বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

রেমিট্যান্স আকর্ষণে আরো প্রণোদনা

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৫ মে, ২০২১, ১২:০১ এএম

 আরো বেশি করে রেমিট্যান্স আনতে চায় সরকার। প্রবাসী বাংলাদেশীরা বৈধ উপায়ে রেমিট্যান্স পাঠালে বর্তমানে দুই শতাংশ হারে আর্থিক প্রণোদনা দেয়া হচ্ছে। আগামী অর্থবছরে তা বাড়িয়ে তিন শতাংশ করা হচ্ছে। অর্থাৎ বর্তমানে কেউ ১০০ টাকা রেমিট্যান্স পাঠালে তাকে ১০২ টাকা দেওয়া হয়। আগামীতে তা এক টাকা বাড়িয়ে ১০৩ টাকা দেওয়া হবে। এরই অংশ হিসেবে আগামী অর্থবছরে রেমিট্যান্স খাতে প্রণোদনার পরিমাণ এক হাজার কোটি টাকা বৃদ্ধি করা হচ্ছে। চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরে এই খাতে প্রণোদনা রয়েছে তিন হাজার ৬০ কোটি টাকা। আগামী অর্থবছরে তা বাড়িয়ে চার হাজার কোটি টাকায় উন্নীত করা হচ্ছে। সরকার মনে করছে, এতে প্রবাসীরা আরো বেশি করে দেশে প্রণোদনা পাঠাতে উৎসাহিত হবে। আর এতে সমৃদ্ধ হবে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

উল্লেখ্য, অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল আগামী ৩ জুন জাতীয় সংসদে ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতায় প্রণোদনা বরাদ্দ বাড়ানোর ঘোষণা দেবেন বলে জানা গেছে। এ ব্যাপারে অর্থমন্ত্রণালয়ের বাজেট সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, রেমিট্যান্স বাড়ানোর জন্য সরকারের পক্ষ থেকে গত দুই অর্থবছরে এ খাতে প্রণোদনা দিয়ে আসছে। ২০১৯-২০ অর্থবছরে এ খাতে প্রণোদনা ছিল তিন হাজার কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরে এই বরাদ্দের পরিমাণ তিন হাজার ৬০ কোটি টাকা। এই অর্থ সরকারের পক্ষ থেকে ভর্তুকি হিসেবে দেয়া হচ্ছে। প্রণোদনা দেওয়ার কারণে রেমিট্যান্স খাতে অভূতপূর্ব সাড়া পাওয়া গেছে। অর্থনীতির অন্য খাতের অবস্থা কিছুটা নাজুক হলেও রেমিট্যান্স প্রবাহ আমাদের সব আশা ছাড়িয়ে যাচ্ছে। চলতি অর্থবছরে আট মাসেই বরাদ্দের সবটুকু ব্যয় হয়ে গেছে। তাই আমরা এ খাতে বরাদ্দের পরিমাণ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আগামী অর্থবছরে এ খাতে বরাদ্দের প্রস্তাব করা হবে চার হাজার কোটি টাকা।

এ প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, প্রবাসী আয় পাঠানোর নিয়াম-কানুন সহজ করা, নগদ প্রণোদনাসহ সরকারের বিভিন্ন সংস্কারমুখী পদক্ষেপ রেমিট্যান্স বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রেখেছে। তিনি বলেন, আমাদের এ অর্জন দিন দিন বেড়েই চলেছে। আমাদের প্রত্যাশা এটি আরো বাড়বে। এ বিষয়ে সরকারের প্রতি মানুষের আস্থা ফিরে এসেছে। কাউকে হয়রানি হতে হয় না, রেমিট্যান্স সময়মতো উপকারভোগীর হাতে পৌঁছে যায়। যে কারণে এটি দিন দিন বেড়েই চলেছে এবং বাড়তেই থাকবে।

এদিকে রেমিট্যান্সে বড় প্রবৃদ্ধির কারণে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভও বাড়ছে। বৈদেশিক রিজার্ভের পরিমাণ এখন ৪৫ বিলিয়ন ডলারের বেশি। যা দিয়ে আগামী ১২ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো যাবে।

পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর বলেন, আমদানি ব্যয় কমার ফলে রিজার্ভ বেড়েছে। এছাড়া গত তিন-চার মাসে প্রায় চার বিলিয়ন ডলারের মতো যে বিদেশী ঋণ-সহায়তা এসেছে সেটাও রিজার্ভ বৃদ্ধিতে অবদান রেখেছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করলে আমদানি ব্যয় বেড়ে যাবে। সে পরিস্থিতিতে যদি রেমিট্যান্স, রফতানি আয়, বিদেশী ঋণ এখনকার মতো না আসে তখন কিন্তু রিজার্ভে চাপ পড়বে।

 

 

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন