সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প থেকে রাজ্যকে মুক্ত করে বিজেপিবিরোধী সম্ভাব্য জোটের আইকনে পরিণত হলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূলের সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার নন্দীগ্রাম আসনে নির্বাচনের মাত্র একদিন আগে ইউপিএ জোটনেত্রী সোনিয়া গান্ধী, কাশ্মীরের নেত্রী মাহবুবা মুফতি, এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ার, ডিএমকে সুপ্রিমো এমকে স্ট্যালিন, সমাজবাদী পার্টির সুপ্রিমো অখিলেশ যাদবের মতো ১৫ জন নেতার কাছে পত্র লিখে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার ডাক দিয়েছিলেন। বাংলার বিধান সভা নির্বাচনে ডবল সেঞ্চুরি হাঁকিয়েই ফের মোদি সরকার বিরোধী আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বান জানালেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গতকাল সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধেও যুদ্ধ ঘোষণা করেন তৃণমূল নেত্রী। এদিন তিনি স্পষ্ট করে দেন, করোনা মহামারির বিরুদ্ধে যুদ্ধকেই প্রাথমিক গুরুত্ব দেবে তার সরকার। তবে এই যুদ্ধে তিনি জনমত নির্বিশেষ সকলের সহযোগিতা চেয়েছেন। তিনি বলেছেন, তিনি একজন স্ট্রিট ফাইটার মাত্র। জনগণকে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করতে উদ্বুদ্ধ করতে পারেন তিনি। কিন্তু একাএকা কোনও কিছু করা সম্ভব নয়। কিন্তু সকলে মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে ২০২৪ সালের জন্য আমরা লড়াই করতে পারে। কিন্তু এখন গোটা রাজ্যকেই প্রথমে করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে।
২০২৪ অর্থাৎ লোকসভা নির্বাচনের বছর। ইতোমধ্যেই জাতীয় ও আঞ্চলিক দলগুলোর নেতারা মমতাকে বিজেপির বিরুদ্ধে এই বিশাল সাফল্যের জন্য শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। দেশের বিজেপি বিরোধী প্রধান মুখ হিসেবে উঠে এসেছে তৃণমূল নেত্রীর নাম। আর সেই হাওয়াতেই গা ভাসিয়ে এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, তিনি বিজেপির বিরুদ্ধে সবরকম যুদ্ধে সামিল হবেন। তবে এ মুহ‚র্তে তার কাছে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ করোনা মহামারির বিরুদ্ধে লড়াই। ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের রিপোর্ট অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় পশ্চিমবঙ্গে দৈনিক সংক্রমণ ১৭ হাজার ৫১৫। রাজ্যে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৮ লাখেরও বেশি। এদিনও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গোটা দেশের মানুষকে দ্রুততার সঙ্গে টিকাকরণ করার আবেদন জানিয়েছেন কেন্দ্রের কাছে। তিনি বলেছেন, কেন্দ্রকে অনুরোধ করেছি, সারা দেশে সর্বজনীন টিকার জন্য দ্রুত ৩০ হাজার কোটি টাকা অনুমোদন দেওয়ার। মহামারি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার একপেশে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। তিনি বলেন, তিনি জানতে পেরেছেন, কেন্দ্রীয় সরকার ২-৩টি রাজ্যে সব থেকে বেশি টিকা, ওষুধ ও অক্সিজেন পাঠাচ্ছে।
বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে রাজ্যে প্রত্যাবর্তন হয়েছে তৃণমূলের। প্রশ্ন উঠছিল শপথগ্রহণ হচ্ছে কবে? গতকাল বিকেলে তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক সম্মেলন থেকে তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানালেন, নতুন সরকারের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শপথ নিতে পারেন আগামীকাল। অন্য বিধায়করা শপথ নিতে পারেন ৬ মে।
এদিন বিকেলে তৃণমূল ভবনে আসেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক সারেন তিনি। সেই বৈঠকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিধানসভার পরিষদীয় দলের দলনেত্রী নির্বাচিত করে জয়ী বিধায়করা। এদিনের বৈঠকে বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘প্রোটেম স্পিকার’ হিসেবে নির্বাচিত করা হয়। তাঁকেই বিধানসভার অধ্যক্ষ পদে বসানোর প্রস্তাব দেওয়া হতে পারে বলে জানিয়েছেন তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ৬ মে তিনি ‘প্রোটেম স্পিকার’ হিসাবে বিধায়কদের শপথবাক্য পাঠ করাবেন বিমানবাবু। তার হাতে দায়িত্ব তুলে দেবেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়।
এদিন জয়ী প্রতিনিধিদের সঙ্গে বেশকিছুক্ষণ বৈঠক করেন মমতা। সেই বৈঠকে নিজের নিজের বিধানসভার মানুষের জন্য ভালভাবে কাজ করা এবং মানুষের সমস্যা যথাযথভাবে মেটানোর নির্দেশ দিয়েছেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিনের বৈঠকে হাজির ছিলেন দলের প্রত্যেক নির্বাচিত প্রতিনিধি। ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং প্রশান্ত কিশোর।
রাজ্যে বিপুল সংখ্যক আসন নিয়ে ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল। তাঁদের দখলে ২১৩টি আসন। তবে নন্দীগ্রাম আসন থেকে পরাজিত হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখন প্রশ্ন হল, ভোটে পরাজিত হলে কি মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ায় কোনও বাধা থাকে? এই প্রশ্নের জবাবে সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘যে কোনো প্রতিনিধি মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব নিতে পারেন। তবে ছয় মাস পরেও তিনি কাজ চালিয়ে গেলে তাকে রাজ্যের কোনও একটি কেন্দ্র থেকে নির্বাচিত হয়ে আসতে হয়’। এদিন তিনি কার্যত বুঝিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী পদে মমতার শপথগ্রহণে কোনও বাধা থাকল না।
সঙ্গত কারণেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভবিষ্যৎ নিয়ে চর্চা হলেও মোদির ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা হচ্ছে সবচেয়ে বেশি। পশ্চিমবঙ্গ, কেরালা, তামিলনাড়–র ভোটে বিজেপির হতাশাজনক ফলাফলে প্রশ্নের মুখে মোদি ম্যাজিক। নামে পাঁচ রাজ্য হলেও প্রকৃতপক্ষে বাংলা বিজয় ছিল নরেন্দ্র মোদির সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ। শুধু একটি অধরা রাজ্যে জয় নয়, পশ্চিমবঙ্গ দখল করতে পারলে ভারতীয় জনসঙ্ঘ ও তৎপরবর্তী বিজেপির ইতিহাসে মোদি হয়ে উঠতেন আইকন। শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের নিজের রাজ্যেই তার শক্তিশালী উত্তরসূরিরা কোনোদিন সরকার গড়তে পারলেন না, এ অস্বস্তিকর কাঁটার মুক্তি দিতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আটকে গেল তার জয়রথ। এবার কেরালা-তামিলনাড়– তো বটেই, তার থেকেও বেশি পশ্চিমবঙ্গের ফলাফল নরেন্দ্র মোদির ভাবমর্যাদাকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দিয়েছে। তার দল ও দেশবাসীর মনে প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি মোদির একক জনপ্রিয়তা ক্রমহ্রাসমান?
নরেন্দ্র মোদি বাংলায় প্রচারপর্বে রীতিমতো ডেইলি প্যাসেঞ্জারি করেছেন। দফায় দফায় গেছেন কেরালায়। তামিলনাড়–তে বিপুল শক্তি বাড়ানোর আশা দিয়েছেন দলকে। তিন রাজ্যে তিনিই ছিলেন দলের চালিকাশক্তি। কিন্তু ভোটের ফলে দেখা যাচ্ছে, তিন রাজ্যেই মুখ থুবড়ে পড়েছে গেরুয়া শিবির। কেরালা বিজেপিশূন্য, তামিলনাড়–তে ৩ আর বাংলায় ২০০ দূরাস্ত, ১০০ আসনের ধারেকাছেই যেতে ব্যর্থ। কেরালায় বামফ্রন্ট, তামিলনাড়–তে ডিএমকে-কংগ্রেসের জোট এবং বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের বিপুল জয় হয়েছে। পুদুচেরিতে এনআরসি জোট জয়ী হয়েছে, যেখানে বিজেপি অন্যতম শরিক। কিন্তু মোদির ভ‚মিকা সেখানে নগণ্য। আসামে বিজেপির জয়ের কারিগর দলের নেতা ও মন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার সাংগঠনিক ক্ষমতা ও মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনেওয়ালের জনপ্রিয়তা। ফলে এ কারণেই আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে যে, মোদির সেই জনমোহিনী শক্তি আর অবশিষ্ট নেই।
আগামী বছর গুজরাট, উত্তরপ্রদেশ, পাঞ্জাব, হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখন্ড, জম্মু ও কাশ্মীরে ভোট। এমতাবস্থায় ২০২১ সালে করোনা সঙ্কটের মোকাবিলায় রীতিমতো লেজেগোবরে মোদি সরকার। আর তার সঙ্গে এভাবে বাংলা, কেরালা, তামিলনাড়–তে চরম পরাজয়। এখন কর্ণাটক ছাড়া দক্ষিণ ভারতে আর একটি রাজ্যেও বিজেপির শক্তি নেই। মধ্যভারতে শুধুই মধ্যপ্রদেশ, পশ্চিম ভারতে গুজরাট ও গোয়া। উত্তর ভারতে উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখন্ড ও হিমাচল প্রদেশ। পূর্ব ও উত্তরপূর্ব ভারতে বিহার, আসাম ও ত্রিপুরা। সুতরাং বাংলা, কেরালা, তামিলনাড়–র পর আগামী বছর ছয় রাজ্যে কী হতে চলেছে, তা ভেবে আতঙ্কিত দল। উত্তর ভারতে বড়সড় ধাক্কা এলে ভারতের মানচিত্র থেকে ক্রমেই গেরুয়া ফিকে হয়ে যাবে। একমাত্র যাঁর ম্যাজিকে এই সঙ্কট থেকে মুক্তি পাওয়ার আশা ছিল, এবারের বিপর্যয় দেখাল সেই মোদির একক ক্ষমতা আর নেই। পশ্চিমবঙ্গ তার প্রমাণ। এই রাজ্যের ভোট প্রথম থেকেই হয়েছে মোদি বনাম মমতা। কিন্তু শেষ হাসি হেসেছেন মমতাই। তাঁদের আবার দেখা হবে মুখোমুখি ভোটের ময়দানে, ২০২৪ সালে।
মতুয়াদের মন ফিরে পেলেন মমতা
জঙ্গলমহল, উত্তরবঙ্গ পুনরুদ্ধার হয়েছে। তার সঙ্গে সঙ্গে মতুয়া ভোটারদের মনও ফিরে পেলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফের তৃণমূলের উপরেই আস্থা রাখলেন মতুয়ারা। ভোটের ফলের প্রাথমিক বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে, মতুয়া অধ্যুষিত রাজ্যের ৮৩টি আসনের মধ্যে ৫৩টিতেই জয়ী হয়েছে তৃণমূল। যে উত্তর চব্বিশ পরগণায় মতুয়াদের একটা বড় অংশের বাস, সেখানেই মতুয়া প্রভাবিত ১৬টি আসনের মধ্যে ১২টি দখল করেছে তৃণমূল। আর দক্ষিণ চব্বিশ পরগণায় মতুয়া প্রভাবিত ৯টির সবকটি আসনেই জয়ী হয়েছে শাসক দল। মতুয়া অধ্যুষিত আর এক জেলা নদিয়াতে অবশ্য ছবি সামান্য অন্য রকম। সেখানে মতুয়া অধ্যুষিত ৮টি আসনের মধ্যে চারটি পেয়েছে বিজেপি, চারটি পেয়েছে তৃণমূল।
২০১৯-এ লোকসভা নির্বাচনে এ মতুয়াদের সমর্থনেই লাভবান হয়েছিল বিজেপি। কিন্তু বিপুল সমর্থনের পরও নাগরিকত্ব আইন কার্যকর করা নিয়ে কেন্দ্রের টালবাহানায় মতুয়াদের মধ্যে ধীরে ধীরে ক্ষোভ জমছিল। ভোট প্রচারে এসে সেই আঁচও পেয়েছিলেন বিজেপি-র শীর্ষ নেতারা। তাই মতুয়াদের সমর্থন ধরে রাখতে মরিয়া কৈলাস বিজয়বর্গীয়, মুকুল রায়রা বার বার ছুটে গিয়েছেন ঠাকুরনগরের মতুয়া ঠাকুরবাড়িতে।
মতুয়াদের মন জয়ে এবারও চেষ্টার ত্রæটি রাখেননি বিজেপি নেতারা। এমন কি, মতুয়াদের মন পেতে মরিয়া অমিত শাহ ঠাকুরনগরে গিয়ে কথা দিয়ে আসেন, করোনা সংকট মিটলেই সিএএ কার্যকর করা হবে। ভোটের মধ্যেই বাংলাদেশে এসে মতুয়াদের ধর্মগুরু হরিচাঁদ ঠাকুরের জন্মস্থানে গিয়ে প্রণাম করে এসেছিলেন নরেন্দ্র মোদি। পাল্টা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টানা প্রশ্ন করে গেছেন, মতুয়াদের সমর্থন পেয়েও তাঁদের জন্য কী করেছে বিজেপি? কেন সিএএ নিয়ে টালবাহানা করা হচ্ছে? একই সঙ্গে মতুয়াদের জন্য জমির পাট্টা বিলিসহ তার সরকার কী কী কাজ করেছে, সেই পরিসংখ্যানও তুলে ধরেছেন মমতা। ভোটের ফলেও হয়তো তারই প্রভাব পড়ল।
বাংলা জিততে একের পর এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, সাংসদদের টেনে ভোটযুদ্ধে নামানো হয়েছিল। রাজ্যসভার এক সাংসদ আবার ভোটে দাঁড়ানোর জন্য ইস্তফা দিতে বাধ্য হন। এত কিছুর পরেও শেষরক্ষা হল না। বাংলায় বিজেপি তো মুখ থুবড়ে পড়লই, সেই সঙ্গে সাংসদরাও হারলেন প্রায় সকলেই। শুধু জিতলেন নিশীথ প্রামাণিক। কোচবিহারের দিনহাটা থেকে।
টালিগঞ্জে তৃণমূলের অরূপ বিশ্বাসের কাছে হারলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। প্রায় ৫০ হাজার ভোটে। চুঁচুড়ায় প্রার্থী হয়েছিলেন বিজেপির লকেট চট্টোপাধ্যায়। এই এলাকা তারই লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত। তবু এই চুঁচুড়া বিধানসভা কেন্দ্রে হারলেন লকেট। বিজেপির রাজ্য মহিলা মোর্চার সভানেত্রী তিনি। জোর প্রচার চালিয়েছিলেন। গোটা রাজ্যেই সমাবেশ করেছিলেন। এমনকী প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ, তথা শুভেন্দু অধিকারীর বাবা শিশির বাবুর কাছে দৌত্যের কাজও করেছিলেন তিনি। সেই লকেটও হারলেন।
তারকেশ্বরে বিজেপি–র প্রার্থী করা হয়েছিল স্বপন দাশগুপ্তকে। অনেকেই মনে করছিলেন, তাঁকেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ভাবছে বিজেপি। রাজ্য সভার সাংসদ হওয়ার ৬ মাসের মধ্যে সরকারিভাবে কোনও দলে যোগ দেননি। এই অবস্থায় একটি রাজনৈতিক দলের হয়ে বিধানসভা ভোটে দাঁড়াতে পারেন না। সংসদের এ নিয়মেই শুরু বিতর্ক। অগত্যা রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেন স্বপনবাবু। এতটাই হয়তো তাঁকে নিয়ে আত্মবিশ্বাসী ছিলেন মোদি-শাহ। তার পরেও হল না শেষরক্ষা। হারলেন স্বপনবাবুও। অর্থাৎ বিজেপির সব অস্ত্রই ফিকে হল মমতা ম্যাজিকের সামনে। এমনকি কাজ করল না মোদি ম্যাজিকও। সূত্র : বর্তমান, এশিয়ানেট নিউজ, সংবাদ প্রতিদিন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন