মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ০৫ চৈত্র ১৪৩০, ০৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

কাপ্তাই হ্রদের গভীরতা কমে যাওয়ায় কর্মহীন হয়ে পড়েছে কয়েক লাখ লোক

কাপ্তাই (রাঙ্গামাটি) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৪ মে, ২০২১, ১০:৩৩ এএম

দেশের পরিকল্পিত বৃহৎ হ্রদ নামে পরিচিত রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার কাপ্তাই হ্রদ। পানি শুন্যতার ফলে গভীরতা কমে যাওয়ায় কয়েক লাখ লোক কর্মহীন হয়ে পড়ছে। এবং কয়েটি উপজেলার সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পরেছে। এশিয়া মহাদেশের পরিকল্পিত বৃহৎ হ্রদ হল কাপ্তাই হ্রদ । এ হ্রদের ওপর নির্ভর করে দেশের মৎস্য ভান্ডার,বিদ্যুৎ ও পর্যটনখাতে বছরে কোটি ,কোটি টাকা সরকার রাজস্ব আয় করে থাকে। এছাড়া,পার্বত্যঞ্চলের সকল ধরনের কাঁচামাল ে যমন,বাঁশ,গাছ,কলা, লিচু,পেঁপে,আনারসসহ বিভিন্ন ধরনের ফল এ হ্রদ দিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলার সরবরাহ করা হয়। জানুয়ারী হতে মে পযন্ত হ্রদের পানির স্তর দিন,দিন কমতে থাকার দরুন তার সৌন্দায্য হারিয়ে ফেলে। হ্রদের সাথে জড়িত কয়েক লাখ লোক কর্মহীন হয়ে পড়ে। বর্ষা মৌসুমে, পাহাড়ের ময়লা,আবর্জনা,হ্রদের দু’পাশে বসবাস করা লোকদের বিভিন্ন বর্জ ফেলার কারনে হ্রদের গভীরা এবং তার যৌবন দিন,দিন হারাতে বেসেছে। কাপ্তাই বাঁশ ব্যবসায়ী আবুল কাশেম জানান,এ মৌসুমে হ্রদের পানির গভীরা কমে যাওয়ার ফলে আমরা বাঁশ আনতে পারিনা। বর্ষা না হওয়া পযন্ত আমরা প্রায় তিন থেকে চার মাস পানির জন্য অপেক্ষা করতে হয়ে।
এ চার মাস যাবৎ আমরা এবং বাঁশের সাথে জড়িত লোকবলের দুর্ভোগ পোহাতে হয়। অপেক্ষা করি কখন মুষলধরে বৃষ্টি হয়ে হ্রদে পানি পরিপূর্ণ হবে। গাছ ব্যবসায়ী সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি লোকমান আহমেদ জানান,পানির ওপর নির্ভর করে আমাদের ব্যবসা,আজ পানি শুকিয়ে যাওয়ার ফলে আমাদের ব্যবসার ধবস নেমেছে বলে উল্লেখ করেন। ইঞ্জিন চালিত বোট মালিক সমিতির সাধারন সম্পাদক মোঃ ইদ্রিছ বলেন, বর্তমানে পানির স্তর দিন,দিন শুকিয়ে যাওয়ার ফলে ইঞ্জিন চালিত বোট চালানো সম্বাভ হয়না। পানি বা বর্ষা মৌসুম না হলে এ কাজে জড়িত লোকদের বেকার হয়ে পরে মানবতার জীবন যাপন করতে হয়। হ্রদের ওপর নির্ভর সাম্পান মাঝি রুবেল বলেন,পানি কমে যাওয়ার ফলে আমাদের মধ্যে দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে। এছাড়া এ হ্রদ দিয়ে রাঙ্গামাটি জেলার,কয়েটি উপজেলার সাথে যোগাযোগ প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে পরেছে। এদিকে সরকারের পক্ষ হতে কাপ্তাই হ্রদের ডেজিং এর ব্যবস্থা নিয়েছে বলে জানাযায়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (3)
মুহাম্মাদ ফজলে রাব্বি ৬ মে, ২০২১, ৩:১০ পিএম says : 0
দেশের সবচেয়ে অবহেলিত জনগোষ্ঠী এ কাপ্তাই হ্রদ পাড়ের মানুষ । এখানকার যোগাযোগ ব্যবস্থা এতোটাই অনুন্নত যে শুধুমাত্র নৌকাই একমাত্র চলাচলের মাধ্যম । তাও আবার শুকনা মৌসুমে ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ে । রাস্তাঘাট কালভার্ট ব্রিজ একদম নেই বললেই চলে । আধুনিক সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত এশিয়ার বৃহৎ কৃত্রিম হ্রদ পাড়ের লোকজন । যে হৃদ থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে সারাদেশে সরবরাহ করা হয় অথচ সেই বিদ্যুৎ এর সুবিধা হৃদ পাড়ের লোকজনের ভাগ্যে জোটেনা । ইন্টারনেট অনেক দূরের কথা "রবি" অপারেটর কোম্পানি ব্যাতিত কোনো নেটওয়ার্ক ওখানে কার্যকর নয় । রাত নেমে এলে আপনার মনে হবে আধুনিক বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন আফ্রিকার কোনো দূর্গম অঞ্চলে রয়েছেন । বছরের প্রায় আট নয় মাস চারদিকে পানি দ্বারা বেষ্টিত থাকায় আপনি নৌযান ছাড়া ঘর থেকে বের হতেই পারবেন না । কারো বিশ্বাস না হলে গুগল ম্যাপে সার্চ দিয়ে রাঙামাটি জেলার কাপ্তাই লেকের আশেপাশে , বরকল , বাঘাইছড়ি উপজেলার এলাকাগুলো জুম করে দেখুন কিরকম বিচ্ছিন্ন দ্বীপের মতো ভুখন্ড । ছোট ছোট শিক্ষার্থীদের নৌকা চালিয়ে স্কুল মাদ্রাসায় যাওয়ার দৃশ্য আপনাকে ব্যাথিত করবে । যোগাযোগ ব্যবস্থার বেহাল দশার জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা তাদের জন্য অনেক কষ্টসাধ্য ব্যাপার । ২০২১ সালে এসে দেশের সবচেয়ে সুন্দর পর্যটন জেলার বাসিন্দাদের এ অবস্থা সত্যি খুব লজ্জাজনক । এ ব্যবস্থা থেকে হৃদপাড়ের বাসিন্দাদের উত্তরণের জন্য শুধু মাত্র জলপথের উপর নির্ভর না করে প্রতিটি গ্রামের সাথে উপজেলা শহরের সংযোগ করে প্রয়োজনীয় ব্রিজ কালভার্ট দিয়ে সড়ক তৈরি করে দিতে হবে । এবং প্রতিটি গ্রামে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে ।
Total Reply(1)
Chitra Chakma ৭ মে, ২০২১, ৩:৫৮ পিএম says : 0
আমি মনে করি কাপ্তাই লেক নিয়ে সরকারের নতুন করে পরিকল্পনা করা উচিত,লেকের নব্যতা খনন করে যেমন পানি কে আরো বেশি ধরে রাখা যাবে তেমনি লেকের পানিকে কিছুটা নিচে নামিয়ে এনে এখানে পুরো উপজেলা গুলোকে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার আওতায় আনা সম্ভব হবে,তখন রাংগামাটি জেলার মানুষের রাজধানী ঢাকা সহ দেশের সব জেলার সাথে যোগযোগ আরো সহজ হবে,শুধু যোগাযোগ ব্যবস্থার অসুবিধা হওয়ার কারনে বরকল, জুড়াছড়ি,মারিশ্যা মতো দুর্গম উপজেলা গুলোতে সরকারি গুরুত্ব পুর্ন অফিসারেরা অনিয়মিত ডিউটি করার কারনে ঐ এলাকার জনগন বিভিন্ন অসুবিধার সম্মুখীন হন,বিশেষ করে চিকিৎসা থেকে অনেক বঞ্চিত হন,তাই আমি সরকারকে অনুরোধ করবো সড়ক পথ সৃস্টি করার জন্য কাপ্তাই বাধের পানিকে কিছুটা কমিয়ে আনার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যব্স্থা গ্রহন করলে পর্যটনের পরিধি যেমন বাড়বে তেমনি লেকের পাশ দিয়ে যখন গাড়ীর রোড হবে তখন পর্যটনের সৌন্দর্য্য ও অনেক গুন বৃদ্ধি পাবে,
Palash maji ৭ মে, ২০২১, ৮:২৬ এএম says : 0
Amer monea hoi.j all world all revers do the work
Total Reply(0)
Dadhack ৭ মে, ২০২১, ১:০৯ পিএম says : 0
Our country is rued by non-believers law as such we have brought down the curse of nature. O'Allah send us a Muslim ruler who will rule our country by Qur'an then Allah's blessing will shower on our country.
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন