ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্ত দিয়ে অবৈধপথে ভারত থেকে আসা তিন জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। তাদের শরীরে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট থাকতে পারে এমন আশংকা করছে ঝিনাইদহ স্বাস্থ্য বিভাগ। বিষয়টি নিশ্চিত হতে পুনরায় তাদের নমুনা সংগ্রহ করে রোগতত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে (আইইডিসিআর) পাঠানো হচ্ছে।
ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন ডাঃ সেলিনা বেগম এই তথ্য নিশ্চিত করেন বলে আমাদের ঝিনাইদহ সংবাদদাতা জানান। সূত্র জানায়, শুক্রবার করোনা আক্রান্ত রোগীসহ ৩জন আজাদ রেষ্ট হাউসের কোয়ারেন্টিন থেকে পালানোর চেষ্টা করে। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে।
জানা গেছে, গত ১০ মে ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার মাটিলা ও বাঁশবাড়িয়া এলাকা দিয়ে দালালসহ ২৮ জনকে আটক করে মহেশপুর ৫৮ বিজিবি। আদালতের নির্দেশে আটককৃতদের ঝিনাইদহ শহরের আজাদ রেস্ট হাউজে কোয়ারেন্টিনে রাখাসহ প্রত্যেকের করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়। কোয়ারেন্টিনে থাকা ওই ২৮ জনের মধ্যে তিনজনের করোনা পজিটিভ আসে।
উল্লেখ্য গত ১০ মে মহেশপুরের মাটিলা সীমান্ত থেকে বিজিবি;র হাতে আটক হয়, নাটোরের মোঃ নুর হোসেন (৫০), মোঃ রহিদুল শেখ (৩৮), মোঃ হোসেন শেখ (৪৫), মোঃ বুলবুল শেখ (৩২), মোঃ বিনত খান (৩৬), মোঃ শাকিরুল হোসেন (১৮), মোঃ নিয়াজুল ইসলাম (৩৮), মোঃ ইয়াহিয়া খান (৩৪), মোঃ ফরিদ সরদার (৪২), মোঃ নয়ন শেখ (৪০), মোঃ খায়রুল সরদার (৩০), মোঃ মোক্তার (৫১), মোঃ আলমগীর হোসেন (৪২), মোঃ বিপুল শেখ (২৯), মোঃ জাকারিয়া মাসদ রানা (৩৯), মোঃ অলিয়ন ইসলাম (৩৪), মোঃ রকেট শেখ (৩০), লক্ষীপুর জেলার মোঃ সাগর (১৮) এবং বরিশাল জেলার মোঃ রফিকুল ইসলাম (৩২) কে অবৈধভাবে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশের সময় বিজিবি আটক করে।
একই দিন মহেশপুর সীমান্তবর্তী বাশবাড়িয়া গ্রাম থেকে আটক হয় আরো ৮ জন। এদের মধ্যে খুলনার মোঃ আজিজ মোল্লা (১৯), মোছাঃ আদরী (৩৮), মোছাঃ মনি (২৬), বাগেরহাটের মোঃ মহসিন (৩৯), ফরিদপুর জেলার বাসিন্দা মোঃ এনামুল মোল্লা (২৩), নড়াইল জেলার মোঃ মহিত শেখ (৪৫), যশোর জেলার মোছাঃ তানিয়া খাতুন (৩০), নরসিংদী জেলার মোছাঃ চম্পা বেগম ও অবৈধ পারাপারে নিয়োজিত দালাল মহেশপুরের মাইলবাড়িয়া গ্রামের মোঃ সাদ্দাম হোসেন (২৬)।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন