শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

‘কঠিন সময়’ পার করছি আমরা : জেনিফার গেটস

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৪ মে, ২০২১, ৩:৫৭ পিএম

বিল ও মেলিন্ডা গেটসের বিচ্ছেদের ঘোষণায় পুরো পরিবার কঠিন সময় পার করছে। সোমবার বিল ও মেলিন্ডা গেটসের বিচ্ছেদের ঘোষণার পর এই কথা বলেন তাদের মেয়ে জেনিফার গেটস।

২৫ বছর বয়সী জেনিফার গেটস ইনস্টাগ্রামে দেয়া একটি পোস্টে লিখেছেন, ‘এ পরিস্থিতিতে কীভাবে নিজের আবেগ সামলানো যায় এবং সেই সঙ্গে পরিবারের সদস্যদের সামলে রাখা যায়, তা নিয়ে এখনো আমি কাজ করছি। এতে আমাকে সুযোগ ও সমর্থন দেয়ায় আমি কৃতজ্ঞ।’ ইনস্টাগ্রামে জেনিফার আরও লিখেছেন, ‘এই বিচ্ছেদের বিষয়ে আমি ব্যক্তিগত পর্যায়ে কোনো মন্তব্য করতে চাই না। কিন্তু এটি মনে রাখবেন, আপনাদের সহানুভূতিশীল বক্তব্য ও সমর্থন আমার কাছে অনেক বড় বিষয়। ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষার ক্ষেত্রে আমাদের চাওয়া বুঝতে পারায় সবার প্রতি ধন্যবাদ। আমরা এখন আমাদের জীবনের পরবর্তী পর্যায় নিয়ে কাজ করব।’

গেটস দম্পতির তিন সন্তানের মধ্যে বয়সে সবার বড় জেনিফার। তার ভাই রোরির বয়স ২২ বছর। আর ১৯ বছর বয়সী ফোয়েব সবার ছোট। তারা সবাই সিয়াটলে বড় হয়েছেন এবং পড়েছেন লেকসাইড হাইস্কুলে। জেনিফার ২০১৮ সালে স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতক পাস করেন। এরপর তিনি নিউইয়র্কের মাউন্ট সিনাইয়ের ইকাহন স্কুল অব মেডিসিনে ভর্তি হয়েছিলেন। বিভিন্ন দাতব্যকাজেও সংশ্লিষ্ট আছেন জেনিফার গেটস। তিনি এখন শিশুরোগ নিয়ে পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছেন। নিজের সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যের চেয়ে মানবসেবায় কাজ করতেই বেশি আগ্রহী জেনিফার। সাইডলাইন ম্যাগাজিনকে বলেছেন, ‘আমি বিশাল সুযোগ-সুবিধা নিয়ে জন্মগ্রহণ করেছি। আমি মনে করি, এই সুযোগ ও শেখার বিষয়টি কাজে লাগিয়ে আমার আগ্রহের বিষয়গুলো সন্ধান করব।’

রোরির জন্ম ১৯৯৯ সালে। জেনিফারের মতো তিনিও পড়াশোনা করেছেন ওয়াশিংটনের সিয়াটলের লেকসাইড হাইস্কুলে। এরপর ভর্তি হন ইউনিভার্সিটি অব শিকাগোয়। লিঙ্গসমতা নিয়ে কাজের ব্যাপারে আগ্রহী ছেলে রোরি। এ কথা তার মা মেলিন্ডাই বলেছেন। ‘টাইম’ সাময়িকীতে তিনি লিখেছেন, রোরি ছেলে হিসেবে অসাধারণ। ভাই হিসেবে অতুলনীয়। অনেক কিছুই সে উত্তরাধিকারসূত্রে পেয়েছে। ধাঁধা সে খুব পছন্দ করে। তবে রোরির যে বিষয়টি আমাকে গর্বিত করে, তা হলো, সে নারীর অধিকার সম্পর্কে সচেতন। যদিও রোরির নিজের পরিকল্পনা সম্পর্কে তেমন কিছু জানা যায়নি। কারণ, সব সময় গণমাধ্যম এড়িয়ে চলার চেষ্টা করেছেন তিনি।

ছোট মেয়ে ফিবি অ্যাডেল গেটসের বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হয়েছে সম্প্রতি। পড়াশোনা করেছেন নিউইয়র্কের প্রফেশনাল চিলড্রেন স্কুলে। ব্যালে নাচের প্রতি বেশ আগ্রহ তার। ফলে পড়াশোনা করেছেন নিউইয়র্কের দ্য স্কুল অব আমেরিকান ব্যালেতে। এ ছাড়া পড়েছেন দ্য জুলিয়ার্ড স্কুলে। এ ছাড়া দাতব্য কাজের প্রতিও আগ্রহ রয়েছে তার। সূত্র: নিউইয়র্ক পোস্ট।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
Abu Nayim ৪ মে, ২০২১, ৪:৪০ পিএম says : 0
ইসলামিক নিয়মে তিন মাসে তিন তালাক পদ্ধতি মেনে চললে হয়তো এ বিচ্ছেদ ঠেকানো যেতো, সন্তানগুলো পেত বাবা-মায়ের ভালোবাসা, এ পরিবারের যৌথ উদ্যোগে পৃথিবীতে অনেক ভালো কাজ সংঘটিত হচ্ছে যা কিছুটা হলেও ব্যহত হবে। সর্বোপরি কোনোভাবেই যদি একত্রে থাকার মতো অবস্থা না থাকে সে ক্ষেত্রে মনে কষ্ট পুষে একত্রে থাকার চেয়ে বিচ্ছেদ শ্রেয়।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন