বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হার কমেছে ১৬ শতাংশ

বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও ডেন্টাল কলেজ আইন চূড়ান্ত অনুমোদন গ্যাস-তেল-খনিজসম্পদ করপোরেশন আইনের খসড়া নীতিগত অনুমোদন

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৪ মে, ২০২১, ১২:০১ এএম

চলতি বছরের প্রথম ত্রৈমাসিকে (জানুয়ারি থেকে মার্চ) মন্ত্রিসভায় নেয়া সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের হার গত বছরের চেয়ে ১৬ দশমিক ০১ শতাংশ কমেছে। গত বছর একই সময়ে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের হার ছিল ৬৪ দশমিক ৭৯ শতাংশ। এবার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হয়েছে ৪৮ দশমিক ৭৮ শতাংশ। মন্ত্রিসভা বৈঠকে নেয়া সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের বিষয়ে ২০২১ সালের প্রথম ত্রৈমাসিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে।
এদিকে বাংলাদেশে গ্যাস, তেল ও খনিজসম্পদ করপোরেশন আইন, ২০২১ এর খসড়ার নীতিগত এবং বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও ডেন্টাল কলেজ আইন, ২০২১ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। গতকাল সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়। গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী এবং সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীরা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, গত ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত ৫টি মন্ত্রিসভার বৈঠক হয়। এতে সিদ্ধান্ত নেয়া হয় ৪১টি। সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হয় ২০টি। ২১টি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নাধীন রয়েছে। সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের হার ৪৮ দশমিক ৭৮ শতাংশ। অপরদিকে ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত ১০টি মন্ত্রিসভার বৈঠক হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ওই সময়ে সিদ্ধান্ত হয় ৭১টি। এরমধ্যে ৪৬টি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হয়। সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নাধীন ছিল ২৫টি। বাস্তবায়নের হার ছিল ৬৪ দশমিক ৭৯ শতাংশ। গত ৭ জানুয়ারি থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত মন্ত্রিসভা বৈঠকে একটি নীতি বা কর্মকৌশল এবং একটি চুক্তি বা সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) অনুমোদিত হয়েছে। এ সময়ে সংসদে আইন পাস হয়েছে ৬টি।
তিনি বলেন, ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত মন্ত্রিসভা বৈঠকে ৪টি নীতি বা কর্মকৌশল এবং ৪টি চুক্তি বা সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) অনুমোদিত হয়। এ সময়ে সংসদে ৭টি আইন পাস হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এ বিষয়ে ১৯৭৬ ও ১৯৮৬ সালের দু’টি অর্ডিন্যান্স ছিল। দুটোই সামরিক আইনের সময় জারি হওয়ায় আদালনের নির্দেশনার আলোকে সেগুলোকে পরিবর্তন করা হচ্ছে। করেপারেশনের অনুমোদিত মূলধন থাকবে পাঁচ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু পরিশোধিত মূলধন হবে ২শ কোটি টাকা। তিনি জানান, করপোরেশনের কাজ হবে গ্যাস, তেল বা খনিজ বিষয়ে গবেষণা করা। উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ, কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন, এলএমজি আমদানি, বিপণন, রপ্তানি, ব্যবস্থাপনা।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, কোম্পানি আইন অনুযায়ী কোম্পানি গঠন করতে হবে। করপোরেশন তার অধীনস্ত শেয়ার বা স্বত্ত¡ ধারণ করতে পারবে। করপোরেশন সরাসরি অনুমোদনক্রমে ব্যাংকে মেয়াদী আমানত বা অন্য কোনো জ্বালানি সংশ্লিষ্ট লাভজনকখাতে বিনিয়োগ করতে পারবে।
তিনি বলেন, বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও ডেন্টাল কলেজ আইন, ২০২১ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ২০২০ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়। আইন অনুযায়ী প্রত্যেকটি মেডিক্যাল বা ডেন্টাল কলেজে কমপক্ষে ৫০ জন শিক্ষার্থী থাকতে হবে। মেট্রোপলিটন এলাকায় মেডিক্যার কলেজের নামে দুই একর, ডেন্টাল কলেজের নামে এক একর এবং অন্যান্য এলাকায় মেডিক্যাল কলেজের জন্য চার একর ও ডেন্টাল কলেজের জন্য দুই একর জমি থাকতে হবে। মেডিক্যাল কলেজের নামে তফসিলি ব্যাংকে তিন কোটি টাকা এবং ডেন্টাল কলেজের নামে দুই কোটি টাকা সংরক্ষিত তহবিল হিসেবে জমা থাকতে হবে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, মেডিক্যাল কলেজের একাডেমিক কার্যক্রমের জন্য কমপেক্ষ এক লাখ বর্গফুট, হাসপাতাল পরিচালনার জন্য আরও এক লাখ বর্গফুট কন্সট্রাকশন সুবিধা থাকতে হবে। আর ডেন্টাল হাসপাতালের জন্য ৫০ হাজার বর্গফুট থাকতে হবে।
আনোয়ারুল ইসলাম জানান, বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও ডেন্টাল কলেজ পরিদর্শনের ব্যবস্থা থাকবে। একাডেমিক অনুমোদন প্রাপ্ত প্রত্যেক বেসরকারি মেডিক্যাল ও ডেন্টাল কলেজকে কোনো একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্ট থাকতে হবে। শিক্ষার্থী ও শিক্ষকের অনুপাত হতে হবে ১০:১। অর্থাৎ, প্রতি দশ শিক্ষার্থীর জন্য একজন করে শিক্ষক থাকতে হবে। শিক্ষার্থীদের ফি সরকার নির্ধারণ করে দেবে। মেডিক্যার বর্জ্য সান্টিফিকওয়েতে ডিসপোজাল করতে হবে। কেউ আইন ভঙ্গ করলে দুই বছরের কারাদন্ড, ১০ লাখ টাকা অর্থদন্ড বা উভয় দন্ডে দন্ডিত করা হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন