শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

ভোর রাতে চাঁদ দেখার ঘোষণায় চাঁদপুরে দু গ্রামে ঈদ উদযাপন

চাঁদপুর থেকে স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১২ মে, ২০২১, ৩:৩৯ পিএম

ভোর রাতে চাঁদ দেখার ঘোষণা দিয়ে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ সাদ্রা ও সমেসপুর গ্রামের কিছু অংশে উদযাপন করা হচ্ছে ঈদুল ফিতর। ১২ মে বুধবার হাজীগঞ্জের সাদ্রা দরবার শরিফ জামে মসজিদে সকাল ১০টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এ নিয়ে আগাম ঈদ উদযাপনকারীদের মধ্যেই মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।

এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি মেম্বার সফিকুর রহমান বলেন, ‘সাদ্রা ও সমেশপুর গ্রামের কয়েকটি বাড়ির মানুষজন ঈদ উদাযাপন করছে। সাদ্রায় মাওলানা আবু বকরের বাড়িতে এবং সমেশপুর গ্রামের মিজিবাড়িতে ঈদের জামাত হয়েছে। অল্প সংখ্যক মানুষ ঈদের জামাতে অংশ নিয়েছেন।’ তিনি জানান, ভোর রাতে তারা ঈদ উদযাপনের ঘোষণা দেন। এ নিয়ে স্থানীয় মানুষের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। পুরো সাদ্রা গ্রামে বৃহস্পতিবার ঈদ উদযাপিত হবে।

ঈদের জামাতে ইমামতি করা সাদ্রার মরহুম পীরের ছেলে জাকারিয়া আল মাদানী বলেন, ‘গত রাত ৩টার দিকে আমরা ঈদ উদযাপনের ঘোষণা দিয়েছি। এর আগে আফ্রিকার দেশ নাইজার, সোমালিয়াসহ কয়েকটি দেশে চাঁদ দেখার খবর পাই। তবে তা যাচাই-বাছাই করতে কিছুটা সময় লেগেছে। বিশ্বের অধিকাংশ দেশেই হয়তো বৃহস্পতিবার ঈদ হবে। আমরা সর্বপ্রথম চাঁদ দেখার ভিত্তিতে রোজা রাখি এবং ঈদ উদযাপন করি। সৌদি আরবকে অনুসরণ করে নয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘ঈদের জামাত আমাদের এখানে সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। অন্য গ্রামেও হয়েছে, হয়তো সব জায়গায় হয়নি, কিছু বাকি রয়েছে। হয়তো সবাই খবর পায়নি অথবা সৌদি আরবসহ অনেক দেশে ঈদ হচ্ছে না সেদিকেই খেয়াল করেছেন। বিশ্বের কয়েকটি দেশে ঈদ হচ্ছে সেটি তারা জানতেন না।’

দরবারের বড় পীরজাদা ড. মুফতি বাকী বিল্লাহ মিসকাত চৌধুরী বলেন, ‘হানাফি, মালেকি ও হাম্বলি এ তিন মাজহাবের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হচ্ছে, পৃথিবীর পশ্চিম প্রান্তেও যদি চাঁদ দেখা যায় আর সে সংবাদ যদি নির্ভরযোগ্য মাধ্যমে পৃথিবীর পূর্ব প্রান্তেও পৌঁছায়, তাহলে পূর্ব প্রান্তের মুসলমানদের জন্য রোজা রাখা ফরজ এবং ঈদ করা ওয়াজিব। তাই গতকাল সোমালিয়া, নাইজার ও পাকিস্তানে চাঁদ দেখা গেছে। ওই সংবাদ নির্ভরযোগ্য সূত্রে পেয়ে আমরা ঈদুল ফিতর উদযাপন করছি। পাশাপাশি ঢাকার সদরঘাটের খানকা এবং পটুয়াখলির বদরপুর দরবার শরিফে ঈদের জামাত হয়েছে।’

উল্লেখ্য, আরব দেশগুলোর সঙ্গে সঙ্গতি রেখে প্রতি বছর চাঁদপুর জেলার তিনটি উপজেলার ৪০ গ্রামে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়। সাদ্রা দরবার শরিফের অনুসারীরা ৯২ বছর ধরেই প্রথম চাঁদ দেখার ভিত্তিতে সাদ্রাসহ ৪০টি গ্রামে ঈদ উদযাপন করে থাকেন। এছাড়া চাঁদপুরের পাশের নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ভোলা ও শরীয়তপুর জেলার কয়েকটি স্থানে মাওলানা ইছহাক খানের অনুসারীরা একদিন আগে ঈদ উদযাপন করেন।

সাদ্রার মরহুম পীরের ছেলে জাকারিয়া আল মাদানী বলেন, ‘সাদ্রা হামিদিয়া ফাজিল মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ আল্লামা মোহাম্মদ ইসহাক ইংরেজি ১৯২৮ সাল থেকে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ইসলামের সব ধর্মীয় রীতিনীতি প্রচলন শুরু করেন। মাওলানা ইছহাকের মৃত্যুর পর থেকে তার ছয় ছেলে এ মতবাদের প্রচার চালিয়ে আসছেন।’

চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজী আব্দুর রহীম জানিয়েছেন, চাঁদপুরে আগাম ঈদ ফরিদগঞ্জ হাজীগঞ্জ এবং মতলব উত্তরের বিভিন্ন এলাকায় আগাম ঈদ উদযাপন হয়। এসব এলাকায় ৩৪টি ঈদের স্থানে ঈদের জামাত হবে। এর মধ্যে ফরিদগঞ্জে ১৫টি, হাজীগঞ্জে ১৩টি এবং ৬টি মতলব উত্তরে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (3)
জিললু ১২ মে, ২০২১, ৪:২৭ পিএম says : 0
মনে হচ্ছে সব কিছুই মন উক্তি।এদের জন্য মাদার কাটার ডালই বেষ্ট।
Total Reply(0)
MD Akkas ১২ মে, ২০২১, ৪:২৮ পিএম says : 0
এই ......... গুলোকে সৌদি আরব অথবা সোমালিয়া নাইজার এসব দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হোক
Total Reply(0)
শাহানুর ১২ মে, ২০২১, ১০:১৫ পিএম says : 0
এসব খবর প্রচার করা থেকে, বিরত থাকুন।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন