শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

আবারো ২ লাখ খামারির জন্য প্রণোদনা

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১০ মে, ২০২১, ১২:০১ এএম

গত বছর করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্য ও প্রাণিসম্পদের খামারিরা অনেকই টাকা পাননি। এবার আবারো মৎস্য ও প্রাণিসম্পদের দুই লাখ খামারিকে প্রায় ২৯২ কোটি টাকা প্রণোদনা দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। ইত্যোমধ্যে মন্ত্রণালয়ের দুটি প্রকল্প থেকে প্রায় চার লাখ ক্ষতিগ্রস্ত খামারিকে প্রায় ৫৫৪ কোটি টাকা নগদ আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে।

গতকাল রোববার সচিবালয়ে মন্ত্রীর নিজ দপ্তরে করোনা সংকটে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় গৃহীত কার্যক্রম ও সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন। শ ম রেজাউল করিম বলেন, করোনা মহামারির দ্বিতীয় ঢেউয়ে সরকার ঘোষিত চলমান বিধি-নিষেধের মধ্যে সাধারণ জনগণের জন্য মাছ, মাংস, দুধ, ডিম শরীরের পুষ্টি ও আমিষের প্রয়োজন। সেজন্য আমরা গতবছর ভ্রাম্যমাণভাবে এসব পণ্য বিক্রির ব্যবস্থা করেছিলাম। প্রসাশনের সঙ্গে আলোচনা করে ভ্রাম্যমাণভাবে বিক্রির ব্যবস্থা করেছিলাম। গত বছর ৯ হাজার ২০০ কোটি টাকার পণ্য ভ্রাম্যমাণভাবে বিক্রি করতে পেরেছি।

তিনি বলেন, মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দপ্তর-সংস্থার কার্যক্রম বিশেষ করে স¤প্রসারণ, কৃত্রিম প্রজনন, টিকাদান, চিকিৎসা, পরামর্শসেবা দেওয়া এবং সরকারি খামারে রেণু-পোনা উৎপাদন ও সরবরাহ, হাঁস-মুরগি ও গবাদিপশুর বাচ্চা উৎপাদন ও বণ্টন অব্যাহত রাখা হয়েছে। জরুরি সেবা নিশ্চিত করতে কন্ট্রোল রুম চালু করা হয়েছে। মন্ত্রণালয় থেকে সব কার্যক্রম মনিটর করা হচ্ছে এবং উদ্ভুত সমস্যা সমাধান করা হচ্ছে। এছাড়া অনলাইন-এসএমএস সার্ভিসের মাধ্যমে খামারিকে সেবা দেওয়া এবং অনলাইনে আমদানি-রপ্তানির জন্য এনওসি এর আবেদন গ্রহণ ও অনুমোদন করে ওয়েবসাইটে দেওয়া হচ্ছে।

মন্ত্রী বলেন, প্রাণিজ পণ্য আমদানি-রপ্তানি সচল রাখার জন্য এ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সব ল্যাব চালু রাখাসহ সব প্রকার পরীক্ষা ও পরিদর্শন কার্যক্রম চালু রাখা হয়েছে। বাজার দর স্থিতিশীল রাখা এবং সাপ্লাই চেইন ঠিক রাখার জন্য বিশেষ কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ণ করে খামারিদের সরাসরি বাজার ব্যবস্থার সঙ্গে সংযুক্ত করা হয়েছে।
মন্ত্রণালয় গত ৫ এপ্রিল থেকে মাছ, মাংস, দুধ, ডিম এবং এগুলোর উৎপাদন সামগ্রীর সাপ্লাই চেইন নিরবচ্ছিন্ন রাখার জন্য সমন্বয়ক হিসেবে কাজ শুরু করেছে। খামারি এবং উৎপাদকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের উৎপাদিত পণ্য ন্যায্যমূল্যে বাজারজাত করার নিশ্চয়তা দিয়ে অব্যাহত উৎপাদনে আস্থাশীল করা হয়েছে। তবে গত বছর খামারির জন্য প্রণোদনা যে পরিমান টাকা দেয়া হয়েছিল। তা অনেক জেলা উপজেলায় পায়নি বলে জানা গেছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন