ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে উপজেলা আওয়ামীলীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল মতিন বাদী হয়ে একটি মাদ্রাসার শিক্ষক ছাত্রসহ ১০জনকে আসামী করে সন্ত্রাস দমন আইনে মামলা করেছে। বুধবার দুপুরে ওই মামলাটি নথিভুক্ত করা হয়। মামলার বাদী উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতির ভাই।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার সদর ইউনিয়নে অবস্থিত জামিয়া গাফুরিয়া দারুসসুন্নাহ ইসলামপুর মাদ্রাসার শিক্ষক মুফতি কাওসার হাসান (৪২) ঈশ্বরগঞ্জ পৌর বাজার চালমোহাল জামে মসজিদের খতিব। গত ৫মার্চ শুক্রবার ওই মসজিদে জুম্মার নামাজের খুদবার পূর্বে বয়ানে বলেন “রাষ্ট্রপতি সেনাপ্রধানের ভাইয়ের মৃত্যুদন্ড মওকুফ কারিয়া দিয়েছে। অথচ অভিজিৎ হত্যার আসামীদের ফাঁসি দেওয়ার চেষ্টা করছে। আমরা এই জালিম শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করব আপনারা এতে রাজী আছেন তো?”
এমন বক্তব্যের বিষয়ে পরদিন ওই মাদ্রাসার সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রফিকুল ইসলাম বুলবুল ওই শিক্ষক কাওসার হাসানের কাছে মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন “আমি যা বলেছি ঠিক বলেছি। এবিষয়ে তাকে জ্ঞান না দিতে বলেন।”
পরে ওই শিক্ষক বিষয়টি মাদ্রাসায় গিয়ে ছাত্র শিক্ষকদের কাছে জানান এবং মাদ্রাসা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতির মোবাইল ফোনে ধারণ করা কথোপকথন রেকর্ডটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করে দেন, পরে বিষয়টি নিয়ে ছাত্র শিক্ষকদের মাঝে উত্তেজনার সৃষ্টি হয় এসময় মাদ্রাসা কমিটির সাধারণ সম্পাদকের পদত্যাগ দাবি করেন।
এমন পরিস্থিতিতে বিষয়টি নিয়ে উপজেলা প্রশাসন সমযোতার চেষ্টা করে কমিটির মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেন। বর্তমানে মাদ্রাসাটি বন্ধ রয়েছে বলে নিশ্চিত করেন মাদ্রাসার মোহতামিম মাওলানা নূরুল আলম।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল কাদের মিয়া বলেন, বিষয়টি নিয়ে বুধবার মামলা হয়েছে আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন