টানা এক মাস সিয়াম সাধনার পর অত্যান্ত ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্যে দিয়ে সারা দেশে ন্যায় ময়মনসিংহের তারাকান্দায় উৎসাহ উদ্দীপনার সাথে মুসলিম ধর্মাবলম্বী মানুষের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব ঈদ-উল-ফিতর পালিত হয়েছে।
সকালে সেমাই-পায়েস বা অন্য কোনো খাবার মুখে দিয়ে স্বাস্থ্য বিধি মেনে মসজিদে মসজিদে ঈদের নামাজে অংশ নিয়েছেন ধর্মপ্রাণ হাজারো মানুষ। পরেছেন নতুন জামা, পাঞ্জাবি। তবে করোনাপরিস্থিতিতে নামাজ শেষে কোলাকুলির মাধ্যমে সেই চিরচেনা ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে দেখা যায়নি মুসল্লিদের। সকাল থেকে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার মসজিদ গুলিতে মুসল্লিরা দলে দলে আসতে শুরু করেন। এর পরে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার সমসজিদ গুলিতে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
করোনার সংক্রমণ রোধে সতর্কতার সঙ্গে মসজিদে মসজিদে শতশত মুসল্লি ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেছেন। তারাকান্দায় ঈদের জামাতগুলোতে জনপ্রতিনিধি, উপজেলার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তা, সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ, গণ্যমান্য ব্যাক্তি ও স্থানীয় মুসল্লী অংশ নিয়েছেন।
দু’রাকাত নামাজ শেষে জামাতের ইমাম শত শত মুসল্লিকে সাথে নিয়ে মহান অাল্লাহর দরবারে মোনাজাতে শামিল হন। মোনাজাতে দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহ’র শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা এবং করোনা ভাইরাসের প্রকোপ থেকে মুক্তি চাওয়া হয়।
এসময় নিজেদের পাপ মোচনে অামিন অামিন ধ্বনিতে মুখর হয়ে ওঠে পুরো মসজিদ। এর অাগে মসজিদ গুলোতে নামাজ আদায়ের জন্য সকাল থেকেই বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মুসল্লিরা আসতে থাকেন। শিশু থেকে শুরু করে সব বয়সের মানুষ পাঞ্জাবি-পাজামা-টুপি ও মাস্ক পরে জায়নামাজ নিয়ে দলে দলে অাসেন। নামাজ শেষে মুসল্লিরা একে অপরের সাথে দুরত্ব বজায় রেখে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
এদিকে সকালে তারাকান্দা বড় মসজিদে পবিত্র ঈদুল-ফিতরের নামাজ আদায় করেন তারাকান্দা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজাবে রহমত। নামাজ আদায় শেষে তারাকান্দা উপজেলা নির্বাহী অফিসার সকলকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তিনি করোনা সংক্রমণ রোধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে উৎসব উদযাপন এবং ঈদকে ঘিরে যেকোন ধরনের জনসমাগম থেকে সকলকে বিরত থেকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদ উৎসবের আনুষ্ঠানিকতা পালনের আহ্বান জানান।’
উল্লেখ্য: বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায়ে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে গত ২৬ এপ্রিল জারি করা বিজ্ঞপ্তি অনুসরণ করে যথাযথ স্বাস্থ্য সুরক্ষাব্যবস্থা নিশ্চিত করতে মসজিদের ইমাম-খতিব, মসজিদ ব্যবস্থাপনা কমিটি, ধর্মপ্রাণ মুসল্লি ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ জানায় ইসলামিক ফাউন্ডেশন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন