শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

৫ কিমি হেঁটে পদ্মার চরেই সন্তান জন্ম

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১০ মে, ২০২১, ১০:১৮ এএম

অন্তঃসত্ত্বা সুরমা যেন প্রতিজ্ঞাই করেন স্বামীকে নিয়ে মায়ের বাড়ীতে ঈদ করতেই কবে। তাই অসুস্থা শরির নিয়েই  দেন রওয়ানা। তারপর যা ঘটল তা বিস্ময়কর ঘটনাই বটে। এমনটাও ঘটে! দূর পাল্লার গাড়ি বন্ধ তবুও যে যার মতো প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদ উদযাপনে লক্ষ্যে ছুটছেন গ্রামের উদ্দেশে বা ঢাকার বাইরে। যাই ঘটুক না কেন করোনাকে উপেক্ষা করে মানুষ বাড়ি যাবার লড়াইয়ে হাল ছাড়ছেন না।

তাদেরই একজন সুরমা আক্তার। স্বামী মো. নাহিদ মিয়ার সঙ্গে ঢাকার লালবাগে তার বসবাস। অন্তঃসত্ত্বা সুরমা ঈদের আগে রওনা হয়েছিলেন মায়ের বাড়ি বরগুনার আমতলীর পথে। দূরপাল্লার গণপরিবহন বন্ধ, পদ্মা পাড়ি দেওয়ার নৌযানও চলে না। অতি কষ্টে একটি ট্রলারে করে এসে নামেন জাজিরার পদ্মা নদীর চরে। সেখান থেকে পাঁচ কিলোমিটার হাঁটার পর প্রসববেদনা ওঠে তার।

তখন চরের একটি বাড়িতে নেয়া হয় সুরমাকে। সেখানেই বিকেল পাঁচটার দিকে কন্যাসন্তান জন্ম দেন তিনি। আনন্দে মেতে ওঠেন ওই নারীর স্বজন ও মাঝিকান্দি গ্রামের মানুষ।

যদিও সুরমা আক্তার প্রসববেদনার পর শারীরিক অবস্থা কিছুটা নাজুক হয়। তখন চর থেকে রাজ্জাক মাঝি নামের এক ব্যক্তি ফোন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশ্রাফুজ্জামান ভূঁইয়া ও উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসানকে। তারা দ্রুত স্বাস্থ্যকর্মীদের পাঠিয়ে নৌ অ্যাম্বুলেন্সে করে ওই প্রসূতি ও নবজাতককে শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনেন।

জানা গেছে, এদিন সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে তাদের সেখানে ভর্তি করা হয়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মা ও সন্তান দুজনই সুস্থ আছেন। এ সময় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের উপহারসামগ্রী প্রদান করা হয়। আর এ আনন্দে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে উপস্থিত সবার মধ্যে মিষ্টিও বিতরণ করা হয়। শিশুটির নাম রাখা হয় ‘পদ্মা’।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন