শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দেওয়া প্রায় সবাই পরাজিত

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩ মে, ২০২১, ১১:১৯ এএম

ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপির গেরুয়া শিবিরে যোগ দেয়াদের অধিকাংশই পরাজিত হয়েছে। মাত্র তিন-চারজন ছাড়া দলবদল করে বিজেপির টিকিটে নির্বাচন করা প্রায় সবাই তৃণমূলের কাছে পরাজিত হয়েছে। ব্যতিক্রমীদের তালিকায় শুভেন্দু অধিকারী, মুকুল রায়, মিহির গোস্বামীরা। তবে তাদের বাদ দিলে প্রায় শতাধিক দলবদলকারী প্রার্থী ভোটে হেরেছে।

তৃণমূল বিরোধী হাওয়াকে কাজে লাগিয়ে বিজেপি গত দুই-তিন বছরে তৃণমূলের বহু নেতাকে দলে ভাগিয়ে নিয়েছিল। তবে এই দলবদল করা নেতাদের বেশিরভাগই ভোটে পরাজিত হয়েছেন। তা সে বালির বিজেপি প্রার্থী বৈশালী ডালমিয়া হোক, শিববুরের রথিন চক্রবর্তী হোক, পাণডবেশ্বরের জিতেন্দ্র তিওয়ারি হোক বা শিলভদ্র দত্ত বা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল সুপ্রিমোর কাছ থেকে গাদ্দার ট্যাগ পাওয়া প্রায় সবাই হেরেছে নির্বাচনে।
দলবদলকারীদের এমন হারের মধ্যেই শেষ হাসি হাসলেন শুভেন্দু অধিকারী, মুকুল রায়। দক্ষিণ কৃষ্ণনগর আসন থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের কৌশানী মুখোপাধ্যায়কে হারিয়ে জিতেছেন মুকুল রায়। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নন্দীগ্রামের প্রেস্টিজ ফাইটে হারিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী।
সিঙ্গুর আসনে তৃণমূলের বেচারাম মান্নার কাছে হেরেছেন ‘মাস্টারমশাই’ রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য। মুকুল রায় জিতলেও হেরেছেন তার ছেলে শুভ্রাংশু রায়। কালনা আসনে হেরেছেন বিশ্বজিত কুণ্ডু।
তৃণমূলের সখ্যতা ছেড়ে গেরুয়া শিবিরে যোগ দেওয়া রুদ্রনীলও হেরেছেন ভবানীপুর আসন থেকে। ডায়মন্ড হারবার থেকে হেরেছেন দীপক হালদার। এই প্রসঙ্গে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, এটা সত্যি যে, আমরা এই ফলাফল আশা করিনি। আমাদের দেখতে হবে যে কোথায় ভুল হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সাল থেকে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানকারী মোট ১৪০ জনকে এবার টিকিট দিয়েছিল বিজেপি। তবে এদের অধিকাংশই দলকে জেতাতে ব্যর্থ হয়েছে।
তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, বিজেপি বাংলাকে যেভাবে বানাতে চেয়েছিল, সেই পরিকল্পনার বিরোধিতার প্রতিফলন এই ফলাফল। সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (9)
Jamil Hosen Jon ৩ মে, ২০২১, ১:২১ পিএম says : 0
খারাপ সব সময়ই খারাপ...সে হিন্দু হোক বা মুসলিম...পশ্চিম বাংলার জনগন তাদের শান্তির পক্ষে রায় দিয়েছে...উগ্র কট্টরপন্থী সাম্প্রদায়িক দাঙ্গাবাজদের বিরুদ্ধে পশ্চিম বাংলার মানুষ অনেক সচেতন।।
Total Reply(0)
Rashedul Kabir ৩ মে, ২০২১, ১:২৩ পিএম says : 0
গাদ্দারগুলো সব ডুবেছে তাহলে...
Total Reply(0)
মোস্তাকিম মোল্লা ৩ মে, ২০২১, ১:২৪ পিএম says : 0
উচিৎ শিক্ষা পাইছে
Total Reply(0)
Md. Altaf Mondol ৩ মে, ২০২১, ১:২৪ পিএম says : 0
এটার প্রয়োজন ছিল, মীরজাফরদের স্থান বাংলায় নেই
Total Reply(0)
Mojibur Rahman ৩ মে, ২০২১, ১:২৪ পিএম says : 0
মীরজাফরদের কোথাও ঠাঁই হয় না
Total Reply(0)
Abdul Woadud ৩ মে, ২০২১, ৬:০৬ পিএম says : 0
ভোটের আগেই পরাজিত জাত গোখরো মিঠুন দা
Total Reply(0)
Mahbub Alam Kazal ৩ মে, ২০২১, ৬:০৬ পিএম says : 0
বেইমানদের এমনটাই হওয়া উচিত।
Total Reply(0)
MD Rayhan Uddin ৩ মে, ২০২১, ৬:০৭ পিএম says : 0
এটা যদি বাংলাদেশ হতো এই নির্বাচনের ফলাফল হতো ঠিক উল্টো।
Total Reply(0)
Himel Ahmed ৩ মে, ২০২১, ৬:০৭ পিএম says : 0
এর থেকেই বোঝা যায় কলকাতার মানুষ অনেক রুচিসম্মত, তারা গোল আলু পছন্দ করে না
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন