চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির হেঁয়াকোতে পাহাড় কাটার উৎসব চলছে। বিলীন হতে চলেছে প্রকতির লীলাভূমি। কিন্তু সম্পূর্ণ নির্লিপ্ততা আছে বন বিভাগ ও পরিবেশ অধিদপ্তর এবং উপজেলা প্রশাসন।
গোপন সূত্রে জানা যায়, ফটিকছড়ির দাঁতমারা ইউপির হেঁয়াকো বাজারের পূর্ব পার্শ্বে অবস্থিত অলিপুর গ্রামের বাসিন্দা জনৈক আবছার মেম্বারের বাড়ী সংলগ্ন এলাকা থেকে একটি চিহ্নিত গোষ্টি প্রকাশ্য দিবালোকে স্কেভেটর লাগিয়ে পাহাড় কেটে ২০/২৫টি ড্রামট্রাক যোগে প্রতিদিন ১৫০/২০০ গাড়ী মাটি পাচার করছে এবং এ পর্যন্ত প্রায় ৫ হাজার গাড়ী মাটি পাচার করা হয়েছে বলে সূত্রটি নিশ্চিত করেছে। রিজার্ভ ফরেস্ট থেকে দু’সপ্তাহ ধরে এ পাহাড় কাটা চললেও স্থানীয় বন বিভাগ ও চট্টগ্রামের পরিবেশ অধিদপ্তর এবং ফটিকছড়ি উপজেলা প্রশাসন; কেউ-ই তা জানে না! এ ব্যাপারে বন বিভাগের করেরহাট রেঞ্জ অফিসার জসিম এলাহী বলেন, আমি নতুন এসেছি। পাহাড় কাটার বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে আমি হেঁয়াকো বিন বিট অফিসারকে নির্দেশনা দিচ্ছি। চট্টগ্রাম পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আফজারুল ইসলাম বলেন, এ ধরণের অভিযোগ আমাদের কাছে আসেনি। লকডাউনের কারণে অফিসও বন্ধ। তারপরও গুরুত্ব বিবেচনায় জরুরী ভিত্তিতে আমাদের অভিযান হতে পারে।
ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ সায়েদুল আরেফিন বলেন, বিষয়টি আমার নজরে আসেনি; আপনার কাছ থেকেই খবর পেলাম। তথ্য যাচাই করে ব্যবস্থা নেব।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন