গত ছয়দিন ধরে উত্তপ্ত ফিলিস্তিন ও ইসরায়েল। গতকাল শুক্রবার (১৪ মে) ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর মুখপাত্র আভিচায় আদ্রায়ি এক টুইটে জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার (১৩ মে) রাতে গাজার ১৫০টি লক্ষ্যবস্তুতে ৪৫০টি ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ছোড়া হয়েছে। এই হামলাগুলো গাজার উত্তরাঞ্চল ও পূর্বাঞ্চলের আশেপাশে অবস্থিত হামাসের ভূগর্ভস্থ মেট্রোকে প্রবল আঘাতের উদ্দেশে করা হয়েছে। হামলায় রাতে ইসরায়েলের ১৬০টি বিমান ও ছয়টি বিমান ঘাঁটি ব্যবহৃত হয়েছে।
ফিলিস্তিনির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার ভোরে ইসরায়েলি বাহিনীর ৪০ মিনিটের হামলায় নতুন করে ১৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে একজন মা ও তার তিন সন্তানও ছিলো। ধ্বংসস্তূপ থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
এদিকে গাজা থেকেও ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে হামাস রকেট হামলা চালালেও তার অধিকাংশই আয়রন ডোম সিস্টেমের মাধ্যমে প্রতিহত করেছে ইসরায়েল।
ইসরায়েলের বিমান হামলায় এ পর্যন্ত ৩১ শিশুসহ মোট ১২৬ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। রকেট ছুঁড়ে ইসরায়েলি আগ্রাসনের জবাব দিচ্ছে ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ গ্রুপ হামাস। তবে দিন দিন আরো আগ্রাসী হয়ে উঠছে ইসরায়েল।
সম্প্রতি পূর্ব জেরুজালেমে ফিলিস্তিনি ও কট্টরপন্থী ইহুদিদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে দফায় দফায় যাতে অধিকাংশই আহত হয়েছেন ফিলিস্তিনিরা। ফিলিস্তিনিদের ওপর এসব হামলার জবাবে হামাস ইসরায়েলে রকেট হামলা চালায়। এরপর ইসরায়েল গাজায় ব্যাপকভাবে হামলা শুরু করে।
হামাসের রকেট হামলায় এখন পর্যন্ত সাতজন ইসরায়েলি নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন ভারতীয় নারী ও ইসরায়েলি এক সেনা রয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন শতাধিক ইসরায়েলি।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, ইসরায়েলের দিকে গাজা থেকে প্রায় দেড় হাজার রকেট ছোড়া হয়েছে। যার বেশির ভাগ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা 'আয়রন ডোম' দিয়ে ধ্বংস করা হয়। সূত্র: আল অ্যারাবিয়া, রয়টার্স।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন