শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি আসামি নজরুলের

হজে পাঠানোর কথা বলে টাকা আত্মসাৎ

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৯ মে, ২০২১, ১২:০১ এএম

সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে পাঠানোর প্রলোভন দেখিয়ে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে গ্রেফতারকৃত আসামি মো. নজরুল ইসলাম আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতিকুল ইসলামের আদালত তার জবানবন্দি গ্রহণ করেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। গতকাল শনিবার শাহবাগ থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা পুলিশের উপপরিদর্শক নিজাম উদ্দিন এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, শাহবাগ থানা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় দুই দিনের রিমান্ড চলাকালে তাকে আদালতে হাজির করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। একইসঙ্গে আসামি নজরুল ইসলাম স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ড করার আবেদন করা হয়। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

উল্লেখ্য, ডিবি-সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের অর্গানাইজড ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিম শাহবাগ থানার একটি মামলার তদন্ত করতে গিয়ে প্রতারক চক্রের মূলহোতা মো. নজরুল ইসলামকে খুলনা থেকে গ্রেফতার করে। এ সময় তার কাছ থেকে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত দুটি মোবাইল ফোন, তিনটি সিম কার্ড ও নগদ ৫ হাজার ৫০০ টাকা জব্দ করা হয়। পরে গত বুধবার ৫ মে দুপুরে ডিবি কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ঢাকা মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার।

তিনি বলেন, গত ২৬ এপ্রিল মফিজুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তিকে ফোন দিয়ে প্রতারক চক্রের সদস্য এক সংসদ সদস্যের ব্যক্তিগত সহকারী পরিচয় দিয়ে বলে, সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ করার ব্যবস্থা করে দেবে। নিবন্ধন বাবদ সাড়ে সাত হাজার টাকা লাগবে। অন্যথায় হজ করা হবে না। এ বিষয়ে চাটখিল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়। তিনি বলেন, একই ধরনের ঘটনা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ঘটতে থাকলে ভুক্তভোগীরা ধর্ম মন্ত্রণালয়ের কল সেন্টারে ফোন দিয়ে জানান। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মুহা. ইয়াকুব আলী জুলমাতি বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন। প্রাথমিক তদন্তে চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন কৌশলে সাধারণ মানুষকে প্রতারিত করে টাকা হাতিয়ে নেয়ার প্রমাণ পাওয়া যায়। এ প্রতারণার কাজে তারা ভুয়া নিবন্ধিত ২০-২৫টি সিম ব্যবহার করতো যাতে তাদের শনাক্ত করা সম্ভব না হয়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন