বর্তমানে আমরা দিনগুলো পার করছি এক অজানা আতঙ্কে, অদৃশ্য শত্রু সংক্রমণের ভীতিকর পরিস্থিতিতে। এই মহাদুর্যোগে জীবাণুমুক্ত একমুঠো বিশুদ্ধ আর একটু জীবাণুমুক্ত বাতাস বর্তমান সময়ের সবচেয়ে বড় দাবী।
করোনা মহামারির দিনগুলো আমরা পার করছি অদৃশ্য জীবাণুর সংক্রমণের আতঙ্কে। কারন, আমরাই তো এই ঘাতক জীবাণু কোভিড ১৯-এর বাহক। মানুষের হাঁচি, কাশি, স্পর্শ এমনকি নিশ্বাস থেকেই ছড়ায় এই জীবাণু। অদৃশ্য এই জীবাণু বেঁচে থাকতে পারে আমাদের দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহৃত যেকোনো উপকরণে; যেমন ধাতব, কাঠ কিংবা প্লাস্টিকের সামগ্রী, পোশাক ইত্যাদি। বর্তমানে পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। হু হু করে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা; আবারও স্থবির হয়ে পড়ছে আমাদের পৃথিবী এবং প্রতিনিয়ত আমরা হারাচ্ছি আমাদের আপনজন।
তবে যেকোনো মূল্যেই আমাদের ফিরতে হবে স্বাভাবিক জীবনে। মানুষকে যেতে হবে স্কুলে, কর্মস্থলে, দোকানে কিংবা ব্যাংকে। অথচ ঘর থেকে শুরু করে দোকানপাট, ব্যাংক, হাসপাতাল, সরকারি-বেসরকারি কার্যালয়, ডাক্তারের চেম্বার কোথাও আর আজ নিরাপদ নয়। মানুষ বিশ্বজুড়েই খুঁজছে প্রতিকার। হন্যে হয়ে খুঁজছে এই অতি সংক্রামক ও জীবননাশী করোনার জীবাণু ধ্বংস করার উপায়।
আপনি হয়তো করোনাভাইরাস বহন করছেন না। কিন্তু আপনার কাছে যারা নিত্যপ্রয়োজনে আসছেন, তাদের মধ্যে যে কেউ করোনাভাইরাস বহন করে নিয়ে আসতে পারে। সেটা প্রতিরোধের উপায় কি? সেই চিন্তা থেকে দক্ষিন কোরিয়া ও স্পেনের যৌথ উদ্যোগে স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান ওয়েলিস তৈরি করেছে এমন একটি ডিভাইস যা প্রাণঘাতি ভাইরাস করোনাসহ বিভিন্ন ভাইরাসকে নিমিষেই মেরে ফেলতে সক্ষম।
এটা শুধু বাতাস নয়, বস্তুপৃষ্ঠকেও জীবাণুমুক্ত করে, এমনকি এটি মানবদেহের শ্বাসতন্ত্রে প্রবেশকারী ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়াও নির্মূল করতে সক্ষম। ইনকিলাবের এই প্রতিবেদকের সাথে কথা বলতে গিয়ে ওয়েলিস বাংলাদেশের একমাত্র আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ওএসএসএর ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, কিছু জায়গায় নিত্যপ্রয়োজনে আমাদের যেতেই হয় যেমন: মসজিদ, সরকারি ও বেসরকারি গুরুত্বপূর্ণ অফিস, হাসপাতাল, শপিংমল , শিল্পকারখানা, থানা, প্রভৃতিস্থানে। এই সকল জনবহুল স্থানে যদি আমরা করোনা ভাইরাস সংক্রমন ঠেকিয়ে রাখতে পারি তাহলে অনেকটা নিরাপদ ও দুঃশ্চিন্তামুক্ত থাকা যায়। তিনি বলেন, যেখানে যেতে আমরা বাধ্য হচ্ছি সেই পরিবেশটাকে নিরাপদ রাখার প্রত্যয় নিয়েই আমরা এই প্রোডাক্টটি বাংলাদেশে নিয়ে এসেছি। ওয়েলিসের করোনা ভাইরাসবিনাশী সক্ষমতার ওপর গত ৪ এপ্রিল, ২০২০ একটি গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয় বিখ্যাত ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অব ইঞ্জিনিয়ারিং রিসার্চ অ্যান্ড সায়েন্স (আইজেওইআর) সাময়িকীতে। স্পেনের বার্সেলোনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্বখ্যাত ভাইরোলজি বিভাগ এই গবেষণাকর্মটি সম্পাদন করে। তিনি বলেন, বাসা, ব্যাংক, হাসপাতাল কিংবা অফিসের কোনায় কোনায় থাকা সব জীবাণুকে ৯৯.৯৯ভাগ ধ্বংস করতে পারে ওয়েলিস।
ওয়েলিস সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্য যোগাযোগ করুন: ০১৯৫৫৫৬০৩২৯, ০১৯৫৫৫৬০৩০৩ এই মুঠোফোন নম্বরে অথবা ওয়েবসাইট ভিজিট করুন:
চীন, জাপান, কোরিয়া, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড এবং আমেরিকা ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশের হাসপাতাল ও ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষায় প্রমাণিত হয়েছে যে ওয়েলিস ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়াসহ বিভিন্ন জীবাণু ধ্বংসে সক্ষম। চলমান করোনা মহামারিকালে ইউরোপ, আমেরিকা, এশিয়া ও অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন উন্নত দেশের হাসপাতাল, হাসপাতালের আইসিইউ, ব্যাংক, অফিস, কল-কারখানা, স্কুল ও বাসায় ওয়েলিস ব্যবহৃত হচ্ছে।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হয়েছিল চীনের উহানে। পরিস্থিতি সামাল দিতে সেখানে গত বছর মাত্র ৭২ ঘণ্টায় নির্মাণ করা হয় ১ হাজার শয্যার একটি হাসপাতাল। এই হাসপাতাল জীবাণুমক্ত করতেও ব্যবহার করা হচ্ছে ওয়েলিস।
ওয়েলিসের উল্লেখযোগ্য সুবিধাসমূহ
•এই যন্ত্র মানুষের উপস্থিতিতে ২৪ ঘণ্টাই জীবাণুমুক্ত করে।
•ওয়েলিস শুধু বাতাস নয়, বস্তুপৃষ্ঠকেও জীবাণুমুক্ত করে, যেটা শিল্প ও কল-কারখানার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যেখানে শ্রমিকেরা যন্ত্রপাতি এবং কাঁচামাল নিয়ে প্রতিনিয়ত কাজ করেন।
•ওয়েলিসের অত্যাধুনিক প্রযুক্তি মানবদেহের শ্বাসতন্ত্রে প্রবেশকারী ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া নির্মূল করে।
•ওয়েলিসে ব্যয়বহুল কোনো ফিল্টার ও ইউভি লাইট ব্যবহৃত হয় না।
•ওয়েলিস মানবদেহের জন্য ক্ষতিকারক রাসায়নিক পর্দাথ (যেমন: ওজোন, হাইড্রোজেন পার–অক্সাইড, ক্লোরিন, ইউভি ইত্যাদি) নিঃসরণ করে না।
•ওয়েলিস পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কোনো লোকবলের প্রয়োজন হয় না।
•ওয়েলিস দারুণ বিদ্যুৎসাশ্রয়ী (৩.৬ ওয়াট/ঘণ্টা)
•ওয়েলিস আকারে ছোট ও সহজে বহনযোগ্য।
এই মুহূর্তে সবচেয়ে জরুরি হলো, আমাদের চারপাশকে করোনামুক্ত করা। জীবাণু ধ্বংস করতে গিয়ে বিভিন্ন ক্ষতিকারক রশ্মি ও রাসায়নিক উপাদান ব্যবহার করে পরিবেশের ভারসাম্য যেন নষ্ট না হয়, সে বিষয়েও একই সঙ্গে সর্তক থাকতে হবে।
ওয়েলিস সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্য যোগাযোগ করুন: ০১৯৫৫৫৬০৩২৯, ০১৯৫৫৫৬০৩০৩ এই মুঠোফোন নম্বরে অথবা ওয়েবসাইট ভিজিট করুন
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন