করোনা সংক্রমণ রুখতে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী লকডাউন চলবে আগামী ১৬ মে পর্যন্ত। শিল্প কারখানাগুলোতে ঈদের ছুটি কমিয়ে ৩দিন করার সিদ্ধান্তও নেয়া হয়েছে।
শিল্পাঞ্চল খ্যাত গাজীপুরে সময়ের ঈদকে সামনে রেখে ব্যস্ত প্রশাসন। পোশাক কারখানা পরিদর্শনের পাশাপাশি মহাসড়কে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এছাড়া, নিজ নিজ এলাকায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ক্ষেত্রেও কাজ করছে সিটি কর্পোরেশন। রাজধানীর কাছের জেলা গাজীপুরে প্রায় ২৫ লাখ পোশাক শ্রমিকের বসবাস। তারা বছরজুড়ে অপেক্ষায় থাকেন ঈদের ছুটির জন্য।
গত বছরের মতো এবারও করোনার কারণে ছুটিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সরকার। সংক্রমণ রোধে কঠোর বিধিনিষেধের পাশাপাশি বন্ধ দূরপাল্লার যানবাহন। শুধু জেলার ভেতরে গণপরিবহণ চলবে। তাই বাড়ি ফেরার আশা এবার ফিকে হয়ে গেছে শ্রমজীবী এসব মানুষের।
শিল্পখাতকে সুরক্ষিত রাখতে সরকারের দেয়া ৩দিন ছুটির নির্দেশনাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন গার্মেন্টস মালিকপক্ষ।
গার্মেন্টস মালিক ও বিজিএমইএ সদস্য সালাউদ্দিন চৌধুরী বলেন, অধিকাংশ মালিকরাই এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। সবাই এই মহামারি নিয়ে সতর্ক আছে কেউই চায় না এই খাতের কোন বদনাম হোক। আমরা চাচ্ছি আমাদের শ্রমিকরা বাড়ি না গিয়ে আশে পাশেই থাকুক।
ঈদের সময় প্রায় ৫শ' কমিউনিটি পুলিশ নিয়ে জেলা পুলিশ মহানগরের ৫টি পয়েন্টে গাড়ি চলাচল নিয়ন্ত্রণে কাজ করবেন।
গাজীপুর জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) গোলাম রব্বানী শেখ বলেন, প্রতিটি পয়েন্ট আমাদের পুলিশ সদস্যরা নজরদারিতে রাখবে। ঈদের আগে এবং পরে প্রায় এক সপ্তাহ এই অবস্থান থাকবে।
ঈদকে সামনে রেখে গার্মেন্টস পরিদর্শনের পাশাপাশি বেতন নিয়ে যেনো কোনো ঝামেলা তৈরি না হয় সেদিকে খেয়াল রাখছে শিল্প পুলিশ। ইন্ডাস্ট্রিয়াল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুশান্ত সরকার বলেন, আমরা প্রতিনিয়ত কারখানাগুলোতে যাচ্ছি, সেখানকার ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে কথা বলছি। যাতে করে বেতন নিয়ে শ্রমিকদের কোন অসন্তোষ না দেখা দেয়।
সিটি কর্পোরেশন এলাকায় সাধারণ মানুষকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়ে উদ্বুদ্ধ করতে ৭৬ জন কাউন্সিলর দিয়ে ৭৬টি টিম গঠন করা হয়েছে।
গাজীপুর সিটি করপোরেশন মেয়র অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম বলেন, সাধারণ জনগণ যাতে ঈদের এই তিনদিন ধৈর্য ধরে নিজ অবস্থানে বাসা বাড়িতে থাকে সেজন্য আমরা সতর্ক রয়েছি। এছাড়া মার্কেটে এবং নিজস্ব কাজে বের হলে যাতে করে সবাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলেন।
এবার গাড়ি ভাড়া করে একসাথে বাড়ির উদ্দেশ্যে যাত্রা করার নিষেধাজ্ঞা জেলা প্রশাসকের। জেলা প্রশাসক এসএম তরিকুল ইসলাম বলেন, কেউ যেন ভাড়া বাস রিজার্ভ করে বাড়িতে না ফিরতে পারে সেটি আমরা নিশ্চিত করবো। এছাড়া এক জেলার বাস যাতে অন্য জেলায় না যেতে পারে সেজন্য প্রবেশ এবং বের হওয়ার পথগুলোতে আমরা কড়া পাহারা রাখবো। ঈদযাত্রা যেনো কোনো মৃত্যু দূত না হয় অনুরোধ জেলার প্রশাসন ব্যবস্থার।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন