির বর্জ্য অপসারণে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন বিশেষ কর্মসূচি গ্রহণ করে। যে কারণে ঐদিন মধ্যরাতের মধ্যেই সকল আবর্জনা অপসারণ করে মহানগরীকে পরিচ্ছন্ন করা সম্ভব হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন