মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

গোবর দিয়ে করোনার চিকিৎসা নিয়ে হুঁশিয়ারি ভারতীয় ডাক্তারদের

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১১ মে, ২০২১, ৩:৩২ পিএম

করোনা মহামারীর দ্বিতীয় ঢেউয়ে বিপর্যস্ত ভারত। রয়েছে টিকার সল্পতা। এ অবস্থায়ও চলছে সাধারণ মানুষকে নিয়ে ধর্ম ব্যবসায়িদের খেলা। ক্ষমতাসীন বিজেপির প্রশ্রয়ে সেখানে একশ্রেণীর ধর্মান্ধ হিন্দু গোবর, গো-মূত্র করোনা সারায় বলে দীর্ঘদিন ধরে প্রচারণা চালিয়ে আসছে। এবার ডাক্তাররা সতর্ক করে দিয়েছেন, গোবর ব্যবহারের ফলে করোনা থেকে মুক্তি তো মিলবে না, উল্টো অন্যান্য রোগে আক্রান্ত হওয়ারও আশঙ্কা রয়েছে। গোবর ব্যবহারে করোনা হবে না, এমন ধারণার কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই জানিয়েছেন ডাক্তাররা।

পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য গুজরাটের অনেক বাসিন্দাই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে এমন আশায় গোশালায় গিয়ে গোবর এবং গরুর মূত্র শরীরে মাখছে। অনেকেরই বিশ্বাস এতে তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে কিংবা করোনা সেরে যাবে। হিন্দু ধর্মে গরু পবিত্রতার প্রতীক। বহু শতাব্দী ধরে হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা নিজেদের বাড়িঘর পরিষ্কার করতে গোবর ব্যবহার করে আসছে। তাদের বিশ্বাস এতে রোগ নিরাময়ের ক্ষমতা রয়েছে। একটি ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানির সহযোগী ব্যবস্থাপক গৌতম মনিলাল বরিসার বিশ্বাস গোবর এবং গোমূত্র ব্যবহারের চর্চা করে তিনি গত বছর করোনা থেকে সেরে উঠেছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা দেখি এখানে চিকিৎসকরাও আসেন। তাদের বিশ্বাস এই চর্চা তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াবে আর তারা কোনও ভয় ছাড়াই রোগীদের কাছে যেতে পারবে।’

তবে ভারতের বিভিন্ন স্থানের চিকিৎসক ও বিজ্ঞানীরা বারবারই এই ধরনের চর্চার বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে আসছেন। তারা বলছেন, এই ধরনের বিকল্প চিকিৎসায় নিরাপত্তার ভুয়া বোধ তৈরি করতে পারে আর স্বাস্থ্য জটিলতা বাড়াতে পারে। ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের ন্যাশনাল প্রেসিডেন্ট ডা. জেএ জয়লাল বলেন, ‘গোবর কিং গোমূত্র করোনার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর কোনও বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই, এটা সম্পূর্ণ বিশ্বাসের ওপর ভর করে চলছে।’ তিনি বলেন, ‘এসব পণ্যের গন্ধ নেয়া কিংবা গ্রহণ করায় অন্যান্য স্বাস্থ্য ঝুঁকি রয়েছে- অন্য রোগও প্রাণী থেকে মানুষে ছড়িয়ে পড়তে পারে।’ এছাড়া দলবদ্ধ হয়ে এই ধরনের চর্চার কারণে করোনা সংক্রমণ আরও বাড়তে পারে বলেও উদ্বেগ রয়েছে।

করোনাভাইরাস মহামারিতে ইতিমধ্যে বিধ্বস্ত হয়ে পড়া ভারতে আক্রান্ত হয়েছে প্রায় ২ কোটি ৩০ লাখ এবং মারা গেছে ২ লাখ ৫০ হাজারেরও বেশি লোক। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, দেশটিতে মৃত্যুর এই সংখ্যার চেয়েও ৫ থেকেও ১০ গুণ বেশি। ভারতের নাগরিকেরা যুদ্ধ করছে হাসপাতালে বেড পাওয়ার জন্য। অনেকে অক্সিজেন ও ওষুধ ও চিকিৎসার অভাবেও মারা যাচ্ছে। সূত্র: হিন্দুস্থান টাইমস।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (6)
Gazi Hafizur Rahman ১১ মে, ২০২১, ৩:৪৫ পিএম says : 0
গোবর বা গোমুত্র প্রতিদিন সকালে দুপুর ও রাতে তিন বেলা খেতে দিলেই ভালো , ............ কিনা খায়।
Total Reply(0)
শওকত আকবর ১১ মে, ২০২১, ৫:০৪ পিএম says : 0
গরুর চোনা খাওয়ার দৃস্য দেখতে পেলাম।ভারতের এরা গো মাংস খায়না অথচ গো মুত্র খায়!
Total Reply(0)
Ahsanul Fuhad ১১ মে, ২০২১, ৭:৩৬ পিএম says : 0
কোনো ধর্মে এমন কাজও থাকতে পারে!
Total Reply(0)
Sohel Khondoker ১১ মে, ২০২১, ৭:৩৮ পিএম says : 0
এই উগ্র বিজিপি মার্কা পাগল গুলার জন্য পুরো ভারত সেশ, সাতে বাংলাদেশও
Total Reply(0)
Dr.Sheikh Farid Ahammod ১১ মে, ২০২১, ৭:৩৮ পিএম says : 0
এটা ওদের বিশ্বাস,এখানে কোন মুসলমান মন্তব্য না করাই ভাল ।
Total Reply(0)
MD Merazul Islam ১১ মে, ২০২১, ৭:৪০ পিএম says : 0
ধর্মান্ধতা মানুষে কতটা নোংরা ও অমানুষ করে তোলে এই মূর্খদের না দেখলে বুঝা যেতো না
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন