ভারতকে মৃত্যুপুরী বানানো করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট অবশেষে বাংলাদেশেও শনাক্ত হওয়ায় গভীর উদ্বেগ দেখা দিয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এ নিয়ে অনেকেই ফেসবুকে উৎকণ্ঠা প্রকাশ করে স্ট্যাটাস দিয়েছেন। করোনার প্রাণঘাতি এই ধরণ থেকে বাঁচতে সকলকে সচেতনতা অবলম্বন ও সরকারকে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি প্রয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন নেটিজেনরা।
শনিবার স্বাস্থ্য অধিদফতর জানিয়েছে, ভারত থেকে আসা দুই ব্যক্তির শরীরে এই ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গেছে। আরও চারজনের শরীরে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টের খুব কাছাকাছি ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গেছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম গণমাধ্যমকে জানান, দেশে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গেছে। এ ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত রোগীরা ভারত থেকে ফিরেছেন। তারা চিকিৎসার জন্য ভারতে গিয়েছিলেন এবং বর্তমানে যশোরে অবস্থান করছেন।
বিশ্বের অন্তত ১৭টি দেশে করোনাভাইরাসের ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট বা ধরণ পাওয়া গেছে।
দেশে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হওয়ায় উদ্বেগ জানিয়ে ফেসবুকে আনোওয়ার পারভেজ লিখেছেন, ‘‘যারা বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে প্রবেশ করেছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানাচ্ছি। অষ্ট্রেলিয়া সরকার ঘোষণা করেছে যদি ভারত থেকে কোন লোক অষ্টেলিয়া প্রবেশ করে তার পাঁচ বছর জেল হবে। আমাদের দেশেও এধরণের শাস্তিমূলক ব্যাবস্থা গ্ৰহন করা উচিত।’’
শাকিল আহমেদ সুমনের দাবি, ‘‘ভারতীয় ধরন পাওয়া যাবেনা তো কি!! সীমান্ত দিয়ে অহরহ যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু রয়েছে । ভারতের গাড়ির ড্রাইভার, চালক বাংলাদেশে ঢুকে অবাধে ঘুরাঘুরি করে। ভারতের সাথে সবধরণের যোগাযোগ বন্ধ করা হউক।’’
চলমান ব্যর্থ লকডাউন প্রসঙ্গে মোঃ আলিফ হোসেন লিখেছেন, ‘‘আমার কথা হলো বাছুর ছেড়ে দিয়ে বলবে তুমি তোমার মায়ের কাছে গিয়ে দুধ খেয়েনা তাহলে কি বাছুর শুনবে? তদ্রুপ মার্কেট গণপরিবন খোলা রেখে মানুষকে ঘরে থাকতে বললে কয়জন মানুষ শুনবে? আর দেশে কয়জন মানুষ বা সচেতনতা অবলম্বন করে। বেশিরভাগ মানুষ তো গতানুগতিক চিন্তায় চলে। আর তাছাড়া সবকিছু খোলা রাখা মানেই তো মৌন ভাবে আহবান করা মানুষকে।’’
ফকির গরিবুল্লাহ লিখেছেন, ‘‘জনগণকে ভয় দেখিয়ে কি লাভ!! !!সবাই বলেছিল ভারতের সাথে সীমান্ত যোগাযোগ কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য। আফসোস তখন নিয়ন্ত্রণ করা হয়নি। এখন ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ভর্তা বানিয়ে খেয়ে ফেলুন।’’
এ.আর. মোহাম্মদ. মজনুর মন্তব্য, ‘‘দেশটারে খাইলে ভারতেই খাবে। কারন ভারতে এই মহামারির মাঝেও সীমান্ত দিয়ে হাজার হাজার ট্রাক বাংলাদেশে ঢুকতেছে। বিধিনিষেধ কি সেখানে নেই।আর দেশে চলছে লকডাউনের নামে তামাশা।’’
আব্দুল্লাহ আল জাবের লিখেছেন, ‘‘কথা হচ্ছে এরা কত জনকে ছড়াতে ছড়াতে এসেছে, কোথায় টেষ্ট করাতে গেছে সেখানে কত জনকে আপন করে নিছে এর শুমারী কি আছে? এদেশের মানুষ আজো মাস্ক ছাড়া চলে নামাজে, শপিং এ বাজারে, সহ সব জায়গায় যায় আর আরাম করে হাচি কাশি দেয়।’’
রফিকুল ইসলাম পাখির দাবি, ‘‘কঠোরভাবে লকডাউন দেয়া দরকার। প্রয়োজনে সেনাবাহিনী নামিয়ে দেয়া দরকার। জীবিকা,সাধারণ প্রয়োজনের চাইতে জীবনের দাম অনেক বেশি।’’
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন