বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মহানগর

বিনামূল্যে ৫১৫ জন শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিশুর ব্যয়বহুল কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট সম্পন্ন

শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিশুদের প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার: ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১১ মে, ২০২১, ৫:৪০ পিএম

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) প্রফেসর ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেছেন, যে সকল শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিশুরা কথা বলতে পারে না ও কানে শোনে না, সে সকল শিশুদের কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট করা হয়। কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট এবং স্পীচ থেরাপির পর যখন কোনো শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিশু মা-বাবা বলে ডাকে সেই আনন্দের অনুভূতি সেই মা-বাবার কাছে যে কতটা বিশাল তা বলে বোঝানো যাবে না। কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট করতে ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকা ব্যয় হয়। শুধুমাত্র প্রতিটি কক্লিয়ার ডিভাইসের মূল্যই ১০ লাখ টাকার বেশি। ফলে অভিভাবকদের পক্ষে এই বিশাল ব্যয়ভার বহন করে তার প্রিয় সন্তানের জন্য কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট করা সম্ভব হয় না। বর্তমান জনকল্যাণমূলক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সদিচ্ছায় সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে এই ব্যয়বহুল ডিভাইস শিশুদেরকে দেয়া হয়ে থাকে। তাই পবিত্র ঈদ উল ফিতরের আগে শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য এই কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট বরাদ্দ হলো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঈদের বিশেষ উপহার।

মঙ্গলবার (১১ মে) ডা. মিল্টন হলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে ভিসি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে ভিসি রোবটিক সার্জারি চালু, কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট সেন্টার স্থাপন, প্রশিক্ষণ কার্যক্রম বিষয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরণের সহায়তার আশ্বাস প্রদান করেন।

করোনার সংক্রমণ এড়াতে শহীদ ডা. মিল্টন হলে মোট ৩ জন শিশুকে বরাদ্দ দেয়া হয়। বাকী শিশুদের বরাদ্দপত্র তাদের অভিভাবকদের হাতে পৌঁছে দেয়া হয়। মোট ৬৮ জন সম্পূর্ণ শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিশুর মাঝে এই বরাদ্দপত্র প্রদান করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট কার্যক্রম সম্পর্কে তথ্যবহুল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অটোল্যারিংগোলজি-হেড এন্ড নেক সার্জারি বিভাগের শিক্ষক ও কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট প্রকল্পের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবুল হাসনাত জোয়ারদার। তিনি জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট এর জন্য একটি সুদক্ষ চিকিৎসক টিম। এই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক টিম এ পর্যন্ত ৫১৫ জন শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিশুর কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট সম্পন্ন করেছে। এ সব শিশুরা এখন কানে শুনতে পারছে এবং কথা বলতে পারছে।

অনুষ্ঠানে প্রো-ভিসি ডা. মুহাম্মদ রফিকুল আলম, ডা. মো. জাহিদ হোসেন, ডা. এ কে এম মোশাররফ হোসেন, কোষাধ্যক্ষ ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, রেজিস্ট্রার ডা. এ বি এম আব্দুল হান্নান, প্রক্টর ডা. মো. হাবিবুর রহমান দুলাল, অটোল্যারিংগোলজি-হেড এন্ড নেক সার্জারি বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা. মো. বেলায়েত হোসেন সিদ্দিকী, প্রফেসর ডা. কামরুল হাসান তরফদার, প্রফেসর ডা. এ এইচ এম জহুরুল হক, প্রফেসর ডা. নাসিমা আখতার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন