ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে অনিয়ম ঠেকাতে এক ব্যতিক্রমী উদ্যোগে অসহায়রা পাচ্ছেন ভিজিএফের টাকা। প্রতিবছর ঈদ উপলক্ষে ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় চাল বিতরণ করা হতো। কিন্তু এবারের ঈদে চালের পরিবর্তে অসহায় মানুষের মাঝে নগদ ৪৫০ টাকা করে বিতরণ শুরু হয়েছে।
কিন্তু তালিকা প্রস্তুতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিয়েছেন এক ব্যতিক্রমী উদ্যোগ। যে উদ্যোগে স্বচ্ছ উপকার ভোগীদের হাতে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে টাকা। ঈদের আগ মুহূর্তে চাল গ্রহণ করতে গিয়ে নানা ঝুঁকির মধ্যে পড়তে হতো উপকার ভোগীদের। তালিকা প্রস্তুতে ও বিতরণে নানা জটিলতা দেখা দেয় প্রতিবছর। চালের বদলে নগদ টাকা বিতরণেও সেই ধরণের জটিলতা হতে পারে এমন শঙ্কা থেকে প্রযুক্তির সহায়তা নেয় ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার।
জানা যায়, উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন ও একটি পৌর সভায় মোট ৭৩ হাজার ৫৮৮ জন দুস্থ বাছাই করা হয়। ইউনিয়ন কমিটির মাধ্যমে দুস্থদের তালিকা প্রস্তুত করে তা সংরক্ষণের একটি সফটওয়্যার তৈরি করে উপজেলা প্রশাসন। সুষ্ঠু ভাবে সরকারি সহায়তা বিতরণের লক্ষ্যে ‘মানবিক সহায়তা কর্মসূচি ঈশ্বরগঞ্জ’ নামে একটি সফটওয়্যার তৈরি করা হয়েছে। এতে মোবাইল নাম্বার ও এনআইডি সহ নাগরিকদের সকল তথ্য সংরক্ষণ করা হয়েছে। ভিজিএফ নীতিমালার শর্ত অনুযায়ী কমপক্ষে ৭০ শতাংশ নারী উপকারভোগী নির্বাচন করা হয়েছে। সফটওয়্যারের মধ্যমে তালিকা প্রস্তুত করায় একই ব্যক্তি একাধীকবার তালিকাভুক্ত হওয়ার সুযোগ পায়নি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ভিজিএফ প্রাপ্যতা রয়েছে এমন সকল পরিবার থেকে কমপক্ষে একজনকে তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। উপকারভোগীগণ পূর্ব থেকে মাষ্টাররোলে তাঁর ক্রমিং নাম্বার জানা থাকায় বিতরণও খুব সহজভাবে করা যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত উপজেলার সোহাগী, সরিষা, আঠারবাড়ী ও মাইজবাগ ইউনিয়নে বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়। গ্রাম ভিত্তিক উপকার ভোগীরা এসে জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি নিয়ে নিজের ক্রমিক নাম্বার সংগ্রহ করে সহজেই টাকা সংগ্রহ করে নিচ্ছেন।
ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জাকির হোসেন বলেন, অনিয়ম ঠেকাতে উকার ভোগীদের তথ্য সংগ্রহ করে একটি সফটওয়্যার তৈরি করা হয়। প্রকৃত উপকার ভোগীদের মাঝে ঈদ উপলক্ষে সরকারের বিশেষ উপহার বিতরণ করা হচ্ছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন