করোনাভাইরাস মহামারি ও লিবিয়ার চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে দেশটিতে আটকে পড়া ১৬০ বাংলাদেশি দেশে ফিরেছেন। আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) সহযোগিতায় তাদের দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। গতকাল বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আইওএম-এর চার্টার্ডকৃত বুরাক এয়ারের একটি ফ্লাইট বাংলাদেশিদের নিয়ে গত মঙ্গলবার লিবিয়ার বেনগাজী বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে। ফ্লাইটটি গতকাল বুধবার সকালে হযরত শাহজালাল (রা.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছেছে। একই ফ্লাইটে লিবিয়ায় মৃত্যুবরণকারী একজন বাংলাদেশি নাগরিকের লাশও দেশে ফেরত আনা হয়েছে।
লিবিয়ার দীর্ঘদিনের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও করোনা পরিস্থিতিতে দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর বেনগাজীসহ পূর্বাঞ্চলীয় শহরগুলোতে ওই ১৬০ বাংলাদেশি আটকে পড়েছিলেন। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, দেশে পৌঁছার পর বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে বিমানবন্দরে তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষাসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করা হয়েছে। দেশে ফিরে আসা অভিবাসীরা সকলেই স্বেচ্ছায় এসেছেন। তাদের মধ্যে ৯ জন অসুস্থ এবং ৭ জন হেপাটাইটিস বি-তে আক্রান্ত হওয়ায় লিবিয়ার সফর জেলে আটক ছিলেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, ফিরে আসাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক দীর্ঘ সাত থেকে ৮ বছর লিবিয়ায় কর্মরত ছিলেন। দেশটির চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, পর্যাপ্ত কাজের সুযোগ-সুবিধার অভাব এবং দিনারের অবমূল্যায়নসহ বর্তমান আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতির কারণে তারা দীর্ঘদিন ধরে দেশে ফেরত আসার অপেক্ষায় ছিলেন। কিন্তু লিবিয়া থেকে কোনো আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালু না থাকায় তারা দেশে ফিরতে পারছিলেন না। এই অবস্থায় বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে আইওএম’র সহায়তায় লিবিয়ায় আটকে পড়া বাংলাদেশিদের পর্যায়ক্রমে দেশে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, কোভিড-১৯ পরবর্তী পরিস্থিতিতে লিবিয়ায় আটকে পড়া অভিবাসীদের আইওএম’র সহায়তায় দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য পরিচালিত এটি নবম ফ্লাইট। এসকল ফ্লাইটে এখন পর্যন্ত মোট ১ হাজার ৩৭৯ জন অভিবাসীকে লিবিয়া থেকে দেশে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন