শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

চীনের উপহারের ৫ লাখ টিকা আসছে ১২ মে’র মধ্যে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

কূটনৈতিক সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৫ মে, ২০২১, ৫:৩৫ পিএম

ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং’র বরাত দিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন জানিয়েছেন, চীনের উপহারের পাঁচ লাখ ডোজ করোনা টিকা ১২ মে’র মধ্যে দেশে আসছে।

বুধবার (৫ মে) সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এ তথ্য জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন। তিনি বলেন, চীনের রাষ্ট্রদূত আমাদের বলেছেন, উপহারের পাঁচ লাখ ১২ তারিখের মধ্যে চলে আসবে।

‘বাণিজ্যিকভাবে চীন থেকে কবে নাগাদ দেশে ভ্যাকসিন আসা শুরু করবে’ সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মোমেন বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কত টাকায় চাইনিজ ভ্যাকসিন কিনবে সেটা ঠিক করার পর চীন থেকে বাণিজ্যিকভাবে টিকা আসা শুরু করবে। তবে কবে আসবে এটা সঠিক আমি বলতে পারব না। এটা একটা ইমার্জেন্সি ইস্যু।
চীন ও রাশিয়ার সঙ্গে যৌথ ভ্যাকসিন উৎপাদন প্রক্রিয়া সম্পর্কে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রাশিয়া ডকুমেন্ট পাঠিয়েছে, আমাদের রাষ্ট্রদূতের মাধ্যমে তারা তাগাদা দিচ্ছে। রাশিয়ার ডকুমেন্ট স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে আছে। গত পরশু স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলাপ হয়েছে। তিনি বলেছেন, ডকুমেন্ট একতরফা। আমি বলেছি- আপনি কী চান সেটা বলেন, তারাতো তাদের সুবিধার কথাই বলবে। আমরা রাশান এবং চায়নারটা যৌথভাবে উৎপাদন করতে চাই, তবে এটা সময় লাগবে; আজ চুক্তি হলো কাল হয়ে যাবে এমনটা না। তবে আমরা খুব দ্রæত পেতে চাই।

রাশিয়া ও চায়নার সঙ্গে যৌথ ভ্যাকসিন উৎপাদনে বাংলাদেশের ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিগুলো সক্ষমতার মাধ্যমে দেশেই মিলিয়ন ডোজ ভ্যাকসিন উৎপাদন সম্ভব বলেও জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

ভ্যাকসিন ক‚টনীতিতে ভারত থেকে বাংলাদেশ সরে যাচ্ছে কি না জানতে চাইলে মোমেন বলেন, আমরা ভারত থেকে সরে যাইনি। ভারত কখনও বলে নাই দিতে পারবে না, কিন্তু দিচ্ছে না। সবসময় বলে আমরা দিচ্ছি, কিন্তু দিতে পারছে না। কখন দেবে সেটাও বলেনি। আমরা ভারতকে লিখেছি, তিন মিলিয়ন জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজন, এটা আগে দাও, বাকিগুলা আস্তে আস্তে দাও। এটার কোনো উত্তর দেয়নি। আমরা যেখান থেকে আগে পাব আনব, আমরা ওপেন।

বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হচ্ছে অক্সফোর্ড–অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন। এটি বিভিন্ন উৎস থেকে সরকার আনার চেষ্টা করছে জানিয়ে মোমেন বলেন, অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা আনার চেষ্টা আমরা এখনও করছি। তবে আপডেট পাইনি। আমাদের বিভিন্ন লোকে বিভিন্ন প্রস্তাব দিয়েছে। একটা প্রস্তাব বলেছেন, ইউরোপিয়ান দেশগুলোর কাছে কিছু কিছু অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা আছে, তারা ব্যবহার করছে না। সাতটার মতো দেশে আমরা যোগাযোগ করেছি, কিন্তু ওইসব টিকার মোট পরিমাণ কম। কোনো দেশে বিশ হাজার, একটা দেশে দুই লাখ; আমাদেরতো দিনেই দুই লাখ লাগে। ওটার সম্ভাবনা ক্ষীণ।

দেশের মানুষকে ভ্যাকসিন নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রী হাজার হাজার কোটি টাকা প্রস্তুত করে রেখেছেন বলেও জানান মোমেন। এর আগে সোমবার (৩ মে) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছিলেন, উপহার হিসেবে চীনের দেওয়া ৫ লাখ ডোজ করোনাভাইরাসের টিকা ১০ মের মধ্যে বাংলাদেশে পৌঁছাতে পারে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন