করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে দেশে সরকার ঘোষিত লকডাউনের বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে বরগুনার তালতলী থানা শতাধিক স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, ব্যবসায়ী ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধি নিয়ে ঈদ উপলক্ষে প্রীতিভোজের আয়োজন করেছে।
শুক্রবার (১৪ মে) দুপুর ২টার দিকে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে থানা ক্যাম্পাসে চলে এ প্রীতিভোজ।
করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে ১৮ দফা নির্দেশনা সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে বিয়ে, জন্মদিনসহ যেকোনো সামাজিক অনুষ্ঠানে কোনরকম জনসমাগম করা সম্পূর্ন নিষিদ্ধ ঘোষণাকে উপেক্ষা করে শতাধিক স্থানীয় রাজনৈতিক, ব্যবসায়ী ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধি নিয়ে বড় প্যান্ডেলের মাধ্যমে জৌলুশ করে খানাপিনা করানো হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জনৈক অংশগ্রহণকারী জানান, 'খানাপিনা পরিবেশনে নিয়োজিত কোন পুলিশ সদস্যও মুখমণ্ডলে মাস্ক ব্যবহার করেনি। মানা হয়নি কোনো ধরণের স্বাস্থ্যবিধি।'
স্থানীয় সচেতন মহল এমন প্রীতিভোজের আয়োজনে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আগামী ১৬ মের পরে দেশে কঠোর বিধিনিষেধ আসছে বলে ঘোষনা দেওয়া হয়। যেখানে লকডাউন কার্যকরী করতে পুলিশকে প্রয়োজনীয় ক্ষমতা দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন সরকার সেখানে থানার কর্তারা যদি স্বাস্থ্যবিধিকে তোয়াক্কা না করে লোকজনের জনসমাগমের মধ্যেই এ প্রীতিভোজ করেন, তাহলে সাধারণ মানুষ কতোটা স্বাস্থ্যবিধি মানবে।'
এবিষয়ে তালতলী সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি মো. নাসির উদ্দিন বলেন, 'থানার প্রীতিভোজের আয়োজনে আমাকেও দাওয়াত দিয়েছিলেন কর্তৃপক্ষ। কিন্তু দেশের চলমান করোন ভাইরাসের প্রভাব ঠেকাতে লকডাউন ও স্বাস্থ্যবিধির ঝুকি থাকায় আমি যাইনি। করোনাকালে থানা পুলিশের এমন প্রীতিভোজের আয়োজন করা ঠিক হয়নি।'
এবিষয়ে তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান মিয়া বলেন, 'পুলিশ সদস্যদের খাওয়ানো হয়েছে। কোন রাজনৈতিক ব্যক্তিরা ছিলো না। স্বাস্থ্যবিধি মেনেই খানাপিনা করানো হয়েছে।'
বরগুনা পুলিশ সুপার মুহম্মদ জাহাঙ্গীর মল্লিক বলেন, 'বিষয়টি খোঁজখবর নিয়ে দেখছি।'
বরগুনা জেলা প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমনা বলেন, 'সরকার ঘোষিত লকডাউনের ভিতরে এরকম কোনো কাজ করার কথা নয়। আমি খোঁজখবর নিয়ে দেখতেছি।'
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন