শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

জ্বালানি পাইপলাইনে সাইবার হামলা জরুরি আইন জারি যুক্তরাষ্ট্রে

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১১ মে, ২০২১, ১২:০২ এএম

রোববার যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে দীর্ঘতম জ্বালানি পাইপলাইনের ব্যবস্থাপনা নেটওয়ার্কে ভয়াবহ সাইবার হামলায় তেল সরবরাহ সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গেছে। যার ফলে জরুরি আইন জারি করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সাড়ে পাঁচ হাজার মাইল দীর্ঘ এই পাইপলাইনের মাধ্যমে প্রতিদিন ২৫ লাখ ব্যারেল ডিজেল, গ্যাসোলিন ও জেট ফুয়েল পরিবহন হয়, যা দেশটির পূর্ব উপকূলে সরবরাহকৃত জ্বালানির প্রায় ৪৫ ভাগ। বিবিসির খবর অনুসারে, গত শুক্রবার একটি সাইবার ক্রিমিনাল গ্যাংয়ের হামলায় পাইপলাইনটি সম্পূর্ণ অফলাইনে চলে যায়। সেটি এখনো পুরোপুরি চালু করা সম্ভব হয়নি। জরুরি অবস্থা জারির ফলে এখন পাইপলাইনের বদলে সড়কপথে তেল পরিবহন করা হবে। এদিকে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের বৃহত্তম তেল পাইপলাইন বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে সোমবার তেলের দাম দুই থেকে তিন শতাংশ বেড়ে যেতে পারে। তবে পরিস্থিতি দীর্ঘস্থায়ী হলে অবস্থা আরও খারাপ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বিভিন্ন সূত্রে নিশ্চিত হয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ‘ডার্ক সাইড’ নামের একটি সাইবার-অপরাধ চক্র গত বৃহস্পতিবার ‘কলোনিয়াল পাইপলাইন’-এর নেটওয়ার্কে ঢুকে অন্তত ১০০ গিগাবাইট ডাটা হাতিয়ে নিয়েছে। চক্রটি অর্থের বিনিময়ে এগুলো হস্তান্তর করতে চেয়েছে, নয়তো এগুলো তারা ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে। কলোনিয়াল কর্তৃপক্ষ বলছে, সরবরাহ সেবা স্বাভাবিক করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ এবং জ্বালানি বিভাগের সঙ্গে কাজ করছে তারা। ম্যাসাচুসেটস, কানেটিকাট, নিউইয়র্ক, নর্থ ও সাউথ ক্যারোলাইনা, ফ্লোরিডাসহ ১৪টি অঙ্গরাজ্যের ৪৫ শতাংশ জ্বালানি সরবরাহ ‘কলোনিয়াল পাইপলাইন’-এর মাধ্যমে হয়ে থাকে। অঙ্গরাজ্যগুলোতে দৈনিক ২৫ লাখ ব্যারেল ডিজেল, গ্যাসোলিন বা জেট ফুয়েল সরবরাহ করা হয় সাড়ে পাঁচ হাজার মাইল দীর্ঘ এই পাইপলাইনের মাধ্যমে। সাইবার হামলার ফলে শুক্রবার থেকে এটি বন্ধ রয়েছে। এখনও ঠিক করার কাজ চলছে। জরুরি আইন জারির পর এখন সড়কপথে জ্বালানি পরিবহণ করা যাবে। বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, সোমবার থেকে যুক্তরাষ্ট্রে তেলের দাম ২-৩ শতাংশ বেড়ে যাবে। তবে পাইপলাইন চালু করতে আরও সময় লাগলে তার খেসারতের পরিমাণ আরও ব্যাপক হবে। তেল বাজার বিশ্লেষক গৌরব শর্মা বিবিসিকে বলেছেন, ‘বিপুল জ্বালানি তেল টেক্সাসের শোধনাগারগুলোতে আটকা পড়েছে। জরুরি অবস্থা জারির ফলে এগুলো নিউইয়র্কে নেওয়া যাবে। কিন্তু তা কোনোভাবেই পাইপলাইনের সক্ষমতার সমতুল্য নয়।’ এদিকে, সর্বশেষ রোববার সন্ধ্যায় কলোনিয়াল কর্তৃপক্ষ বলেছে, মূল চারটি লাইন এখনও বন্ধ রয়েছে। তবে টার্মিনাল ও ডেলিভারি পয়েন্টগুলোর মধ্যকার ছোটখাট কিছু লাইন চালু করা গেছে। লন্ডনভিত্তিক সাইবার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান ডিজিটাল শ্যাডো হামলাকারীদের প্রসঙ্গে বিবিসিকে জানিয়েছে, ডার্ক সাইড একটি ব্যবসার অন্তরালে তাদের কার্যক্রম চালায়। এরা ডাটা চুরি ও এনক্রিপ্ট করতে সফটওয়্যার তৈরি করে এবং দ্বিতীয় পক্ষকে প্রশিক্ষণ দেয় যে, কীভাবে হামলা চালাতে হবে। বিবিসি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন