মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ০৫ চৈত্র ১৪৩০, ০৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

সারাদেশে পবিত্র ঈদুল ফিতর পালিত হচ্ছে

শামসুল ইসলাম | প্রকাশের সময় : ১৪ মে, ২০২১, ৯:২৬ এএম

  • করোনা মহামারি থেকে মুক্তিতে বিশেষ দোয়া
  • লাখো মুসল্লির মাঝে কান্নার রোল

করোনা মহামারি সংক্রমণ বিস্তার রোধে ঈদগাহ ময়দান ব্যতীত আজ যথাযোগ্য মর্যাদা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে সারাদেশে পালিত হয়েছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধানার পর সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী এবারও শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে এবং স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে মসজিদে মসজিদে ঈদ জামাতে মুসল্লিদের ঢল নামে। রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের মাসের পর মসজিদে মসজিদে ঈদ জামাত শেষে অনুষ্ঠিত মোনাজাতে সকল প্রকার গুনাহখাতা মাফ, করোনা মহামারি থেকে মুক্তি এবং মহান আল্লাহপাকের নৈকট্য হাসিলের লক্ষ্যে মসজিদগুলোতে আগত লাখো মুসল্লির মাঝে কান্নাররোল পড়ে যায়। মোনাজাতে আমীন! আমীন! ধ্বনিতে প্রকম্পিত হয়ে উঠে আকাশ-বাতাস।
রাজধানীর মসজিদগুলোতে জায়গা সঙ্কুলান না হওয়ায় রাস্তার ওপর হাজার হাজার মুসল্লিদের ঈদ জামাত আদায় করতে হয়েছে। নগরীর জাতীয় ঈদগাহ ও কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে এবারও ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়নি। মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে ঈদকে ঘিরে যে আনন্দ-উচ্ছ্বাস থাকার কথা তা এবারও ম্লান করে দিয়েছে করোনাভাইরাস। সরকারি অনুরোধে করোনা মহামারি থেকে মুক্তি, দেশ জাতির সুখ-শান্তি উন্নতি এবং মুসলিম উম্মাহর কল্যাণ সমৃদ্ধি কামনা করে ঈদ জামাত শেষে মসজিদগুলোতে বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মসজিদের পেশ ইমাম ও খতিবরা পবিত্র আল আসকায় ইহুদিবাদী ইসরায়েলী বাহিনীর বর্বরোচিত হত্যাযজ্ঞের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে ফিলিস্তিনি মুসলমানদের জান-মাল রক্ষায় বিশেষ দোয়া করেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে এশার নামাজের পর থেকেই মসজিদগুলোর মাইক থেকে ঈদ জামাতের সময়সূচি সর্ম্পকে দফায় দফায় ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে প্রতি বছরের মতো এবারও ঈদের ৫টি জামাত অনুষ্ঠিত হবার কথা। সকাল ৭টায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদের প্রধান জামাত এবার বায়তুল মোকাররম মসজিদেই অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে ইমামতি করেন সিনিয়র পেশ ইমাম মুফতি মাওলানা মিজানুর রহমান। নগরীর মহাখালীস্থ মসজিদে গাউছুল আজম কমপ্লেক্সেও যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে চারটি ঈদ জামাতে প্রচুর মুসল্লির সমাগম ঘটে।
প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ তার পরিবারের সদস্য এবং কয়েকজন সিনিয়র সরকারি কর্মকর্তাকে সঙ্গে নিয়ে বঙ্গভবনের দরবার হলে পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেছেন।
পবিত্র রমজান মিতাচার অনুশীলনের যে সুযোগ নিয়ে আসে, তার তুলনা হয় না। রোজা শুধু ইন্দ্রিয়ের কৃচ্ছ্রসাধনা নয়, আত্মিক বিশুদ্ধতা অর্জনেরও পথ দেখিয়ে দেয়। এক মাসের রোজার অবসানে তাই ঈদুল ফিতরের উৎসব কেবল ভোজনের মাধ্যমে ইন্দ্রিয় তৃপ্তির উৎসব নয়, বিশুদ্ধ আত্মা নিয়ে জীবনকে নতুন করে সাজানোর অঙ্গীকারেরও উৎসব। আত্মিক পরিশুদ্ধির ফলে দূর হয়ে যাবে সব সংকীর্ণতা ও ভেদাভেদ। পুরো রমজান মাস আমরা যে সংযমের অনুশীলন করেছি, তা আমাদের জীবন চলার সব ক্ষেত্রে সীমা লঙ্ঘনের নেতিবাচক প্রবণতা থেকে রক্ষা করবে এমনই প্রত্যাশা। ঈদ যে আনন্দের বার্তা বয়ে এনেছে, তার মর্মমূলে আছে শান্তি ও ভালোবাসা। পরস্পরের বন্ধুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী হয়ে ওঠার এক মহান উপলক্ষ ঈদ। ঈদুল ফিতরের আগমনী সুরে বেজে চলেছে মানুষে মানুষে মিলনের এই আকুতি। কিন্ত করোনা মহামারিতে গোটা বিশ্ব যেনো লন্ডভন্ড। লকডাউনের মাঝেই উদযাপিত হলো ঈদুল ফিতর।
বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে প্রথম জামাত হয় সকাল ৭টায়, দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায়, তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হয়। চর্তুথ জামাত হবে সকাল ১০টায়। পঞ্চম ও শেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে। সকাল ৯টায় তৃতীয় জামাত চলার সময় বিপুল সংখ্যক মুসল্লিকে মসজিদের বাইরে অপেক্ষা করতে দেখা যায়। মসজিদে জায়গা না পেয়ে দক্ষিণ গেটে বাইরে স্টেডিয়ামের সামনের সড়কে অনেককে নামাজে অংশ নিতে দেখা গেছে। ফজর নামাজের পর থেকেই ঈদ জামাতে অংশ নিতে মুসল্লিদের মাস্ক পড়ে জায়নামাজ নিয়ে বায়তুল মোকাররম মসজিদে জড়ো হতে থাকেন।
প্রত্যেকটি জামাতেই দক্ষিণ গেট দিয়ে মুসল্লিদের সারি ধরে আর্চওয়ে দিয়ে মসজিদে প্রবেশ করতে দেখা গেছে। প্রতিটি জামাত ও খুৎবাহ শেষে মোনাজাতের সময় আবেগে আপ্লুত মুসল্লিরা গুনাহ থেকে মুক্তির জন্য কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। করোনা দূর করে স্বাভাবিক জীবনের জন্য আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ জানান তারা। তবে ঈদের নামাজ শেষে মুসল্লিদের কোলাকুলি ও হাত মেলানোর চিরাচরিত চিত্রটি দেখা যায়নি। নামাজ শেষে যে যার মতো বেরিয়ে গেছেন। দ্বিতীয় জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররমের পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মুহিবুল্লাহিল বাকী নদভী। সকাল ৯টার তৃতীয় জামাতের ইমাম করেন বায়তুল মোকাররমের পেশ ইমাম মুফতি মাওলানা এহসানুল হক জিলানী। চর্তুথ জামাতের ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররমের পেশ ইমাম মাওলানা মহিউদ্দিন কাসেম। পঞ্চম ও শেষ জামাতে ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুহাদ্দিস হাফেজ মাওলানা ওয়ালিয়ূর রহমান খান।
এদিকে রাজারবাগ পুলিশ লাইনের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে পরপর ৪টি ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদের রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ মসজিদে ঈদের জামাতে শরীক হবার কথা রয়েছে।
এবার লকডাউনের মাঝে ঈদ উৎসব উদযাপনের জন্য বিপুলসংখ্যক কর্মজীবী মানুষ রাজধানী ঢাকা ও অন্যান্য বড় শহর থেকে পরিবার-পরিজনসহ গ্রামের বাড়িতে যেতে চরম ভোগান্তির কবলে পড়েন। ঈদ আমাদের সামষ্টিক জীবনে যে মিলন ও শুভবোধের চর্চার দৃষ্টান্ত স্থাপন করে, তা সঞ্চারিত হোক সবার প্রতিদিনের জীবনযাপনে। নিছক আনুষ্ঠানিকতা নয়, ঈদ হোক জীবনকে নবায়ন করার আহ্বান। ঈদের আনন্দ হোক সর্বজনীন।
বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম মুফতি মিজানুর রহমান আজ ঈদুল ফিতরের জামাতের পূর্বে বয়ানে বলেন, হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন মক্কা থেকে মদিনায় হিযরত করলেন, তখন মদিনাবাসীদের মধ্যে (উৎসব উদযাপনে) বিশেষ দুটি দিন (প্রচলিত) ছিল। সেই দুই দিনে তারা খেলাধুলায় মেতে উঠতো। রাসুলুল্লাহ (সা.) জিজ্ঞাসা করলেন, (তাদের আনন্দ-উৎসবের) এ দুইটি দিনের তাৎপর্য কী? মদিনাবাসীরা জানালেন, (হে আল্লাহর রাসুল! (সা.) আমরা জাহেলি (অন্ধকার) যুগ থেকে এ দুই দিন খেলাধুলা (উৎসব) করে আসছি। তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, আল্লাহ তায়ালা এ দুই দিনের পরিবর্তে এর চেয়েও উত্তম দু'টি দিন তোমাদেরকে দান করেছেন। আর সেই দিন দু’টি হলো-- ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা।' (আবু দাউদ, নাসাঈ)। তখন থেকেই প্রতি বছর মুমিন মুসলমান আরবি শাওয়াল মাসের ১ তারিখ পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং জিলহজ মাসের ১০ তারিখ ঈদুল আজহা ঈদ উদযাপন করে আসছেন।
পেশ ইমাম বলেন, ‘ঈদ’ মুসলিম উম্মাহর জাতীয় উৎসব। রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের মাস রমজানে এক মাস সিয়াম সাধনার পর শাওয়ালের এক ফালি উদিত চাঁদ নিয়ে আসে পরম আনন্দ ও খুশির ঈদের আগমনী বার্তা। সিয়াম পালনের দ্বারা রোজাদার ব্যক্তি ইসলামের আত্মশুদ্ধি, সংযম, ত্যাগ-তিতিক্ষা, দানশীলতা, উদারতা, ক্ষমা, মহানুভবতা, সাম্যবাদিতা ও মনুষ্যত্বের গুণাবলি দ্বারা বিকশিত হন। এ ধারাবাহিকতা অক্ষুন্ন রেখেই আসে পবিত্র ঈদুল ফিতর। সাদকায়ে ফিতর আদায়ের মাধ্যমে প্রকাশ পায় সহমর্মিতা। আর ধনী-গরীব কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ঈদের জামাতে উপস্থিত হওয়ার মাধ্যমে সাম্যবাদিতা আর মুসলিম ভ্রাতৃত্ববোধের এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপিত হয়।
তিনি বলেন, প্রকৃতপক্ষে ঈদ ধনী-দরিদ্র, সুখী-অসুখী, আবাল-বৃদ্ধ বনিতা সব মানুষের জন্য কোনো না কোনোভাবে নিয়ে আসে নির্মল আনন্দের আয়োজন। ঈদ ধর্মীয় বিধিবিধানের মাধ্যমে ধনী-গরিব সর্বস্তরের মানুষকে ভালোবাসার বন্ধনে আবদ্ধ ও ঐক্যবদ্ধ করার প্রয়াস পায় এবং পরস্পরের জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারের শিক্ষা দেয়। এছাড়া রমাদানের তাকওয়ার শিক্ষাকে কাজে লাগিয়ে আমরা আমাদের ঈদ পরবর্তী জীবন কাটাব সর্বপ্রকারের অন্যায়, অশ্লীলতা বিবর্জিত এক অনাবিল সুন্দর জীবন । এটাই হোক আমাদের প্রত্যয়।
ঢাকার লালমাটিয়া মসজিদে বায়তুল হারামের খবিত মাওলানা কাজী আবু হোরায়রা আজ ঈদ জামাতের পূর্বে বয়ানে বলেন, ঈদ মানে আনন্দ। নিয়ামত সবচেয়ে বড় মাস মাহে রমজান চলে গেল। আজ একদিকে আনন্দ অন্যদিকে বেদনার দিন। খতিব বলেন, হযরত ওমর ফারুক (রা.) ঈদের দিন শুধু ক্রন্দন করে চলেছেন, লোকেরা জিজ্ঞাসা করল এই খুশির দিনে ক্রন্দনের তাৎপর্য কী? তিনি বললেন, রমজান এসেছিল মাগফিরাত ও নাজাতের জন্য। কিন্ত আমি ক্ষমাপ্রাপ্তদের মধ্যে আছি কিনা আমার সে চিন্তা। এজন্য আমি ক্রন্দন করছি। আজ আমাদেরও একই আকুতি মাহে রমজান থেকে আমরা কতটুকু উপকৃত হতে পেরেছি? ঈদের দিনকে "ইয়াওমুল জায়েজাহ" অথাৎ পুরস্কার প্রাপ্তির দিন বলা হয়েছে। আমাদের ফলাফল আজ কি দাঁড়ায় তা কেবল আল্লাহ তায়ালাই ভাল জানেন। সুতরাং আজ শুধু আনন্দ নয় ক্রন্দন করে আল্লাহর কাছে ক্ষমাও চাইতে হবে। রমজানের ত্রুটি-বিচ্যুতির জন্য আল্লাহর নিকট রোনাজারি করতে হবে।
করোনার মহামারির ছোবলে আজ হতদরিদ্র গরীব অসহায় মানুষ দিশেহারা। ঈদের আনন্দ আজ ম্লান হয়ে যাবে যদি আমরা তাদের খোঁজ খবর না নেই। তাদেরকে সঙ্গে নিয়েই ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে হবে। আল্লাহর দরবারে ফরিয়াদ জানাতে হবে তিনি যেন করোনার মত মহাবিপদ তথা এ গজব তুলে নেন। বিশ্ব মুসলিমের জন্য দোয়া করতে হবে। আল্লাহ সকলের নেক বাসনা পূরণ করুন। আমীন! মিরপুরের বাইতুল আমান সেন্ট্রাল জামে মসজিদের খতিব মুফতি আবদুল্লাহ ফিরোজী ঈদুল ফিতরের খুৎবা পূর্ব বয়ানে বলেন, ঈদ আরবি শব্দ। যার অর্থ আনন্দ ও উৎসব। দ্বিতীয় হিজরীতে রসুল (সা.) প্রথম ঈদের নামাজ আদায় করেন। একই হিজরীতে শা’বান মাসে রমজানের রোজা ফরজ হয় এবং সদকায়ে ফিতর, ঈদুল আযহা ও কোরবানি ওয়াজিব হয়। তিনি আরও বলেন, আজ 'আল্লাহু আকবার' এর প্রেরণায় উজ্জীবিত হওয়ার দিন। আল্লাহ তায়ালা তাঁর বান্দাদেরকে যে কল্যাণকর বিধান দান করেছেন এবং তা পালন করার তাওফিক দিয়েছেন, সেজন্য আল্লাহর শোকর গোজারী করা এবং তাঁর মহত্ত্ব ও বড়ত্ব বর্ণনা করাই হলো ঈদুল ফিতরের অন্যতম তাৎপর্য। ঈদুল ফিতর উদযাপনের পুরো বিষয়টিই ‘আল্লাহু আকবার’ এর চেতনা ও মর্মবাণীকে প্রকাশিত করে। এজন্য মৌখিকভাবেও ‘আল্লাহু আকবার’ বলা এদিনের একটি বিশেষ আমল। সাহাবায়ে কেরাম ও সালাফে সালেহীন ঈদের রাতে ও ঈদের সকালে তাকবীর পাঠ করতেন। আজকে ঈদগাহে আসা যাওয়ার সময়ও নিম্নস্বরে তাকবীর বলা মুস্তাহাব। ঈদের নামাজের অতিরিক্ত তাকবীর এবং ঈদের খুৎবার তাকবীরগুলো ঈদুল ফিতরের গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। এই বিধানগুলো পালনের সঙ্গে সঙ্গে জগতের সকল মিথ্যা বড়ত্বের দাবিদারকে পরিত্যাগ করে লা শরীক আল্লাহর বড়ত্বকে স্বীকার করে নেয়া মু’মিনের ঈমানের দাবি। তাই আসুন, এই দিনে আমরা ‘আল্লাহু আকবারের প্রেরণায় উজ্জীবিত হই এবং সকল মিথ্যা ‘ইলাহ’র দাসত্ব পরিত্যাগ করে এক আল্লাহর পূর্ণ আনুগত্যে সমর্পিত হই। এছাড়া আজকের এই দিনে আনন্দ উপভোগের সময় আমরা যেন আমাদের পার্শ্ববর্তী গরীব মানুষটির কথা ভুলে না যাই। সদকায়ে ফিতর বিধিবদ্ধ হওয়ার অন্যতম কারণও এটাই। আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকলকে আমল করার তাওফিক দান করুন। আমীন!
দিনাজপুর গোর-এ-শহীদ কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব মাওলানা রেজাউল করিম আজ ঈদুল ফিতরের জামাতের বয়ানে মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে বলেন, একমাস সিয়াম সাধনার পর রোজাদারের খুশির দিন আজ ঈদুল ফিতর। ধনী-গরীব রাজা-প্রজা সকল ভেদাভেদ ভুলে, শুকরিয়ার দুই রাকাত নামাজ আদায় করে আনন্দ ভাগাভাগি করে নিবো। কিন্তু ভারাক্রান্ত হৃদয়ের রক্তক্ষরণ থেকে ফিলিস্তিনি ভাইদের জন্য বড়ই অপরাধী মনে হয় নিজেকে। তাদের আনন্দ আজ মহা শোকে পরিণত হয়েছে। ঘর হারা, সন্তান হারা, মা হারা, বিভীষিকাময় ফিলিস্তিন। রাব্বি কারীম তাদের সুদিন দাও। সবার শ্লোগান হোক আজ, মসজিদে আল-আকসাসহ ফিলিস্তিন মুক্তি পাক। ইহুদিবাদ নিপাত যাক। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির সমৃদ্ধি কামনায় এবং করোনা মহামারি থেকে মুক্তির প্রার্থনায়, হাজারো মুসল্লির মুখে মুহুুর্মুহু আমীন আমীন ধ্বনিতে আকাশ-বাতাস প্রকম্পিত হয়ে উঠে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (6)
Mohammad Jahed ১৪ মে, ২০২১, ১০:০৯ এএম says : 0
ঈদ মোবারক বৈশ্বিক মহামারী থেকে বের হয়ে পৃথিবীর সাজবে আবার নতুন রূপে,, সেই আশা প্রত্যাশায় সকলকে জানাই ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন!
Total Reply(0)
M Saiful Islam Saif ১৪ মে, ২০২১, ১০:০৯ এএম says : 0
করোনার মধ্যে জীবন- জীবিকার যুদ্ধে করোনার সাথে তফাত সমঝোতা করে, জীবনের দূঃখ-সুখ- বেদনা,হাসি - কান্নাকে সাথে করে, করোনায় হাজারের অধিক আপনজনের অকাল মৃত্যুকে মেনে নিয়ে এবার আনন্দের ঈদ এলো সব শ্রেণী পেশার মানুষের জীবনে খুশির বারতা নিয়ে, করোনামুক্ত বাংলাদেশ ও পৃথিবী প্রত্যাশা করে বিগত একটা মাস সিয়াম সাধনার পর সবাইকে জানাই পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা -------- " ঈদ মোবারক"।
Total Reply(0)
Rashedul Alam ১৪ মে, ২০২১, ১০:১০ এএম says : 0
ঈদ মোবারক পবিত্র ঈদুল ফিতর বয়ে আনুক সবার পরিবারের সুখ ও শান্তি। দূর হোক মহামারি করোনা, ফিরে আসুক শান্তি।
Total Reply(0)
Reza Khan ১৪ মে, ২০২১, ১০:১০ এএম says : 0
'তাক্বাব্বালাল্লাহু মিন্না ওয়া মিনকুম।' 'আল্লাহ তাআলা আমাদের ও আপনার নেক আমল গুলো কবুল করুন।' ঈদ মোবারক
Total Reply(0)
Burhan uddin khan ১৪ মে, ২০২১, ১২:৫৩ পিএম says : 0
May the almighty Allah will excuse us & save the mumin muslims all over the world..Happy Eid for us......
Total Reply(0)
Burhan uddin khan ১৪ মে, ২০২১, ১২:৫৩ পিএম says : 0
May the almighty Allah will excuse us & save the mumin muslims all over the world..Happy Eid for us......
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন